নোবেল পুরস্কার পাওয়া ফরাসী অর্থনীতিবিদ এসথার ডুফলো বাঙালি নারীদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক শাড়ি পরে পুরস্কার গ্রহণ করেছেন।

স্টকহোমে গতকাল মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সুইডেনের রাজা ষোড়শ কার্লের কাছ থেকে তিনি এ পুরস্কার গ্রহণ করেন।

এসথার ছাড়াও এ বছরে অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন তার স্বামী বাঙালী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক ব্যানার্জি ও যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিবিদ মাইকেল ক্রেমার।

পুরস্কার গ্রহণ অনুষ্ঠানে অভিজিৎও বাঙালি পোশাকে উপস্থিত হয়েছিলেন। তার পরনে ছিল ধুতি, পাঞ্জাবি ও কুর্তি। এই ব্যতিক্রমী পোশাক পরার জন্য নোবেল কমিটির কাছ থেকে বিশেষ অনুমতি নিতে হয়েছে অভিজিৎকে।

তবে নোবেল পুরস্কার গ্রহণের মঞ্চে শাড়ি পরার ঘটনা এই প্রথম নয়। ২০০৬ সালে গ্রামীণ ব্যাংক ও ড. মুহাম্মদ ইউনুস নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়ার পর সেবছরের পুরস্কার গ্রহণ অনুষ্ঠানে মুহাম্মদ ইউনুসের সঙ্গে যাওয়া গ্রামীণ ব্যাংকের নারী সদস্যরা শাড়ি পরে অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন।

ফ্রান্সে জন্ম নেয়া ৪৭ বছর বয়সী এসথার বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরুতে ইতিহাস ও অর্থনীতি বিষয়ে পড়াশোনা করেন। ১৯৯৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি থেকে অর্থনীতিতে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন তিনি।

নোবেল পুরস্কার পাওয়ার আগে জীবনে একাধিক সম্মনসূচক পুরস্কার পেয়েছেন এসথার ডুফলো।

অভিজিতের সঙ্গে তার লেখা বই 'পুওর ইকোনমিক্স: এ র‍্যাডিকাল রিথিঙ্কিং অব দ্য ওয়ে টু ফাইট পোভার্টি' বিশ্বের ১৭টি ভাষায় অনূদিত হয়েছে।

অভিজিৎ পড়াশোনা করেছেন ভারতের কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় ও হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। তিনি পিএইচডি করেছেন ১৯৮৮ সালে। এখন কাজ করছেন ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজিতে (এমআইটি)। সেখানে তিনি ফোর্ড ফাউন্ডেশন ইন্টারন্যাশনাল প্রফেসর হিসেবে অর্থনীতি পড়াচ্ছেন।

২০০৩ সালে তিনি এসথার ও সেন্ধিল মুল্লাইনাথানকে সঙ্গে নিয়ে আব্দুল লতিফ জামিল পোভার্টি অ্যাকশন ল্যাব প্রতিষ্ঠা করেন। -বিবিসি