
করমচা। ফাইল ছবি
কম পরিচিত; কিন্তু অনেক বেশি উপকারী একটি ফল হলো টক স্বাদের করমচা। কাঁটাযুক্ত গুল্মজাতীয় গাছে জন্মে এ ফলটি। বছরের ফেব্রুয়ারিতে ফুল আসে এবং এপ্রিল-মে মাসে ফল ধরে। আর বর্ষায় ফল পাকে। করমচায় থাকে প্রচুর ভিটামিন সি, বি ও আয়রন। এছাড়াও এই ফলে পাওয়া যায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ট্যানিন, ক্যারিসোন ও ট্রাইটারপেনয়েড।
করমচা খেলে নিম্নোক্ত উপকারগুলো পাওয়া যায়:
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে: যারা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য করমচা একটি উপকারী ফল। এ ফলে আছে পানিতে দ্রবীভূত হওয়ার মতো পর্যাপ্ত ফাইবার। তাই করমচা খেলে খুব সহজে পেট পরিষ্কার হয়। নিয়মিত করমচা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হতে সময় লাগে না। তাই উপকারী এই ফল যোগ করুন আপনার খাবারের তালিকায়।
হজমশক্তি বাড়ায়: সুস্থতার জন্য হজমশক্তি বাড়ানো জরুরি। এই কাজে সাহায্য করতে পারে করমচা। এতে আছে পেক্টিন নামক একটি উপাদান। যা সব ধরনের ফলে পাওয়া যায় না। পেটের নানা সমস্যা দূর করতে এই উপাদানটি দারুণ কার্যকরী। সেই সঙ্গে এটি হজমশক্তি বাড়াতেও সহায়ক।
মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখে: শুধু শরীর নয়, মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও দারুণ কাজ করে করমচা। এতে আছে প্রচুর ম্যাগনেসিয়াম। সেই সঙ্গে আরও পাওয়া যাবে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও ট্রাইটোফেন নামক একটি উপাদান। এটি স্নায়ুর উন্নতি করতে সাহায্য করে। করমচা খেলে বাড়ে সেরোটোনিন নামক হরমোনের ক্ষরণ। এটি মন ভালো রাখতে কাজ করে।
ক্লান্তি দূর করে: ভিটামিন-সি ও পটাশিয়ামে ভরপুর এই ছোট্ট ফল শারীরিক ক্লান্তিভাব দূর করে এবং ভিটামিন-সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এছাড়াও জ্বর, ডায়রিয়া ও আমাশয় রোগীদের জন্য উপকারে আসে করমচা।
কোলেস্টেরল কমায়: যাদের কোলেস্টেরলজনিত সমস্যা আছে, তাদের জন্য করমচা খাওয়া ভালো। এতে কোলেস্টরল নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। করমচায় চর্বি ও ক্ষতিকর কোলেস্টেরল থাকে না। তাই যাদের ওজন নিয়ে সমস্যা তারা খেতে পারেন ফলটি।
এছাড়া কাঁচা করমচা ত্বক ও রক্তনালি শক্ত করে এবং রক্তক্ষরণ বন্ধ করে। করমচার পাতা গরম পানিতে সিদ্ধ করে পান করলে মৌসুমি জ্বর নিরাময়ে উপকার পাওয়া যায়। শিকড়ের রস গায়ের চুলকানি ও কৃমি দমনে সাহায্য করে। তবে যাদের রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা বেশি, তাদের করমচা না খাওয়াই ভালো। মৌসুমে তাজা করমচা খান নিয়মিত, অনেক রোগ এড়ানো যাবে।