
বরই পরিচিত একটি ফল। টক ও মিষ্টি দুই ধরণের বরই খেতে ভীষণ মজা। এর আচারও সুস্বাদু। এতে রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ।
পুষ্টিগুণ
প্রতি ১০০ গ্রাম বরইয়ে রয়েছে খাদ্যশক্তি ৭৯ কিলোক্যালরি, শর্করা ২০.২৩ গ্রাম, চর্বি ০.২ গ্রাম, আমিষ ১.২ গ্রাম, জলীয় অংশ ৭৭.৮৬ গ্রাম, ভিটামিন এ ৪০ আইইউ, থায়ামিন ০.০২ মিলিগ্রাম, রিবোফ্লাভিন ০.০৪ মিলিগ্রাম, নায়াসিন ০.৯ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি৬ ০.০৮১ মিলিগ্রাম, ভিটামিন সি ৬৯ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ২১ মিলিগ্রাম, আয়রন ০.৪৮ মিলিগ্রাম, ম্যাগনেসিয়াম ১০ মিলিগ্রাম, ম্যাংগানিজ ০.০৮৪ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ২৩ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম ২৫০ মিলিগ্রাম, সোডিয়াম ৩ মিলিগ্রাম, জিংক ০.০৫ মিলিগ্রাম।
উপকারিতা
১. বরইয়ের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা রয়েছে। এতে থাকা খাদ্যশক্তি শরীরের দুর্বলতা কাটায়।
২. এতে থাকা ভিটামিন এ চোখের যত্নে কাজ করে। দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে।
৩. বরই রক্তশুন্যতা দূর করে।
৪. এতে থাকা ক্যালসিয়াম হাড়ের গঠনে সাহায্য করে।
৫. বরইয়ে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। ভিটামিন সি ঠোঁটের কোণে ঘা, জিহ্বার ঘা, ঠোঁটের চামড়া উঠে যাওয়া ইত্যাদি দূর করে।
৬. বরইয়ে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ক্যানসার কোষ, টিউমার কোষ ও লিউকেমিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করে।
৭. লিভার বা যকৃতের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে বরই।
৮. উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বরই খুবই উপকারি। ডায়রিয়া, ক্রমাগত মোটা হয়ে যাওয়া, রক্তশূন্যতা, ব্রঙ্কাইটিস ইত্যাদি রোগ দ্রুত সারায় এটি।
৯. হজম শক্তি বৃদ্ধি ও খাবারে রুচি বাড়ায় বরই। এছাড়া মৌসুমি জ্বর, সর্দি-কাশি প্রতিরোধ করে বরই।