
রাশিয়ার নিখোঁজ হওয়া বিমানের ২৮ যাত্রীর কেউ বেঁচে নেই
রাশিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় কামচাটকা উপদ্বীপে ২৮ যাত্রী নিয়ে নিখোঁজ হওয়া এন-২৬ বিমানের ধ্বংসাবশেষের সন্ধান পাওয়ার পর রাশিয়ার উদ্ধারকারী কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে বিমানের কেউ বেঁচে নেই।
দেশটির বিমান সংস্থা বার্তা সংস্থা এএফপিকে এ তথ্য জানিয়েছে।
রাশিয়ার বিমান সংস্থাটি এক বিবৃতিতে জানায়, নিখোঁজ বিমানটির খোঁজে টানা কাজ করা উদ্ধারকর্মীরা একপর্যায়ে প্রশান্ত মহাসাগরের উপকূলে এটির ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পায়।
ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে দুর্গম এলাকায় উদ্ধার তৎপরতা চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। বিমান দুর্ঘটনায় যাত্রীদের কেউ জীবিত নেই বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতিকূল আবহাওয়ায় অবতরণ করতে গিয়ে পর্বতচূড়ায় ধাক্কা লেগে বিমানটি বিধ্বস্ত হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এর আগে মঙ্গলবার ভোরে এক শিশুসহ ২২ যাত্রী এবং ছয় ক্রু নিয়ে যোগাযোগবিচ্ছিন্ন হয় আন্তোনোভ এন-২৬ বিমানটি।
স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, পেত্রোপাভলোভস্ক-কামচাটস্কি শহর থেকে উপকূলীয় শহর পালানায় যাচ্ছিল বিমানটি। পথে নির্ধারিত সময়ে সেটি যোগাযোগ করেনি; অদৃশ্য হয়ে যায় রাডার থেকেও।
পালানার বিমানবন্দর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে বিমানের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
কামচাটকা সরকার জানিয়েছে, বিমানের আরোহীদের মধ্যে ছিলেন পালানার স্থানীয় সরকারের প্রধান ওলগা মোখিরেভা।
বিমান নিখোঁজের ঘটনায় তদন্ত ও আরোহীদের সন্ধানে তৎপরতা চলছে। কাজ করছে দুটি হেলিকপ্টার ও আরেকটি বিমান।
সামরিক ও বেসামরিক উভয় কাজেই ব্যবহৃত হয় আন্তোনোভ এন-২৬ মডেলের বিমান।
নিখোঁজ বিমানটি কামচাটকা এভিয়েশন এন্টারপ্রাইজের মালিকানাধীন। এটি ১৯৮২ সাল থেকে ব্যবহৃত হচ্ছে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
নিখোঁজ বিমানটিতে কারিগরি কোনো ত্রুটি ছিল না বলে দাবি করেছেন কামচাটকা এভিয়েশন এন্টারপ্রাইজের পরিচালক অ্যালেক্সেই খাবারোভ।
২০১২ সালে একই প্রতিষ্ঠানের একই মডেলের একটি বিমান বিধ্বস্ত হয় পার্বত্য অঞ্চলে। সেটিও পেত্রোপাভলোভস্ক-কামচাটস্কি শহর থেকে রওনা দিয়েছিল এবং পালানায় অবতরণের আগে বিধ্বস্ত হয়েছিল।
ওই দুর্ঘটনায় ১৪ আরোহীর মধ্যে দুই বিমানচালকসহ ১০ জন নিহত হয়।