পুরুষের ফ্যাশনে অন্যতম অনুসঙ্গ বেল্ট । ছবি: সংগৃহীত
একটা সময় ছিল যখন পুরুষের ফ্যাশন বলতে শুধু প্যান্ট, শার্ট, কোর্ট- এসবকেই বুঝত মানুষ। বর্তমানে স্মার্টলুকের জন্য শুধু পোশাকই নয়, চাই ফ্যাশনেবল অনুষঙ্গ। আর সে ক্ষেত্রে পুরুষের ফ্যাশন অনুষঙ্গের অন্যতম একটি হচ্ছে বেল্ট। এটি পুরুষের অন্যতম নিত্যপ্রয়োজনীয় অনুষঙ্গেরও একটি।
জিন্স কিংবা ফরমাল, যেকোনো প্যান্টের সঙ্গেই গুরুত্বপূর্ণ এই অনুষঙ্গটি। সেই সঙ্গে নিজের স্টাইলিশ লুকের জন্যও জরুরি বেল্ট। বেল্টে পুরুষদের আউটলুক যেমন আলাদা সুন্দর করে তোলে, তেমনি ফুটিয়ে তোলে স্মার্টনেস। সুন্দর পোশাকের সঙ্গে যদি বেল্টটা মানানসই না হয়, তবে পুরো সৌন্দর্যটাই আবার মাটি হয়ে যাবে। শুধু তা-ই নয়, একজন পুরুষের বেল্ট তার রুচিবোধের পরিচয়ও দেয়।
তবে বেল্ট নানা রকমের, নানা মানের রয়েছে। পুরুষের ভালো বেল্ট নির্বাচন করাও কঠিন একটি বিষয়। কারণ সব বেল্ট সমান নয়। বেল্ট তৈরির কাঁচামালের ওপর নির্ভর করা হয় বেল্ট কেমন। বেল্ট বাছাই করার সময় অবশ্যই জুতার রঙের সঙ্গে মিলিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবেন। এ ছাড়া স্টাইলিশ ও ব্যক্তিত্বসম্পন্ন লাগবে যদি বেল্টের রং ঘড়ির রঙের সঙ্গে মিলে যায়।
বেল্ট কয়েক রকমের হয়ে থাকে- চামড়া, চামড়া ও রেক্সিন, ফাইবার, কাপড় ও শুধুই রেক্সিনের। চামড়া ও রেক্সিনের তৈরি বেল্টগুলোর ওপর দিকে থাকে চামড়া আর নিচের অংশে রেক্সিন। দুই পাশ সেলাই দিয়ে বকলেস লাগালেই প্রস্তুত হয়ে যায় বেল্ট। চামড়া ও রেক্সিনের বেল্টগুলোই বাজারে এখন চামড়ার বেল্ট বলে চালিয়ে দেয়। তাই এসব বেল্ট কেনার সময় ভালোভাবে দেখে নিতে হবে।
ইতালীয় জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের প্রতিষ্ঠাতা লুকা ফালোনি বলেন, ‘যখন বেল্টের গুণগত মানের কথা আসে তখন ব্যবহৃত উপাদান এবং উৎপাদন প্রক্রিয়া উভয়ই গুরুত্বপূর্ণ। সেই সঙ্গে চামড়ার বয়স ভালো হওয়া উচিত, প্রতিরোধী হওয়া উচিত এবং প্রসারিত করা উচিত নয়।’
বেল্ট সাধারণত এক থেকে দেড় ইঞ্চির মধ্যে হওয়া উচিত। এই পরিমাপটি প্রায় যেকোনো সুন্দর প্যান্টের সঙ্গে ভালো মানাবে। সাধারণত স্ট্যান্ডার্ড সিঙ্গেল বেল্টের সাইজ ৩৪ ইঞ্চি হয়ে থাকে। এ ছাড়া কোমরের মাপ অনুযায়ী ৩৬ বা তার বেশিও করে নেওয়া যায়। এ ছাড়া বেল্টে মেটাল বা বকলেসে চাইলে বিভিন্ন উপাদান দিয়ে সাজাতে পারেন। রুপা, সোনা ও পিতল দিয়েও অনেকে বেল্টের বকলেস তৈরি করে নেন। তবে এমন একটি উপাদান বেছে নেওয়ার চেষ্টা করুন যা আপনার পরা অন্য ভারী ধাতুর সঙ্গে মেলে, যেমন ঘড়ি, সাসপেন্ডার বা কাফলিঙ্ক।
কোথায় কেমন বেল্ট পরা উচিত, সেটাও মাথায় রাখা জরুরি। ফরমাল পোশাকের সঙ্গে ছোট ও সাদামাটা বেল্ট ভালো মানায়। চামড়ার বেল্ট কালো, চকোলেট, মেরুন ও বাদামি চার রঙের হয়। এ ধরনের বেল্ট ফরমাল পোশাকের সঙ্গে ভালো লাগে। আবার ক্যাজুয়াল ড্রেসের সঙ্গে কারুকাজ করা বকলেস বেল্ট বেছে নিতে পারেন। এর সঙ্গে মানাবে হালকা বাদামি, সাদা কিংবা উজ্জ্বল কোনো রং। কাপড়ের বেল্ট কালো, লাল, ছাই, সাদাসহ বিভিন্ন রঙের পাওয়া যায়। এ ধরনের বেল্টগুলো জিন্সের সঙ্গেও বেশ মানায়।