
প্রতীকী ছবি
ভ্রমণ মানেই নতুন অভিজ্ঞতা, নতুন পথের গল্প। কিন্তু যাত্রার আনন্দ নষ্ট হয়ে যায় যদি ব্যাগে প্রয়োজনীয় জিনিস খুঁজে না পাওয়া যায় অথবা অতিরিক্ত বোঝা নিয়ে হিমশিম খেতে হয়। তাই সময় এসেছে স্মার্ট প্যাকিং করার, যাতে ব্যাগ গোছানো হয় পরিকল্পিত, আর সহজে খুঁজে পাওয়া যায় প্রয়োজনীয় জিনিস। মনে রাখবেন, স্মার্ট প্যাকিং মানেই স্মার্ট ভ্রমণ।
তালিকা করার বিকল্প নেই : যাত্রার প্রস্তুতি শুরু হয় পরিকল্পনা থেকে। কোথায় যাচ্ছেন, কয়দিন থাকবেন, আবহাওয়া কেমন এসব আগে জেনে নিন। সেই অনুযায়ী একটি তালিকা বানিয়ে ফেলুন। অভিজ্ঞ ভ্রমণকারীরা বলেন, ‘যা লাগবে ভেবেছেন, সেটার অর্ধেক নিন।’ এতে ব্যাগ হালকা থাকবে এবং গন্তব্যে ঘুরে বেড়ানো সহজ হবে।
মিক্স-অ্যান্ড-ম্যাচ : পোশাকের ক্ষেত্রে মিক্স-অ্যান্ড-ম্যাচ কৌশল অবলম্বন করতে পারেন। এমন রং ও ডিজাইনের কাপড় বেছে নিন, যা একটি অন্যটির সঙ্গে মেলানো যায়। নিউট্রাল রং, যেমনÑকালো, ধূসর, নেভি-ব্লুর সঙ্গে কয়েকটি উজ্জ্বল রঙের পোশাক রাখুন, যা ফটোতেও ভালো লাগবে। একটি ডেনিমের সঙ্গে সহজেই মিলিয়ে পড়তে পারবেন একাধিক টপস বা টি-শার্ট। সিনথেটিক বা
কটন-ব্লেন্ড কাপড় ধোয়া ও শুকানো সহজ, তাই ভ্রমণে এ ধরনের পোশাক বেছে নিন।
ভাঁজ নয়, রোল করে রাখুন : ব্যাগ গুছানোতে রোলিং টেকনিকই আসল গেম চেঞ্জার। কাপড় রোল করে রাখলে ব্যাগে জায়গা কম লাগে এবং কাপড়ে ভাঁজও পড়ে না। ছোট পোশাক, টি-শার্ট বা জিন্স রোল করে রাখলে ব্যাগের ফাঁকা কোণগুলোও কাজে লেগে ব্যবহার করা যায়।
প্যাকিং কিউব : ব্যাগে সবকিছু সহজে খুঁজে পেতে প্যাকিং কিউব বা কাপড় রাখার ছোট ব্যাগ ব্যবহার করুন। আলাদা ক্যাটাগরির জিনিস গুছিয়ে রাখলে ব্যাগ খুলেই সব পাওয়া যায়, পুরো ব্যাগ উল্টেপাল্টে খোঁজাখুঁজি করতে হয় না।
টয়লেট্রিজ ও তরল জিনিস : শ্যাম্পু, কন্ডিশনার, লোশন, পারফিউম ছোট ট্রাভেল সাইজ বোতলে রাখুন। এগুলো অবশ্যই জিপ-লক বা সিল করা ব্যাগে রাখবেন, যাতে লিকেজ হলে অন্য জিনিস নষ্ট না হয়। প্রয়োজনে টেপ দিয়ে বোতলের মুখ সিল করে নিন।
ইলেকট্রনিকস আলাদা পাউচে : চার্জার, পাওয়ার ব্যাংক, হেডফোন, ক্যামেরা সব আলাদা পাউচে রাখুন। বিদেশ ভ্রমণে হলে অ্যাডাপ্টার নিতে ভুলবেন না।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র : পাসপোর্ট, জাতীয় পরিচয়পত্র, টিকিট, নগদ টাকা ও ক্রেডিট কার্ড আলাদা ডকুমেন্ট পাউচে রাখুন, যা সহজেই হাতে পাওয়া যায়। জরুরি ওষুধ ও প্রেসক্রিপশনও একইভাবে আলাদা রাখুন।
ব্যাগের ওজন : বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে লাগেজ সীমা আগে থেকেই জেনে নিন। যাত্রার আগে ব্যাগ ওজন করে নিলে এয়ারপোর্টে অতিরিক্ত চার্জের ঝামেলা এড়ানো যায়।
সঙ্গী ব্যাকপ্যাক : ভ্রমণের সময় ঘুরতে বের হলে বড় ব্যাগ বহন করা ঝামেলার। তাই সঙ্গে একটি হালকা ডে ব্যাগ বা ব্যাকপ্যাক রাখুন, যাতে পানি, স্ন্যাকস, ক্যামেরা, চার্জার ও গাইডবুক রাখা যায়।