
ফ্যাশন সব সময়ই পরিবর্তনশীল। প্রতিনিয়ত প্রচলিত ফ্যাশনের ধারা ভেঙে তৈরি হচ্ছে নতুন ধারা। পোশাক থেকে শুরু করে গয়না কিংবা সাজ, সব জায়গায়ই চলছে নিরীক্ষা আর ফিউশন। ফ্যাশন সচেতনরা তা গ্রহণও করছেন সানন্দে। ফুলের গয়নার কথাই ধরা যাক। গতানুগতিক গয়নার পরিবর্তে চলতি ফ্যাশনে ফুলের গয়নায় লেগেছে নান্দনিকতার ছোঁয়া। চিরচেনা ফুল আনুষঙ্গিক বিভিন্ন উপকরণের সাহায্যে গহনায় আনা হচ্ছে ভিন্ন মাত্রা।
আজকাল এসব গয়না তৈরিতে তাজা ফুলের পাশাপাশি গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে কৃত্রিম ফুলেরও। একসময় যেখানে তাজা ফুলের গয়না ছাড়া গায়ে হলুদে কনের সাজ ভাবাই যেত না, এখন সেখানে কৃত্রিম ফুলও ব্যবহার করা হচ্ছে। কাপড়, কাগজ ও সোলার তৈরি এসব ফুলে বিভিন্ন ধরনের পুঁতি ও পাথর ব্যবহার করে তৈরি করা হয় দৃষ্টিনন্দন গয়না। এ ছাড়া রুপা বা মেটালের গয়নায়ও কৃত্রিম এসব ফুলের ব্যবহারে তৈরি হয় আভিজাত্য আর স্নিগ্ধতার মেলবন্ধন।
বর্তমানে বিভিন্ন উৎসবকে কেন্দ্র করে ফুলের গয়নায় এসেছে বৈচিত্র্য। এসব গয়নায় বিদেশি বাহারি সব ফুল যেমন স্থান পেয়েছে, তেমনি রয়েছে দেশি ফুলের সমাহারও। পহেলা বৈশাখ, ফাল্গুন ও ভালোবাসা দিবসে বিভিন্ন ফুলের তৈরি রিং বা ব্যান্ডেনা বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
ফুলের গয়না আছে, তবে পরিবর্তন এসেছে এর ডিজাইনে। কখনো শুধু কাঁচা ফুল আর শাড়ির সঙ্গে মিলিয়ে বা কন্ট্রাস্ট পুঁতিতে তৈরি হয় এসব গয়না। কখনো পুরো গয়নাতেই থাকে কৃত্রিম ফুলের আধিপত্য।
শুধু কনেই নয়, কনের বোন-বান্ধবীরাও এসব ফুলের গয়নায় সাজায় নিজেদের। প্রচলিত ফুলের গয়নার সেট, লহরি মালা, টায়রা আর টিকলি তো আছেই। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বিভিন্ন নকশার সিঁথিপাটি, বাজুবন্ধ, কোমরবন্ধ, হাতের রত্নচূড়, আংটি ইত্যাদি।
কিছু কিছু তাজা ফুল দ্রুত নেতিয়ে পড়ে। সেগুলো দিনের বেলায় না পরে রাতের সাজে পরতে পারেন। বেলি, রজনীগন্ধা, কসমস, জারবেরা, চন্দ্রমল্লিকা নিশ্চিন্তে পরা যায় রাতে।