ইফতারের পর বিশেষ পানীয়

সারাদিন রোজা রেখে ইফতারে ভাজাপোড়া খেলে পেটে নানা গোলযোগ দেখা দেয়। আবার দীর্ঘ সময় খাবার ও পানির বিরতিতে শরীরেও নেমে আসে ক্লান্তি। তাই ইফতারের পর বিশেষ চা পানের যেন বিকল্প নেই। যেমন নীল চা বা অপরাজিতা ফুলের চা পানে হজম শক্তি বাড়ে। আবার যারা পেট ফাঁপা, বুক ও গলা জ্বালাপোড়া করা, টক ঢেকুর, বদহজমের সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য ক্যামোমাইল চা দারুণ উপকারী। অন্যদিকে মসলা দিয়ে লাল বা দুধ চা পান- এতে ক্লান্তি দূর হবে ও মনে আনবে প্রশান্তি...

নীল চা: চুলায় একটি সসপ্যানে চার কাপ পানি দিন। পানি ফুটে উঠলে দুটি এলাচ, এক টুকরো আদা, ছোট আকারের দুই টুকরা দারুচিনি ও সাতটি অপরাজিতা ফুল দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে ফুলের নিচের সবুজ অংশ ফেলে দেবেন। মৃদু আঁচে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে পাঁচ থেকে সাত মিনিট ফুটিয়ে নিন। তৈরি হয়ে যাবে অপরাজিতার নীল চা। মধু মিশিয়ে এই চা পরিবেশন করতে পারেন। 

ক্যামোমাইল চা: সসপ্যানে দুই কাপ পানি ফুটিয়ে নিন। এবার এর মধ্যে আপেলের কয়েকটি টুকরা অথবা আপেলের টুকরোর মিশ্রণ বানিয়ে তা ঢেলে দিন। এরপর ক্যামোমাইল চা দিন। তিন মিনিট পর ছেঁকে নিন। প্রয়োজনে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। কিন্তু চিনি দেওয়া যাবে না, তাহলে এই চায়ের উপকারিতা নষ্ট হয়ে যাবে।

মসলা দেওয়া লাল চা: একটি পাত্রে দুটি সবুজ ছোট এলাচ দিয়ে পানি ফোটান। কাপে টি-ব্যাগ (গ্রিন অথবা রেগুলার) দুটি রেখে গরম পানি ঢালুন। ৫-৭ মিনিট টি-ব্যাগ পানিতে ডুবিয়ে রাখুন। এরপর সামান্য জাফরান এবং গোলাপজল মেশান। স্বাদমতো মধু বা চিনি দিতে পারেন। এবার এটি গরম করে অথবা বরফ দিয়ে পরিবেশন করুন।

মসলা চা : একটি পাত্রে ৩ কাপ দুধ, দেড় কাপ পানি, তিনটি এলাচের খোসা, তিনটি লেমন গ্রাস, ২ চা চামচ আদাকুচি, এক চা চামচ করে মৌরি ও দারুচিনি গুঁড়া মিলিয়ে বলক তুলে নিতে হবে। এরপর চার চা চামচ চা-পাতা দিয়ে ২ থেকে ৩ মিনিট নেড়ে জ্বাল দিতে হবে। এবার চুলা বন্ধ করে ২-৩ মিনিট ঢেকে রাখুন। পরে ছেঁকে পরিবেশন করুন।