
ছবি: সংগৃহীত
কয়েক দিন ধরে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ খুবই কম, বিচ্ছিন্ন তাপপ্রবাহ চলছে বাংলাদেশ। হঠাৎ করে দেশের কিছু স্থানে তাপমাত্রা হিটওয়েভের মতো ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে উঠে যাচ্ছে। আবার ২৪ ঘণ্টা পার হতে না হতেই তাপপ্রবাহ নেমে যাচ্ছে। আবার শুরু হচ্ছে বৃষ্টিপাত। চলতি মাসে অনেক দিন একটানা বৃষ্টি ছিল।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী দুই দিনের মধ্যে বর্তমান আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তন হতে পারে এবং আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে দেশে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা আরো বৃদ্ধি পেতে পারে।
এদিকে, তাপপ্রবাহ না থাকলেও দেশের অভ্যন্তরে বৃষ্টিপাত কিছুটা কমেছে; অর্থাৎ বঙ্গোপসাগর থেকে উঠে আসা মৌসুমি বায়ুতে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ অপেক্ষাকৃত কম। এর ফলে বৃষ্টিপাতও কিছুটা কমেছে। গতকাল শনিবার (১৯ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এর আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে চাঁদপুরে মাত্র ২৪ মিলিমিটার। এই ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় বৃষ্টি হয়েছে মাত্র ৩ মিলিমিটার। ১৮ আগস্ট সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশের বদলগাছীতে সর্বোচ্চ ৪২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
তবে জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় বাংলাদেশ অন্যতম। বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব বাংলাদেশে বেশ ভালোভাবেই লেগেছে এর ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে। বাংলাদেশে আবহমানকাল থেকে যে আবহাওয়া বাংলাদেশে বিরাজ করছিল বর্তমানে তা থেকে যথেষ্ট পরিবর্তন হয়েছে।
১৯৭০ দশকেও দেশে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়েছে। সকালে বৃষ্টি শুরু হলে সারাদিন একটানা বৃষ্টি হয়েছে।
জলবায়ু বিজ্ঞানী ড. রাশেদ চৌধুরী বলছেন, বর্তমানে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে এল নিনু পরিস্থিতি সক্রিয় রয়েছে। এটি এর ফলে শুধু বিভিন্ন এলাকায় নয়, ভারতীয় উপমহাদেশেও তাপমাত্রার নতুন মাত্রা যোগ হতে পারে। শিল্পযুগের পরবর্তী তাপমাত্রা তাপমাত্রা বৃদ্ধির যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, তা থেকে আরো বেশি তাপমাত্রা বেড়ে গেলে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতেও ঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে।