যেসব খাবার খেলে মায়েদের বুকের দুধ বাড়ে

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৫:০৭

প্রতীকী ছবি
জন্মের পর শিশুর শারীরিক অবস্থা বেশ নমনীয় থাকে। একটু অসচেতন হলেই শিশু অসুস্থ হতে পারে। মায়ের বুকের দুধ শিশুর শরীরে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা গড়ে তোলে। শূন্য থেকে ছয় মাস পর্যন্ত শিশুর একমাত্র খাবার হলো মায়ের বুকের দুধ। দুধ পর্যাপ্ত না পেলে শিশুর বিকাশে নানা ঝুঁকি থেকে যায়।
কিন্তু সদ্য মা হয়েছেন এমন অনেকেরই পর্যাপ্ত বুকের দুধ উৎপাদন হয় না। এমন অবস্থায় শিশুর জন্য বাজারজাতকরণ খাবার বেছে নেয় অনেক বাবা মা। এতে শিশুর পেট ভরলেও পুষ্টির অভাব থেকেই যায়।
বাজারজাতকরণ খাবার খাওয়ানোর আগে মায়ের বুকের দুধ কম হওয়ার কারণ জানা উচিত। নতুন মায়েদের খাবারের তালিকাতে এমন খাবার যুক্ত করা জরুরি যা দুধ উৎপাদন বৃদ্ধি করে।
যেসব খাবার খেলে বুকের দুধ বৃদ্ধি পায়:
১. মেথি: মেথির বীজে রয়েছে গ্যাল্যাকটোগোগেস। এই রাসায়নিক উপাদান দুধের পরিমাণ বাড়ায়। সেই কারণে চিকিৎসকেরা নতুন মায়েদের খাদ্যতালিকায় মেথি রাখতে বলে। সবজি রান্না করে তার উপর ছড়িয়ে দিতে পারেন। রাতভর মেথির বীজ ভিজিয়ে রেখে সকালে পানি ছেকে খেলেও উপকার মেলে। মেথি চাও খেতে পারেন।
২. মৌরি: মেথির মতো মৌরিও ব্রেস্ট মিল্কের উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে। নিয়মিত মৌরি খেলে হজমক্ষমতা বাড়বে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হবে। কেননা, সন্তানকে জন্ম দেওয়ার পর অনেক মহিলার মধ্যেই কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়। জলে এক চামচ মৌরি দিয়ে ফুটিয়ে ছেকে নিয়ে পানি হালকা গরম অবস্থায় পান করুন। রান্নার সময় তরকারি, ভাত বা মিষ্টিজাতীয় খাবারের সাথেও মৌরি খেতে পারেন।
৩. রসুন: প্রাকৃতিক উপাদানে পরিপূর্ণ রসুন ব্রেস্ট মিল্কের পরিমাণ বাড়ায়। দেখা গেছে, যেসব মা সন্তান জন্মানোর পর প্রতিদিন নিয়ম করে এক কোয়া রসুন খেলে অনেকদিন পর্যন্ত স্তন্যপান করানো যায়। ২-৩ কোয়া রসুন খেতে হবে। ডাল, সবজি বা অন্যান্য ঝোলের মধ্যে রসুন মিশিয়ে খেলে কার্যকরী ফল পাওয়া যাবে।
৪. জিরে: জিরেতে রয়েছে প্রচুর আয়রন। ফলত, অনেকবেশি পরিমাণ ব্রেস্ট মিল্ক তৈরিতে সাহায্য করে জিরে। কড়াই গরম করে, তাতে জিরে রোস্ট করে নিন। তারপর যোগ করুন ডাল ও সবজিতে। রায়েতা, চাট ও বাটারমিল্কেও যোগ করতে পারেন। না হলে একগ্লাস পানিতে সারারাত জিরে ভিজিয়ে রেখে সকালে ছেকে, খেয়ে নিন।
৫. সবুজ সবজি: লাউ, করলা, টিন্ডার মতো সবুজ সবজি মায়ের স্বাস্থ্যের জন্যে খুব ভালো। সহজপাচ্য খাবারগুলি ব্রেস্ট মিল্কের উৎপাদনে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। লাউঘণ্ট, করলার তরকারি, টিন্ডার তরকারি বানিয়ে খেয়ে ফেলুন। আরও ভালো ফল পেতে জুস বানিয়ে খেয়ে নিন সকালে।
৬. লাল সবজি: মিষ্টি আলু, গাজর, বিটরুট ও লাল শাক বেটা ক্যারোটিনে ভরপুর। ব্রেস্ট মিল্কের পরিমাণ বাড়াতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। লিভারকে ভালো রাখে, রক্তাস্বল্পতা হতে দেয় না।
সূত্র: হিলোফাই