
নারীর সাজকে বর্ণিল ও রঙিন করে তুলতে শাড়ির কোনো জুড়ি নেই। ছবি- সংগৃহীত
একজন নারীর সাজকে বর্ণিল ও রঙিন করে তুলতে শাড়ির কোনো জুড়ি নেই। বাঙালি নারীরা কোনো উৎসব বা প্রিয়জনের সঙ্গে ঘুরতে শাড়িকেই প্রাধান্য দিয়ে থাকে। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শাড়িতে আনা হয়েছে নানা পরিবর্তন। রঙ, সুতা ও ডিজাইনে পরিবর্তন এনে শাড়িকে করা হয়েছে ফ্যাশনেবল। শাড়িতে পশ্চিমা ধাঁচ আনতেও প্রতিনিয়ত কাজ হচ্ছে।
শাড়ির বিবর্তন নিয়ে ফ্যাশন ডিজাইনার কাশফিয়া নেহরীন বলেন, ঝালর, বেল্ট বা প্যান্ট কাট শাড়ি-এগুলোর ধারণা ভারত থেকেই এসেছে। বলিউডে এসব শাড়ির চল অনেক বেশি। এ ধরনের শাড়িগুলো এখন বেশ ট্রেন্ডি। এ ছাড়া এসব শাড়ি ওয়েস্টার্ন লুক এবং ফ্যাশনেবল হওয়ায় ব্যবহার বেড়েছে।
বেল্ট শাড়ি সাধারণত তারকাদের বেশি পরতে দেখা যায়। বেশ স্টাইলিশ হয় বেল্ট শাড়ি। একজন নারীর সাজে ওয়েস্টার্ন লুক এনে দিতে বেল্ট শাড়ি হতে পারে চমৎকার অনুষঙ্গ। বেল্ট শাড়ি নিয়ে কাশফিয়া বলেন, নাম বেল্ট শাড়ি হলেও, আসলে এখানে বেল্ট কিন্তু শাড়ির কোনো অংশ নয়। এখানে শাড়ির সঙ্গে আলাদা অ্যাক্সেসরিজ হিসেবে বেল্ট পরা হয়। একটা শাড়িকে বিভিন্ন স্টাইলে পরে তার সঙ্গে বেল্ট পরা হচ্ছে। এ কারণেই এই শাড়িকে আমরা বলছি বেল্ট শাড়ি। আবার শাড়ির সঙ্গে যে ব্লাউজ পরছে তার কাটিংয়ে একটি বেল্ট যুক্ত করা থাকে। সে ক্ষেত্রে শাড়ি পরার পরে ব্লাউজের সঙ্গে থাকা বেল্টটাকে পরে নিতে হয়। এই দুটিই হলো বেল্ট শাড়ির মূল কনসেপ্ট।
ঝালর শাড়ি বিষয়ে এই ফ্যাশন ডিজাইনার বলেন, এ ধরনের শাড়ি বিভিন্ন নামে পরিচিত। অনেকে একে ফ্রিল বা র্যাফল শাড়ি বলে থাকে। এই শাড়িতে কিছু কুঁচি ব্যবহার করা হয়। সেটা হতে পারে পাড়ে, আঁচলে বা কুঁচির জায়গাতে। এটাই হলো এর মূল বৈশিষ্ট্য। ঝালর শাড়ি বিভিন্ন ফ্যাব্রিকের হয়ে থাকে। তবে আমাদের দেশে ঝালর শাড়ি বেশিরভাগই সিনথেটিক ম্যাটেরিয়াল দিয়ে বানানো হচ্ছে। যেমন-জর্জেট, থ্রি-ফন্ট বা সিল্ক। কটনেরও হয়।
এ ছাড়া প্যান্ট কাট শাড়ির মূল কনসেপ্ট হলো পুরোপুরি ওয়েস্টার্ন লুক। কাশফিয়ার ভাষায়, এটাও ফিউশন, ওয়েস্টার্ন লুককে ফুটিয়ে তুলতেই প্যান্ট কাট শাড়ি। এ ধরনের শাড়ি অনেকটা রেডি শাড়ির মতোই। সবকিছুই আগে থেকে সেলাই করা থাকে। এটা আসলে একটি প্যান্ট। তবে প্যান্টের সঙ্গে অতিরিক্ত একটি অংশ যুক্ত করে দেওয়া হয়। অতিরিক্ত অংশটি হয় শাড়ির আঁচলের মতো।
ইসরাত জাহান ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি অফিসার হিসেব কর্মরত আছেন ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের মোহাম্মদপুর শাখায়। তিনি বলেন, আমাদের অফিসে অনেকেই সালোয়ার-কামিজ পরে অফিস করেন। তবে আমি একটু ব্যতিক্রম। আমি শাড়িতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। তবে সামলানো সহজ এমন শাড়িই বেশি পছন্দ করি।