
পূজার সাজসজ্জায় জাঙ্ক গয়না। ছবি:সংগৃহীত
সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সোনা-রুপার দাম বাড়ার পাশাপাশি গয়নার পছন্দও বদলেছে। এখন অনেকেই সোনা-রুপার গয়নার চিরাচরিত সাজ থেকে বেরিয়ে এসে ভরসা রাখছেন জাঙ্ক জুয়েলারিতে। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সাজসজ্জার বদলের সঙ্গে সঙ্গে পোশাকের ধরন, গয়নার ধরন, নকশাতেও এসেছে বদল। এবার পূজায় অক্সিডাইজড গয়না, মুক্তা, কুন্দন গয়নায় নিজেকে সাজিয়ে তুলুন নজরকাড়াভাবে।
পূজার সময় সকাল-বিকেল মিলিয়ে নানা ধরনের শাড়ি ও জামাকাপড় পরা হয়ে থাকে, তাই পোশাকের উপর ভিত্তি করে সাজতে পারেন এভাবে -
সিল্ক শাড়ি : ভারী সিল্ক শাড়ির জন্য বেছে নিন কুন্দন সেট। এ ছাড়া সোনালি ইমিটেশনের গয়না তো আছেই। পরতে পারেন ভারী চোকার ও টেম্পল জুয়েলারি।
সুতি ও হ্যান্ডলুম শাড়ি : হ্যান্ডলুম সুতির বা লিনেন শাড়ি দিনের সাজে আদর্শ। এগুলোর সঙ্গে পারেন অক্সিডাইজড বা বোহেমিয়ান গয়নার সেট, যার মধ্যে থাকতে পারে কাপড়ের কাজ করা কানের দুল, কাঠের চুড়ির সেট, পাটের দুল, টেরাকোটার গয়নার সেট, অথবা বিডস দিয়ে গাঁথা নেকলেস।
জর্জেট শাড়ি : এই ধরনের শাড়ির সঙ্গে পরতে পারেন কুন্দন সেট, স্টোনের কাজ করা গয়না কিংবা আমেরিকান ডায়মন্ডের গয়নার সেট।
শিফন শাড়ি : হালকা রঙের শিফন শাড়ির সঙ্গে ম্যাচ করতে পারেন মুক্তার গয়না অথবা বিডসের গয়না। যা আপনার সাজকে করে তুলবে আরও মোহময়ী।
অরগ্যাঞ্জা শাড়ি : অরগ্যাঞ্জা শাড়ির জনপ্রিয়তা এখন তুঙ্গে। প্রিন্টেড বা সুতার কাজ করা অরগ্যাঞ্জা শাড়ির সঙ্গে পরতে পারেন সোনালি চোকার ও ঝুমকার সেট।
যারা শাড়িতে খুব একটা স্বচ্ছন্দ বোধ করেন না, তারা কুর্তি, পশ্চিমা কায়দায় তৈরি পোশাক, এক কাটের পোশাক, কিংবা লং স্কার্ট সব কিছুর সঙ্গেই এইসব গয়না বেশ মানাবে।