Logo
×

Follow Us

ফিচার

দেশের প্রথম ক্যাকটাস পার্ক গড়ে তুলতে চান রাসেল

Icon

এস এম জামাল

প্রকাশ: ১২ জুলাই ২০২৫, ১৩:২৯

দেশের প্রথম ক্যাকটাস পার্ক গড়ে তুলতে চান রাসেল

ছাত্রজীবন থেকেই বৃক্ষপ্রেমী হয়ে ওঠা রাসেলের ক্যাকটাসের বাগান করার প্রতি ঝোঁক ছিল। পরবর্তী সময়ে পেশাগত কারণে যেখানেই গেছেন সেখানেই খোঁজ করেছেন ক্যাকটাসের। জীবনের সব সঞ্চয় ব্যয় করে সংগ্রহ করছেন দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রজাতির ক্যাকটাসের গাছ।

শখের বশে প্রথমে নিজ বাড়ির ছাদে শুরু করেন ক্যাকটাস বাগান। এরপর সেটিকে আরো প্রসারিত করেন। বাড়ির পেছনের বাগানে ছয়টি শেডে এখন তার সংগ্রহে আড়াইশ প্রজাতির প্রায় ৪০ হাজারেরও বেশি ক্যাকটাস রয়েছে। প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে গাছপ্রেমীরা তার বাড়িতে ভিড় জমায়।

তিনি স্বপ্ন দেখেন একসময় দেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় ক্যাকটাস পার্ক গড়ে তুলবেন। যেখানে দেশ-বিদেশের মানুষ এসে ক্যাকটাসের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবে। 

সার্জেন্ট তৌহিদুল ইসলাম রাসেল কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা উপজেলার বাহিরচর ইউনিয়নের ষোলদাগ পশ্চিমপাড়া এলাকার আলহাজ রহমত উল্লাহ মেম্বারের ছেলে। তিনি রাজশাহী ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত।

সার্জেন্ট তৌহিদুল ইসলাম রাসেল জানান, তিনি প্রথম গাছ আমদানি করেছেন ভারত থেকে। পরে থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, চীন ও আমেরিকা থেকেও ক্যাকটাস আমদানি করেছেন।

এই মরু উদ্ভিদ টিকিয়ে রাখতে পলিথিনের শেড নির্মাণ, গাছের কাঁটা পর্যবেক্ষণ ও মাটি পরিবর্তনসহ বিভিন্ন যত্ন নিতে হয়। শখের বসে এই ক্যাকটাস বাগান গড়ে তুললেও তার বাবা ও স্ত্রী এটির দেখভাল করেন। এ ছাড়া সার্বক্ষণিক একজন কর্মী নিয়োজিত রয়েছেন। তিনি বলেন, এ ছাড়া সিসিটিভির মাধ্যমে আমি পর্যবেক্ষণ করে থাকি। বীজ উৎপাদন, সেখান থেকে নতুন প্রজাতির ক্যাকটাস উদ্ভাবন, ক্যাকটাসের জন্য পলিথিনের শেড নির্মাণ, গাছের কাঁটা পর্যবেক্ষণ, মাটি পরিবর্তনÑসবই করতে হয় আমাদের। তবে প্রথমদিকে এই মরু উদ্ভিদকে বসে আনতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। পরবর্তী সময়ে ভারতীয় এক সংগ্রাহকের পরামর্শে আসে সফলতা। আগামী দিনে ক্যাকটাসের এই সংগ্রহশালাটি বাণিজ্যিকভাবে সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে চাই এবং একটি ক্যাকটাস পার্ক গড়ে তুলতে চাই। যেখানে দেশ-বিদেশের মানুষ এসে ক্যাকটাসের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবে।

সার্জেন্ট তৌহিদুল ইসলাম রাসেলের এমন সাফল্যে বেশ খুশি পুরো পরিবার। তার স্ত্রী ইশরাত জাহান বলেন, ‘ক্যাকটাসের প্রতি তার আলাদা ভালোলাগা ও ভালোবাসা রয়েছে। ছুটিতে বাড়িতে এলে সে ক্যাকটাস বাগানে গভীর রাত পর্যন্ত নিজ হাতে গাছ পরিচর্চা করে থাকে। খাওয়ার কথা মনে থাকে না।’

ক্যাকটাস কিনতে আসা সৌরভ নামের এক যুবক বলেন, ‘ক্যাকটাস বাগানের গল্প শুনে আমি এখানে এসেছি। দেখে আগ্রহটা আরো বেড়ে গেল। এত সুন্দর এবং হাজার হাজার বিভিন্ন প্রজাতির ক্যাকটাসে মুগ্ধ হয়ে গেছি।’

ভেড়ামারা উপজেলা কৃষি অফিসার মাহমুদা সুলতানা বলেন, ইনডোর প্ল্যান্ট হিসেবে ক্যাকটাস বেশ জনপ্রিয়। ঘরের এক কোণে বা টেবিলের একপ্রান্তে ক্যাকটাস রাখলে জায়গাটি এমনিতেই সুন্দর দেখায়। তার ওপর যদি সেই ক্যাকটাসে দু-একটি করে ফুলের বাহার আসে তাহলে ঘরের সৌন্দর্য আরো বেড়ে যায়। আমরা সার্জেন্ট তৌহিদুল ইসলাম রাসেলের বাগান পরিদর্শন করেছি। ক্যাকটাস গাছ ও তার কাটাগুলোকে অনেক সৌন্দর্যমণ্ডিত করে তুলেছে। তার এমন উদ্যোগ সত্যি প্রশংসনীয়।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫