আবহাওয়ার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের জীবনেও অনেক পরিবর্তন ঘটে। তা হোক খাবার, পোশাক বা সামগ্রিক জীবনধারা। এর সঙ্গে বাড়ির সাজসজ্জার ধরনও পরিবর্তন হয়। আমাদের দেশের ছয়টি ঋতুর মধ্যে বরাবরই চারটি ঋতুর প্রভাব বেশ লক্ষণীয়। ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে ঘরের ভেতরটাও বদলে নেওয়া জরুরি, যা ঋতুর মেজাজ ও আবহাওয়ার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়। এর মধ্যে রয়েছে ঋতু অনুযায়ী রং, আসবাবপত্র ও সাজসজ্জার উপকরণ; যেমন-পর্দা, কুশন, বিছানার চাদর, কার্পেট এবং বিভিন্ন ধরনের সজ্জাসামগ্রী।
সাধারণ টিপস
রং : ঋতু অনুযায়ী রঙের ব্যবহার পরিবর্তন করুন। গ্রীষ্মে হালকা ও উজ্জ্বল রং এবং শীতে উষ্ণ ও গাঢ় রং ব্যবহার করতে পারেন। তবে বর্ষায় ব্যবহার করুন গাঢ় ও উজ্জ্বল রং। শরতে হবে কাশফুলের মতো হালকা ও উজ্জ্বল রং। আর বসন্তের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে ঘরে নতুন ও সতেজতার অনুভূতি আনতে হালকা রঙের ব্যবহার হবে।
ফার্নিশিং : ঋতুর সঙ্গে মিল রেখে পর্দা, সোফা, কুশন ও বিছানার চাদর পরিবর্তন করুন। হালকা ফেব্রিক গ্রীষ্মে এবং ভারী ও উষ্ণ ফেব্রিক ব্যবহার করুন শীতে। গ্রীষ্মে হালকা ও সুতির পর্দা ব্যবহার করুন, যা বাতাস চলাচলে সাহায্য করে। তবে বর্ষাকালে ভারী পর্দা ও কার্পেট ব্যবহার করুন। শীতকালে পর্দা নির্বাচনে প্রাধান্য পায় কিছুটা ভারী ও গাঢ় রং। ঘন বুননের ভারী কাপড় তাপ কুপরিবাহী। তাই শীতকালে ভারী পর্দা ঝোলালে বাইরের ঠান্ডা বাতাস ঘরে ঢুকতে বাধা পাবে। যে কারণে ঘর অনেকটাই উষ্ণ বোধ হবে।
সজ্জার উপকরণ : ফুলদানি, শোপিস, বাতি ও কার্পেট ব্যবহার করে ঘরে ঋতুভিত্তিক আমেজ নিয়ে আসুন। গ্রীষ্মে ঘরের মধ্যে উজ্জ্বল রঙের কুশন ও ফুলদানি রাখুন। এ ছাড়া ঘর শীতল রাখতে গাছ রাখুন। বর্ষাকালে বৃষ্টির শব্দ ও আমেজ ধরে রাখতে ঘরের মধ্যে ছোট ছোট ছাতা ও ছাতার মতো সজ্জার জিনিস রাখুন। আর শরৎকালে ঘরের কোণে অ্যাকর্ন বা ছোট কুমড়োর মতো সজ্জার জিনিস রাখা যায়। শীতকালে ঘর উষ্ণ রাখতে মোমবাতি বা ফায়ারপ্লেসের মতো জিনিস ব্যবহার করতে পারেন। কার্পেটের ওপর নরম রাগস ব্যবহার করুন। এ সময়ে ওয়ার্ম লাইট, অর্থাৎ হলদেটে বাতির ব্যবহারেও ঘর উষ্ণ মনে হবে। বসন্তে ঘরের নানা তাজা ফুল ও পাতাবাহার রাখতে পারেন।
