এই সময়ের রেসিপি ‘স্বর্ণদুধ’

কি নামটা শুনে বুঝি থমকে গেলেন? জানতে ইচ্ছে করছেতো কীভাবে বানাবেন? আজকের রেসিপিতে থাকছে স্বর্ণদুধের রেসিপি। যদিও এই এন্টিবায়োটিকের প্রধান উপাদান কিন্তু দুধ নয়। হলুদ ও মধু।

যা লাগছে

হলুদ গুঁড়া ১ টেবিল চামচ, দারুচিনি গুঁড়া আধ চা চামচ, আদার রস ১ চা চামচ, এলাচ গুঁড়া ১/৪ চা চামচ, গোল মরিচ গুঁড়া ১ চিমটি, নারিকেলদুধ ১ কাপ, খাঁটি মধু ১০০ মিলিলিটার, নারিকেল তেল ১ চা চামচ, লেবুর খোসা গুঁড়া বা পেস্ট ১ চা চামচ।

যেভাবে বানাবেন

প্রথমে একটি পাত্রে নারিকেলদুধ, দারুচিনি গুঁড়া, আদাবাটা, এলাচ গুঁড়া, গোলমরিচ গুঁড়া ও হলুদ একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। এর সঙ্গে চূর্ণ বা পেস্ট করা লেবুর খোসা ও মধু মিশিয়ে নিন। এখন সব উপাদানকে একসঙ্গে ভালো করে নাড়তে থাকুন। হাতে করবেন, মিক্সিতে নয়। ভালো করে পুরো মিশ্রণটা বানানো হয়ে গেলে একটি কাচের জারে ফ্রিজে রেখে সংরক্ষণ করুন। দু’সপ্তাহ পর্যন্ত ফ্রিজে রেখে খেতে পারবেন।

খাবেন যেভাবে

রাতে ঘুমানোর অন্তত ৪০ মিনিট আগে এক কাপ হালকা গরম দুধের সঙ্গে এক চা চামচ পরিমাণ মিশিয়ে নিন। এরপর খেয়ে ফেলুন দুধটি। অথবা প্রতিদিন ১ চামচ পরিমাণ এমনিই খেয়ে নিতে পারেন।

কেন খাবেন?

এটা প্রাকৃতিক এন্টিবায়োটিক যার মধ্যে রয়েছে এন্টিসেপটিক ও এন্টিঅক্সিডেন্ট গুণাবলি। চলুন এক নজরে দেখে নিই কেন খাবেন গোল্ডেন মিল্ক বা স্বর্ণদুধ।

এই পানীয়টি টিউমার সৃষ্টিকারী রেডিয়েশনের বিরুদ্ধে কাজ করে। যা স্তন ক্যান্সার, প্রোস্টেট ক্যান্সার, কোলন ক্যান্সার, টি সেল, লিউকেমিয়া ইত্যাদি প্রতিরোধ করতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। গোল্ডেন মিল্ক কোলেস্টেরলের মাত্রা স্বাভাবিক রেখে হৃদরোগের আশঙ্কা কমিয়ে দেয়। দীর্ঘমেয়াদি কাশি, সর্দি, ঠান্ডা কাটাতে কার্যকর ভূমিকা রাখে।

গোল্ডেন মিল্কের এন্টিসেপটিক উপাদান শরীরের ভেতরে থাকা ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ও জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করতে শক্তি জোগায়। এই মেন্যুতে কিন্তু লাগবে খাঁটি মধু ও ভেজালহীন খাঁটি হলুদ গুঁড়া।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //