অর্থনৈতিক সংস্কার আনার বিষয়ে জোট সরকারের অংশীদার তিন দলের মধ্যে মতানৈক্য দেখা দেওয়ায় রাজনৈতিক সংকটে পড়েছে জার্মানি। ফলে কোয়ালিশন সরকারে ভেঙে দেওয়ার ঘোষণা দেন চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস।
গতকাল বুধবার (৬ নভেম্বর) এ ঘোষণা দেন দেশটির চ্যান্সেলর।
জার্মানি সামাজিক গণতন্ত্রী এসপিডি দলের নেতা ওলাফ শলৎসের নেতৃত্বে ২০২১ সালে জোট সরকার গঠন করেছিল ব্যবসাবান্ধব দল এফডিপি ও পরিবেশবান্ধব দল গ্রিন পার্টি। অর্থনৈতিক সংস্কার নিয়ে কয়েক মাস ধরে এই তিন দলের নেতাদের মধ্যে মতানৈক্য চলছে। সে কারণে জুলাই মাসে একবার জোট সরকার ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই সরকার ভেঙেই গেল।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই অস্থিরতা ইউরোপের বৃহত্তম অর্থনীতিকে আঘাত করেছে কারণ এটি একটি টেকসই মন্দার সঙ্গে জড়িত। হোয়াইট হাউসে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনের পর জার্মানির বাণিজ্য ও সুরক্ষা সম্পর্কের ওপর এই সংকট প্রভাব ফেলবে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
শলৎস জানিয়েছেন, মার্চে শেষের দিকে আগাম ভোট আয়োজনের জন্য তিনি ১৫ জানুয়ারি পার্লামেন্টে আস্থা ভোট চাইবেন।
বুধবার বিদ্রোহী অর্থমন্ত্রী ক্রিশ্চিয়ান লিন্ডনারকে বরখাস্ত করেন শলৎস। এফডিপি দলের প্রধান ও জোট সরকারের অর্থমন্ত্রী ক্রিশ্চিয়ান লিন্ডনার জার্মানির অর্থনীতিতে বড় পরিবর্তন আনার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। এর মধ্যে আছে কর্পোরেট কর কমানো, জলবায়ু নীতি সহজ করা এবং সামাজিক ভাতা কমানো। তবে এসব বিষয়ে একমত হওয়া শ্রমিকবান্ধব দল এসপিডি ও পরিবেশবান্ধব দল গ্রিন পার্টির জন্য কঠিন।
সবশেষ জরিপে জোট সরকারের অংশীদার তিন দলের জনপ্রিয়তা বেশ নিচে নেমে যাওয়ার আভাস পাওয়া গেছে। এখন নির্বাচন হলে এফডিপি দল সংসদে যাওয়ার জন্য অন্তত পাঁচ শতাংশ ভোট পাওয়ার যে বাধ্যবাধকতা রয়েছে, তা পাবে কিনা সেই বিষয়ে সংশয় রয়েছে। আর এসপিডি ও গ্রিন পার্টিও ২০২১ সালের তুলনায় অনেক কম ভোট পাবে।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
বিষয় : রাজনৈতিক সংকট জার্মানি সরকার
© 2025 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh