Logo
×

Follow Us

ফিচার

আমাজনের পথে : রিও ডি জেনিরো থেকে মানাউস

Icon

মাহফুজ রাসেল

প্রকাশ: ০২ নভেম্বর ২০২৫, ১৭:১৯

আমাজনের পথে : রিও ডি জেনিরো থেকে মানাউস

লেখক মাহফুজ রাসেল

তিন গোয়েন্দার ভীষণ অরণ্য বইটা পড়েই আমাজনের জঙ্গলের প্রেমে পড়েছিলেন মাহফুজ রাসেল। ভাবেননি, বহু বছর পর সত্যিই পা রাখবেন সেই রহস্যময় অরণ্যে। শুধু ঘুরতে নয়, গিয়েছিলেন সেখানকার আদিবাসীদের সঙ্গে থেকে তাদের জীবন ছুঁয়ে দেখতে। সেই আমাজন অভিযানের শুরুর গল্পটা তুলে ধরা হলো এই লেখায়।

আমাজনে যাওয়ার স্বপ্ন

বছরের পর বছর পাহাড় পেরিয়ে, নদী ডিঙিয়ে, শহর ছেড়ে আমি তখন নিজের মধ্যে একটা জিনিস টের পাচ্ছিলাম। বেড়ানো আর প্রকৃতি আমার কাছে শুধু আনন্দের বিষয় নয়; এটা বাঁচার অন্য এক পথ। আমি শুধু শহরের কলরব থেকে পালাতে চাইনি, ফিরতে চেয়েছিলাম মানুষের প্রাথমিক জীবনে। যেখানে গাছ, জল আর মাটির গন্ধে ভরে থাকে দিন।

              রিওর ধার ঘেঁষে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা পর্বত, পিকো দ্য তিজুকা

আমাজন ছিল আমার কাছে শৈশবের কল্পনার সেই চিরসবুজ ছবি। কিন্তু এখন তার সঙ্গে যোগ হয়েছে এক নতুন ইচ্ছা, প্রকৃতিনির্ভর এক টেকসই জীবনযাপন। যেখানে বিদ্যুতের তার নেই, নেই গাড়ির গর্জন, নেই ধোঁয়ার বিষ। আছে শুধু গভীর জঙ্গল, নদীর স্রোত আর পাখির ডাক। এভাবেই শুরু হয়েছিল আমার রিও ডি জেনিরো যাত্রা। এই শহর ছিল এক আজব দরজা। ওপাশে সেই আদিম জীবন, যার জন্য আমি পেছনে ফেলে এসেছিলাম সভ্যতার সব চকচকে মুখোশ।

আমার ইচ্ছা, আমাজনের কোনো আদিবাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে কিছুদিন কাটাব। কাছ থেকে দেখব, কীভাবে তারা প্রকৃতির সঙ্গে একেবারে মিশে থাকে, কেমন করে টিকে থাকে আদিম জীবনের সহজ-সরল ছন্দে। 

শেষ পর্যন্ত ২০১২ সালের এপ্রিল মাসে রওনা দিলাম লন্ডন থেকে ব্রাজিলের উদ্দেশে। বিশাল আমাজন অরণ্য ছড়িয়ে আছে মোট ৯টি দেশ ব্রাজিল, পেরু, কলম্বিয়া, ভেনেজুয়েলা, বলিভিয়া, ইকুয়েডর, গায়ানা, সুরিনাম ও ফরাসি গায়ানায়। কিন্তু মজার বিষয় হলো, পুরো আমাজনের প্রায় ৬০ শতাংশই ব্রাজিলের ভেতরে। ৪০ শতাংশ বাকি আট দেশে।

শহরের নাম রিও ডি জেনিরো

প্রথম গন্তব্য রিও ডি জেনিরো, ব্রাজিলের প্রাণকেন্দ্র, ছন্দে আর উচ্ছ্বাসে ভরা এক শহর। ব্রাজিলের রাজধানী না হলেও সবচেয়ে পরিচিত শহর এটাই। রোনাল্ডো, রোমারিওসহ কত কিংবদন্তি ফুটবলারের জন্ম এই শহরে! পাহাড় আর আটলান্টিক মহাসাগরের মাঝখানে গড়ে ওঠা এই নগরী যেন প্রকৃতি আর আনন্দের জাদুকরী মিশেল। মাথার ওপর থেকে পাহারা দিচ্ছে বিখ্যাত ক্রিস্ট দ্য রিডিমার মূর্তি, আর নিচে নীল সমুদ্রতীরে লুটিয়ে আছে কোপাকাবানা সৈকত। দিনভর রোদের ঝলকানি, সন্ধ্যায় সাম্বা সুরে মাতোয়ারা রাস্তাঘাট। রিও একদিকে সৌন্দর্যের শহর, অন্যদিকে বন্য রোমাঞ্চেরও ঠিকানা। 

            বিশাল আমাজন অরণ্য ছড়িয়ে আছে ৯টা দেশে 

এখান থেকে আমাকে যেতে হবে মানাউসে, কিন্তু তার আগে রিওতে তিন দিন কাটবে। কাউচ সার্ফিংয়ের মাধ্যমে পরিচয় হওয়া এক ব্রাজিলীয় মেয়ের বাসায় উঠলাম। সে থাকে লাপা এলাকায়। সে এক অসাধারণ জায়গা। এই লাপাতেই কিন্তু ‘টুয়াইলাইট সাগা : ব্রেকিং ডন (পার্ট-১)’ সিনেমার কিছু দৃশ্যের শুটিং হয়েছিল। ছুটির দিনগুলোতে পুরো এলাকাটা যেন উৎসবে ফেটে পড়ে। রাস্তায় জ্যাজ বাজছে, কোথাও কেউ কবিতা পড়ছে, আবার কেউ সাম্বার তালে নাচছে। রাতের বাতাসে ভেসে আসা কফির গন্ধ আর আলো-সংগীতের মিশ্রণে লাপা যেন এক জাদুকরী শহরে পরিণত হতো।

রিও ডি জেনিরোর আরেকটি দিকও আছে, যেটি উজ্জ্বল লাপার মতো না। ফাবেলা। আসলে রিওর ফাবেলা একটি নয় বেশ কয়েকটি। এগুলো ঘিঞ্জি এলাকা, বস্তির মতো। শহরের সবচেয়ে কুখ্যাত এলাকা, ড্রাগ আর অপরাধের জন্য এদের বদনাম দূর-দূরান্তে। অনেক পর্যটকই ওখানে ঘুরতে যান গাইড নিয়ে, কারণ নিরাপত্তা একটা বড় বিষয়। আমার হোস্টও পরামর্শ দিয়েছিল একজন গাইড নেওয়ার জন্য। শহরটা আমার কাছে যেন নিজের দরজা খুলে দিল। একদিকে লাপার উৎসব, সাম্বার ছন্দ, জ্যাজের মাদকতা; অন্যদিকে ফাবেলার কুখ্যাত অন্ধকার। ঠিক এই দুই বিপরীত রঙেই যেন রিওর আসল রূপ। 

ফাবেলায় আসার পেছনে আমার আগ্রহটা জন্মেছিল বিখ্যাত ‘সিটি অব গড’ সিনেমাটা দেখে। গলির পর গলি, দেওয়াল ভরা রঙিন গ্রাফিতি আর ছায়ার আড়ালে ঘুরে বেড়াচ্ছে কিশোর বয়সী ছেলেরা, হাতে একে-৪৭-এর মতো দেখতে ভয়ংকর অস্ত্র। শেষমেশ ফাবেলা দেখার শখ মিটিয়ে অক্ষত অবস্থায় কিছু না খুইয়েই ফিরে আসতে পারলাম লাপায়। 

পিকো দ্য তিজুকা

রিও ছাড়ার আগেই ছোটখাটো একটা অ্যাডভেঞ্চার হলো। তারিখটা মনে আছে, ৯ এপ্রিল। রিওর ধার ঘেঁষে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা পর্বত, পিকো দ্য তিজুকা। তার চূড়ায় আরোহণ শুরু করলাম। আমার সঙ্গী ক্যাথারিনা জুগেল নামের এক তরুণী। আগের কোনো চেনা-জানা ছিল না। পরিচয় কাউচ সার্ফিংয়ের মাধ্যমে। ওর জন্ম বার্লিনে, মাস্টার্স করেছে লন্ডনে। কিন্তু জীবন ছুটেছে পৃথিবীর নানা প্রান্তে। মিশর, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস, টোগো আর যুক্তরাষ্ট্র।  জার্মান, ফরাসি, ইংরেজি, আরবি, পর্তুগিজ সব ভাষাই বলতে পারে অনর্গল।

হাইকিংটা প্রথমে তেমন কঠিন মনে হচ্ছিল না। কিন্তু ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা আর ৮৫ শতাংশ আর্দ্রতার মধ্যে পা ফেলার সঙ্গে সঙ্গে ঘাম গড়িয়ে পড়ছিল অবিরাম ধারায়। বনটা যেন চারদিক থেকে আমাদের গ্রাস করে ফেলছে। মাঝে মাঝে পাতার আড়াল থেকে ভেসে আসছে অচেনা পাখির ডাক। আর আমার মাথায় তখন কেবল একটাই ভাবনা-এই গরমে যদি কোনো বিষধর সাপ হঠাৎ বের হয়ে আসে! আর মাত্র ১০০ মিটার গেলেই পাহাড়চূড়া পিকো দ্য তিজুকা। কিন্তু শেষ অংশটুকু যেন এক যুদ্ধক্ষেত্র।

খাড়া, পাথুরে পথে নিঃশ্বাস বন্ধ করে এগিয়ে চলা। হাঁটুতে চাপ, গায়ে ঘাম, তবুও থামিনি। নিজেদের ধাক্কা দিয়ে নিয়ে চলেছি। এক পর্যায়ে থামলাম। সেখানে দাঁড়িয়ে দেখা যাচ্ছিল গাছের মাথা ছুঁয়ে থাকা বনভূমির চাঁদোয়া, রিও ডি জেনিরোর একাংশ আর অনেক দূরে সাগরসৈকতের রেখা। চুপচাপ দাঁড়িয়ে আমরা, সেই দৃশ্যে পরস্পরের চোখে চোখ পড়ল, ভাগ করে নিলাম মুগ্ধতা।

একপর্যায়ে উঠে এলাম পিকো দ্য তিজুকার চূড়ায়। উচ্চতা ১০২২ মিটার, তিজুকা ফরেস্টের সবচেয়ে উঁচু চূড়াও এটি। বনটা রিও ডি জেনিরোর মাঝখানে, একেবারে পাহাড়ঘেরা রেইনফরেস্ট। এটি শহরের মধ্যে মানুষের তৈরি সবচেয়ে বড় বন। অর্থাৎ বনটির শুরু মানুষের হাত ধরে। আয়তন প্রায় ৩২ বর্গকিলোমিটার। ওপরে দাঁড়িয়ে চারপাশের যে দৃশ্যটা দেখলাম, তাতে সূর্যের ঝলসে দেওয়া আলো আর কষ্ট-সব ভুলে গেলাম। 

এক ঘণ্টা চূড়ায় কাটিয়ে নামার পালা এলো। এবার বেছে নিলাম এক অন্য পথ। যেটা খুব কম হাইকারই ব্যবহার করে। তাই সেটা আরো বুনো, দুর্দান্ত। পথে পড়ল নানা জাতের বুনো ফুল, অর্কিড, অজানা গাছ আর পাখি। হাঁটতে হাঁটতে গল্প চলল। ক্যাথারিনার ভ্রমণের নানা অভিজ্ঞতায় এতটাই মজে গেলাম যে, কখন নিচে নেমে এসেছি টেরই পাইনি।

শহরে ফেরার জন্য একসঙ্গে বাসে উঠলাম। বাসস্ট্যান্ডে নামার পর একে অপরকে জড়িয়ে ধরে বিদায় জানালাম। পরদিনই ক্যাথারিনা শহর ছেড়ে চলে যায়। তারপর আর দেখা হয়নি। কিন্তু রিওর পাহাড় আর সেই দিনের গন্ধ আজও আমার মনে তাজা।

ভীষণ অরণ্যের মানাউস

রিও থেকে মানাওসের ফ্লাইট ছিল সকাল ৭টায়। এর আগের দিন ছিল সপ্তাহান্ত। অনেক রাত পর্যন্ত লাপাতে আনন্দ করে কাটাই। ঝলমলে আলো, গমগমে সংগীত আর ভিড়ের মধ্যে কাসাছা ককটেল হাতে বসে যেন অন্য এক জগতে ঢুকে পড়েছিলাম। কাসাছা হলো আখগাছ থেকে তৈরি স্থানীয় রাম। তাতে মিশে আনারসের রস, লেবুর রস আর চিনি। এক চুমুকেই মনে হয় জুস খাচ্ছি, কিন্তু তার ভেতরে যেন গোপনে লুকিয়ে থাকে ঝড়। 

যতটা মিষ্টি, হ্যাংওভার ততটাই নির্মম। রাত ৩টা পর্যন্ত নাচে-গানে কেটে গেল। আমার প্লেন সকালে, রাত ৩টা পর্যন্ত স্ট্রিট পার্টি করে, কাসাছা ককটেল খেয়ে আমার পক্ষে অ্যালার্ম দিলেও সকালে ওঠা মুশকিল হতো। তাই হোস্টের বাসায় গিয়ে না ঘুমিয়ে সোফায় বসে কাটানো স্থির করি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নিজেকে স্থির রাখতে পারিনি। কখন যে সোফায় বসেই ঘুমিয়ে পড়ি টেরও পাইনি। চোখ খুলতেই সব শেষ-ফ্লাইট অনেক আগেই উড়ে গেছে। এটাই জীবনের প্রথম এবং এখন পর্যন্ত শেষ ফ্লাইট মিস। মাথা ঝিমঝিম করছিল, শরীর ভাঙা, আর মনটা যেন এক ধরনের কুয়াশায় ঢাকা। তবু ভাগ্য খারাপ ছিল না। হোস্ট অনেক দৌড়ঝাঁপ করে পরের দিনের টিকিট ঠিক করে ফেলল। সেই টিকিটে চেপেই নামলাম এক অনন্য শহরে-মানাউস।

                   মানাউসের ধারে জলের ওপর বসতি

তিন গোয়েন্দার ভীষণ অরণ্য যারা পড়েছেন কিংবা আমাজনের অরণ্য সম্পর্কে কৌতূহলীদের মানাউসকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার কিছু নেই। বিমানের দরজা খুলতেই গায়ে ধাক্কা খেল উষ্ণ ভ্যাপসা গরম। আর্দ্রতা এতটাই তীব্র যে মনে হচ্ছিল বাতাসেও যেন ঘাম মিশে আছে। এই শহরটাকেই বলা হয় ‘আমাজনের প্রবেশদ্বার’-অ্যামাজোনাস রাজ্যের রাজধানী। চারপাশে নদীর জাল, বন আর গ্রীষ্মমণ্ডলীয় জীবনের তীব্র স্পন্দন। একসময় এই শহরই ছিল রাবার বাণিজ্যের কেন্দ্র।

ব্যাকপ্যাকটা কাঁধে তুলে সোজা বেরিয়ে পড়লাম সিটি সেন্টারের দিকে, সেই জায়গা যেখানে দাঁড়িয়ে আছে ইতিহাস খ্যাত আমাজন থিয়েটার। আঠারো শতাব্দীর শেষের দিকের রাবার বুমের সময়কার এক রাজকীয় স্থাপনা, যেন এই শহরের বুকের গর্ব। আমার হোস্টেল ছিল ঠিক অপেরা হাউসের পাশেই, সাদা-কালো মার্বেল বিছানো প্রাকা সাও সেবাস্তিয়াও চত্বরের কোণে। জায়গাটা যেন শহরের প্রাণকেন্দ্র। এখানে বসে স্থানীয়দের গল্প শুনি, আবার নানা দেশের ব্যাকপ্যাকারদের সঙ্গে আড্ডা, হাসি, টিপস আর নতুন নতুন রুটের সন্ধান মেলে।

দুই দিনের মধ্যেই যেন মানাউস আমার নিজের শহর হয়ে গেল। পরিচয় হলো অনেকের সঙ্গে। কেউ এসেছে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে, কেউ বা ইউরোপের ঠান্ডা দেশ থেকে। একদিন গল্পে গল্পে পরিচয় হলো এক সহকারী পরিচালকের সঙ্গে, যিনি বেয়ার গ্রিলসের মতো সারভাইভাল-অ্যাডভেঞ্চার তথ্যচিত্র বানাতেন আমাজনের ভেতর। আমিও ওদের শুটিং টিমের সঙ্গে জঙ্গলের গভীরে প্রায় চলে যাচ্ছিলাম, কিন্তু হেলিকপ্টারে সিট না থাকায় সে স্বপ্নটা তখনই থেমে গেল।

বছরের এই সময়টা মানাউস যেন অগ্নিকুণ্ড। আকাশজুড়ে ঝলসানো রোদ, বাতাসে ভ্যাপসা গরমের আর্দ্রতা। ঘামে ভেজা গায়ে রাস্তায় হাঁটছি, একটাই উদ্দেশ্য-কীভাবে আমাজনের গভীরে গিয়ে আদিবাসীদের সঙ্গে বাস করা যায়। স্থানীয় গাইডদের সঙ্গে কথা বললাম, খোঁজখবর নিলাম। কিন্তু শিগগিরই বুঝলাম, এই জঙ্গলে ঢোকা কোনো রোমান্টিক গল্প নয়-এখানে আইন, নিয়ম আর সুরক্ষার দেওয়াল আছে। তাই এবার দরজায় কড়া নাড়লাম তাদের, যারা বহু বছর ধরে আধুনিক সভ্যতার সঙ্গে সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন আদিবাসীদের রক্ষায় কাজ করে চলেছে, ব্রাজিল সরকারের আদিবাসী বিষয়ক সংস্থা ফুনাই।

প্রথমে কয়েকবার ই-মেইল করেছিলাম, তারপর একদিন তাদের অফিসে গিয়ে হাজির। বুঝিয়ে বললাম আমার উদ্দেশ্য, স্বপ্নের কথা। ওরা মন দিয়ে শুনল, চোখে মৃদু সহানুভূতির ছায়া, কিন্তু শেষমেশ বলল, ‘দুঃখিত, আইন আমাদের অনুমতি দেয় না।’ মুহূর্তেই মনে হলো, যেন জ্বলন্ত সূর্যের নিচে আমার স্বপ্নটাও ধোঁয়া হয়ে মিলিয়ে গেল।

অনুলিখন : ইশতিয়াক হাসান

** মাহফুজ রাসেলের আমাজন অভিযানের এই গল্প ‘গহিন আমাজনে ১২০ দিন’ নামে প্রতি সোম ও শুক্রবার ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হচ্ছে দেশকাল নিউজের ফিচার বিভাগে।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫