Logo
×

Follow Us

ফ্যাশন

উৎসবে শাড়িতে নারী

Icon

নাসিম আহমেদ

প্রকাশ: ০৭ মার্চ ২০২০, ০৮:৫৮

উৎসবে শাড়িতে নারী

শাড়ির সঙ্গে বাঙালি নারীর রয়েছে গভীর যোগসূত্র। সামাজিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে শাড়ির যেমন ব্যবহার রয়েছে তেমনি নারীর সৌন্দর্য প্রকাশে শাড়ির যেন তুলনা হয় না। বিভিন্ন উৎসবকে বিবেচনা করে বাঙালি নারীর শাড়ির রঙের মাঝেও রয়েছে বৈচিত্র্য।

নানা বৈচিত্র্যময় নকশার পোশাক নিয়ে নিরীক্ষা করতে যে নারীরা ভালোবাসেন, তাদের জন্য শুধু কাট আর প্যাটার্নের বৈচিত্র্য নয়, পোশাকের রঙেও থাকে নতুনত্বের ছোঁয়া। পোশাকের রঙটা সবসময় মুডের ওপর নির্ভর করে। পোশাকে সাদাকালো শোকের রঙ ছাড়াও এখন আভিজাত্যের রঙ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। দিবস আর উৎসবের সঙ্গে শাড়ির রঙের একটা যোগসূত্র আছে। 

শাড়ির ক্ষেত্রে সুতির পাশাপাশি সিল্কের চাহিদাও অনেক বেশি  চোখে পড়ে। সেই সঙ্গে কাতানের চল তো রয়েছেই। দিনের বেলা অনেকেই সুতির শাড়িকে বেছে নেয়। উৎসবের সঙ্গে স্বস্তির কথাও মনে রাখতে হবে। একই সুতির শাড়ির কয়েকটি রূপ থাকতে পারে। এর মধ্যে তাঁতের শাড়ি ও কোটা শাড়ি নারীর কাছে বেশি জনপ্রিয় হতে দেখা গেছে। যার ডিজাইনেও রয়েছে ভিন্নতা।

কোনোটাতে স্ক্রিন প্রিন্ট করা, কোনোটায় ব্লকের কাজ, আবার কোনোটায় নকশিকাঁথার কাজও দেখা যায়। সিল্কের শাড়ির চাহিদা বরাবরই থাকে। কারণ এ ধরনের শাড়ি সব বয়সী নারীদেরই ভালো মানায়। সিল্কের মধ্যেও রয়েছে বাহারি ধরন। টাঙ্গাইল সিল্ক, হাফ সিল্ক, রাজশাহী সিল্ক, জয়পুরি সিল্ক, মসলিন সিল্ক, কাতান সিল্ক ও অ্যান্ডি সিল্ক। হাতের কাজের পাশাপাশি এতে স্ক্রিন প্রিন্ট ও অ্যামব্রয়ডারি করা হয়ে থাকে। কোনোটায় আবার বাহারি লেস বসানোও থাকে।

শাড়িতে হাতের কাজ করা হলে দারুণ লাগে দেখতে এরকমটা জানালেন বেশ কয়েকজন তরুণী। নকশিকাঁথার কাজ, স্টোনের কাজ, কারচুপির কাজ। উৎসবে বিভিন্ন ধরনের সিল্ক কাপড়কেই তারা শাড়ির  ক্ষেত্রে প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। রাতে একটু জমকালো ভাব আনতে কাতান শাড়িই বেছে নেন সবাই। আর কাতানেরও রয়েছে নানা পদ। জুট কাতান, কানচিবরণ কাতান, চেন্নাই কাতান, মসলিন কাতান, মিলেনিয়াম কাতান, কোটা কাতানসহ বাহারি সব কাতান।

এসব কাতানে জরি সুতা দিয়ে কারচুপির কাজ করা হয়েছে। নেটের শাড়িতেও উৎসবের সময় বাজার ভরে যেতে দেখা যায়। নারীরা এই শাড়িগুলো কেনাকাটাও করে সবাই পছন্দমতো। বিভিন্ন রঙের নেটের শাড়িতে ভেলভেটের রিবন অথবা ভারী লেস লাগিয়ে নিজেরাই ডিজাইন করে নেয়। এগুলো ডিজাইনভেদে কিনতেও পাওয়া যায়। রঙের ক্ষেত্রে ধরাবাঁধা নিয়ম অনেকেই মানে না।

যে রঙে নিজেকে ভালো মানাবে সেই রঙকেই বেছে নিতে ব্যস্ত থাকে সবাই। মেরুন, লাল, কমলা, সবুজ, আকাশি, ফিরোজা, নীল, গোল্ডেন, সিলভার, কালো, সাদা, নেভিব্লু সব রঙের চাহিদা কমবেশি চোখে পড়ে। তবে গরমের কারণে এসব রঙের হালকা শেডকেই প্রাধান্য দেয় নারীরা। কেউ কেউ দুই তিন রঙের শেডের শাড়ি কেনাকাটা করে। যা  দেখতেও লাগে বেশ।

উৎসবের জন্য বিভিন্ন দোকানিরা শাড়ির পসরা সাজিয়ে বসেন। মিরপুর বেনারসি পল্লী, মায়াসির, আড়ং, নিপুণ, টাঙ্গাইল শাড়ি কুটির, অঞ্জনস, বাংলার মেলা, কে-ক্রাফটে নিজের মনমতো ডিজাইনের শাড়ি কিনতে পারবেন। এ ছাড়া একটু ভিন্ন ধাঁচের শাড়ি কিনতে বিভিন্ন শপিং মলে যান নারীরা। যেখানে দেশি-বিদেশি নানা ডিজাইনের শাড়ি পাওয়া যায়। আর নিউমার্কেট, গাউসিয়া  তো রয়েছেই। একটু বাজার ঘুরে সাধ আর সাধ্য অনুযায়ী খুঁজে নিন নিজের পছন্দের শাড়িটি।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫