Logo
×

Follow Us

ফ্যাশন

কর্মজীবী নারীর সাজগোজ

Icon

রুবানা শারমীন লুপা

প্রকাশ: ০৬ মার্চ ২০২০, ১১:২১

কর্মজীবী নারীর সাজগোজ

কর্মজীবী নারীদের যেমন কাজে পারদর্শী হতে হয়, তেমনই নিজেকেও রাখতে হয় পরিপাটি। কেননা কথায় আছে আগে দর্শনধারী, পরে গুণবিচারী।  

কর্মজীবী নারীদের সাজগোজ কেমন হবে তা হলো: 

১. অফিসের মেকআপ হালকা হলেই ভালো হয়। লিপস্টিক, নেইলপলিশও যেন উদ্ভট রঙের এবং পারফিউম উগ্র গন্ধের না হয়।  

২. মেকআপ দীর্ঘক্ষণ ঠিক রাখতে ত্বক ভালোমতো পরিষ্কার করে নিন।  একটি পাতলা কাপড়ে বরফ পেঁচিয়ে ত্বকের যেখানে যেখানে মেকআপ করবেন, সেসব স্থানে ১০ মিনিট ধরে বরফ ঘষে নিন। 

৩. এরপর অ্যাস্ট্রিনজেন্ট লোশন দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিয়ে মেকআপ করুন।  

৪. গরমের সময় ওয়াটারপ্রুফ ও ম্যাট প্রসাধনী ব্যবহার করুন।

৫. ওয়াটার প্রুফ ফাউন্ডেশন খুব হালকা করে লাগিয়ে নিয়ে ঠান্ডা পানির ঝাপটা দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। এতে মুখ পরে কালো দেখাবে না। 

৬. শেষে পুরো মুখ ও গলায় কম্প্যাক্ট পাউডার বুলিয়ে নিন। চাইলে লুজ পাউডারও ব্যবহার করতে পারেন।

৭. এরপর আপনার দরকার কাজল বা আইলাইনার, মন চাইলে মাশকারা, ঠোঁটে লিপস্টিকের ছোঁয়া আর একটা টিপ ও পারফিউম। 

৮. ছোট আয়না, ব্রাশ, চিরুনি, ডিউডোরেন্ট, পারফিউম, সানস্ক্রিন লোশন, কাজল, মাশকারা, লিপস্টিক, ফেসপাউডারসহ সেফটিপিন, চুলের ব্যান্ড, চুলের কাঁটা, টিপের পাতা ইত্যাদি ছোট ব্যাগে ভরে অফিস ব্যাগে রাখুন। 

৯. গরমে ফাউন্ডেশন দ্রুত গলে যায় বলে পাউডার ফাউন্ডেশন ব্যবহার করুন। আবার শুধু কনসিলার দিয়েও মেকআপ করা যায়।

১০. মেকআপ ঠিক রাখার জন্য টিস্যুর পরিবর্তে ব্যাগে রাখুন মেকআপের স্পঞ্জ পেপার, যা দিয়ে ত্বকের ঘাম মুছে নিলে মেকআপ বহুক্ষণ ঠিক থাকবে। 

১১. লাঞ্চের পর লিপস্টিক ঠিক করে নিতে টিস্যু দিয়ে লিপস্টিক মুছে নিয়ে ঠোঁটে পাউডার লাগিয়ে কিছুক্ষণ পর আবার লিপস্টিক লাগিয়ে নেবেন। 

১২. ত্বকের তৈলাক্ত ভাব ও ঘাম মুছে ফেলার জন্য ক্লিনজিং প্যাড সঙ্গে রাখুন। মাঝে মধ্যে ত্বকে প্যাড দিয়ে মুখের ঘাম ও তৈলাক্ত ভাব মুছে নিয়ে কমপ্যাক্ট পাউডার লাগিয়ে নিলেই হবে।

পোশাক

কর্মজীবী নারীদের পোশাক হতে হবে আরামদায়ক, কাজের পরিবেশের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং যা সহজে সামলানো যায়। শাড়িতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ না করলে ফরমাল ফুলস্লিভ সালোয়ার-কামিজ, ফতুয়া-ফরম্যাল প্যান্ট পরা যায়। বিজনেস স্যুটেও বেশ মানিয়ে যায়। শাড়ির ক্ষেত্রে হালকা রঙের সুতি, তাঁত, কোটা, পাতলা কাজের সিল্ক বা জর্জেট, ক্ষেত্রবিশেষে জামদানিও মানানসই। 

অফিসে রঙচঙে পোশাক না পরাই ভালো। সালোয়ার-কামিজ বা শাড়ি পুরোপুরি সুতি না হয়ে সিনথেটিক ভালো। সুতির পোশাক সারাদিন ঠিক রাখা কষ্টের। তারপরও সুতি পরলে পোশাকটা ইস্ত্রি করা থাকতে হবে। খাটো পাঞ্জাবি বা কুর্তা পরলে সচেতন থাকতে হবে যেন হাত ও গলা ভালোভাবে ফিট হয়; কিন্তু দেহের মাপটা একটু ঢিলেঢালা থাকে। 

অফিসে ছোট গহনা পরা ভালো। চুড়ি-কাঁকন যেন বেশি আওয়াজ না তোলে। আঙুলে ভারি আংটিও নয়। চুল লম্বা হলে খোঁপা, বেণি বা ব্যান্ড দিয়ে আটকে রাখতে হবে। খোলা বা ভেজা চুলে অফিসে না যাওয়াই ভালো।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫