তদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলেন বাফুফে সভাপতি, আজীবন নিষিদ্ধ হচ্ছেন সোহাগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ৩০ জুলাই ২০২৩, ২১:৫৭

আলোচনায় মগ্ন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিন। ছবি: সংগৃহীত
অবশেষে তদন্ত কমিটির রিপোর্ট বুঝে পেয়েছেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিন।
নির্বাহী কমিটির বৈঠক ডেকে সেই সব সুপারিশের অনুমোদন দেবেন তিনি।
তার আগে অফিশিয়ালি প্রকাশ করা হবে না রিপোর্ট, তবে বিভিন্ন সূত্র বলছে ফিফার গাইডলাইনই ফলো করেছে অধিকতর তদন্ত কমিটি।
জানা যায়, তদন্তে আবু নাঈম সোহাগের আর্থিক অনিয়মের সঙ্গে যুক্ত থাকার সস্পৃক্তা পেয়েছে কমিটি।
ফিফা কর্তৃক যে অভিযোগগুলো উঠেছে, মিলেছে তার সত্যতা।
সব কিছুর জন্য তাকে দায়ী করে ফুটবল এবং বাফুফে থেকে আজীবন নিষিদ্ধের সুপারিশ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
অর্থ নয় ছয়ের বড় প্রমাণ মিলেছে বাফুফের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা আবু হোসেনের বিরুদ্ধেও।
একই সঙ্গে ক্রয় সংক্রান্ত দুর্নীতির প্রমাণ মিলেছে অপারেশন্স ম্যানেজার মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে।
তাই এই দুই জনকেও চাকরিচ্যুত করার সুপারিশ করেছে কমিটি।
যদিও গেল ২২ জুলাই নিজেরাই ইস্তফাপত্র জমা দেন বাফুফে বরাবর।
এর আগেই ফিফার প্রতিবেদনে উঠে আসে সহকারি অর্থ কর্মকর্তা অনুপম হোসেনের নাম।
তদন্ত করতে গিয়ে তার সস্পৃক্ততা পেয়েছে কমিটি।
তাই চাকরি থেকে তার অব্যহতির সুপারিশ করা হয়েছে।
যে বিষয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে নির্বাহী কমিটির পরবর্তী সভায়।
এদিকে অনিয়ম ও দুনীতি খুঁজতে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে কম্পিটিশন্স ম্যানেজার জাবের বিন তাহেরি এবং গ্রাসরুট ম্যানেজার হাসান মাহমুদকে।
তাদের বিরুদ্ধে শক্ত কোনো অভিযোগ না পাওয়ায় দেয়া হয়েছে সতর্ক বার্তা।
তদন্ত কার্যক্রমে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিন বলেন, ভবিষ্যতে এমন কার্যক্রমের যাতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে তার জন্য সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হবে।
এর আগে, তদন্ত কমিটি প্রধান বাফুফের সহ-সভাপতি কাজী নাবিল আহমেদ প্রতিবেদন জমা দেন।
তিনি বলেন, আমাদের দায়িত্ব ছিল একটি প্রতিবেদন তৈরি করা।
নির্বাহী কমিটি আমাদের যে দায়িত্ব দিয়েছিল আমরা সেই দায়িত্ব পালন করেছি।
প্রতিবেদন জমার মধ্যে দিয়ে আমাদের কাজও শেষ হলো।
দুর্নীতি কাণ্ডে গেল ১৪ এপ্রিল আবু নাঈম সোহাগের ওপর দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা দেয় ফিফা।
এর তিন দিন পর অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি গঠন করে বাফুফে।