
প্রতীকী ছবি
দুর্গাপূজাকে ঘিরে চারপাশে এরই মধ্যে সাজসাজ রব পড়েছে। মন্দিরে মন্দিরে মহাসমারোহে চলছে দেবীকে বরণের প্রস্তুতি। পূজার এই দিন কটিতে নিজেকে সাজাতে পছন্দ করে ছোট-বড় সবাই। আশ্বিনের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠ দিন থেকে দশম দিন পর্যন্ত দুর্গোৎসবের ব্যাপ্তি। আর এই পক্ষটিকে বলা হয় দেবীপক্ষ। শারদ উৎসবের ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত মণ্ডপে মণ্ডপে পূজা-অর্চনা আর দেবী দর্শনের মধ্য দিয়েই কাটে। পূজার সাজে নিজেকে আলাদা করতে আগে থেকেই ঠিক করে রাখতে হবে কোন দিনের সাজ কেমন হবে। জানাচ্ছেন তাবাস্সুম প্রীতি...
ষষ্ঠীর সাজ : শারদীয় দুর্গোৎসবে শুক্লপক্ষের ষষ্ঠ দিনটিকে বলা হয় দুর্গাষষ্ঠী। পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয় এদিন থেকেই। তাই ষষ্ঠীর দিনের সাজ হালকা হওয়াই ভালো। চোখে হালকা শ্যাডোসহ আইলাইনার আর পছন্দসই রঙের লিপস্টিকে স্নিগ্ধ রূপ ফুটে উঠবে। টিনএজাররাও হালকা সাজে সাজাতে পারেন নিজেদের। পোশাকেও থাকবে ছিমছাম ভাব। তাঁত, ব্লক বা এপ্লিকের শাড়ি এদিনের সাজের সঙ্গে মানিয়ে যাবে বেশ। পাশাপাশি কুর্তি, লং কামিজ এবং বিভিন্ন ডিজাইনের সালোয়ার-কামিজও বেছে নিতে পারেন।
সপ্তমীর সাজ : এদিন মেকআপটা একটু ভারী হতেই পারে। এদিন মণ্ডপে মণ্ডপে ঘোরার পাশাপাশি যাওয়া হয় আত্মীয়-পরিজনের বাড়িতেও। এদিনের সাজকে পরিপূর্ণভাবে ব্যবহার করতে পারেন একটু গাঢ় লিপস্টিক, চোখের ধরন বুঝে আইলাইনার ও মাসকারা। পোশাকে এদিন শাড়ি পরলে বেছে নিতে পারেন কাতান, জর্জেট বা সিল্কের শাড়ি। ব্যস, এতেই সপ্তমীর সাজ পরিপূর্ণ।
অষ্টমীর সাজ : দেবীকে অঞ্জলি অর্পণের মধ্য দিয়ে অষ্টমীর সকাল শুরু হয়। দিনে অঞ্জলি দেওয়ার সময় শাড়ির সঙ্গে খোঁপায় তাজা ফুল পরতে পারেন। তবে অষ্টমীর রাতের সাজে গর্জিয়াস লুকটাকেই পছন্দ করে সবাই। শাড়ি-গয়না-মেকআপ সবক্ষেত্রেই থাকে গর্জিয়াস লুক। টিনএজ মেয়েরা গাউন আর ট্রেন্ডি চুলের সাজে সাজাতে পারে নিজেদের। শাড়িতে কাতান, বেনারশি, মসলিন বেছে নিয়ে সাজে আনতে পারেন আভিজাত্যের ছোঁয়া।
নবমীর সাজ : নবমীতে হয় সান্ধ্যপূজা। এই দিনই সাজ হোক সবচেয়ে জমকালো। ভারি গয়না, রং-বৈচিত্র্যপূর্ণ পোশাক, ভারী মেকআপ, চুলের সাজ, তাজা ফুল এদিনের সাজের অন্যতম অনুষঙ্গ।
বিজয়া দশমীর সাজ : দেবী বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় পূজার সব আনুষ্ঠানিকতা। বিবাহিতরা মেতে ওঠেন সিঁদুর খেলায়। দশমীর সাজ মানেই লাল পেড়ে সাদা শাড়ি, সেই সঙ্গে মিলিয়ে মেকআপ আর গয়না। লাল-সাদা শাড়ি ছাড়া দুর্গাপূজার সাজ যেন ভাবাই যায় না। লাল হলো উৎসব আর সাদা হলো পবিত্রতা ও শান্তির প্রতীক। এই দুইয়ের মিশেলে ফুটে ওঠে পূজার চিরন্তন রূপ।