
বিকেএসপি-বাফুফের লোগো। ফাইল ছবি
নাম-পরিচয়সহ বিকেএসপির চারজন খেলোয়াড়ের বিভিন্ন প্রকারের তথ্য গোপন করায় বিকেএসপিকে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছিল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। তবে এক মাসের মাথায় নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিল বাফুফে।
জানা গেছে, সাজার বিরুদ্ধে আপিল করেছিল বিকেএসপি। আবেদন পর্যালোচনা করার পর বিকেএসপি'র শাস্তি প্রত্যাহার করে বাফুফে। আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে আপিল কমিটি বিকেএসপিকে দেওয়া নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি আর্থিক জরিমানাও মওকুফ করেছে।
বিকেএসপির দুই কোচকে ভিন্ন ভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দিয়েছিল বাফুফে। সিনিয়র কোচ শাহীনুল হকের শাস্তিও নেওয়া হয়েছে আপিল করার পর।
উল্লেখ্য, এক খেলোয়াড় নিবন্ধন করে অন্যজনকে খেলানো এবং তথ্য আড়াল করার অপরাধে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল বাংলাদেশ ক্রীড়া প্রতিষ্ঠানকে, যা 'বিকেএসপি' নামেই পরিচিত। ঘটনাটি ঘটে বাফুফের অধীনে পরিচালিত দ্বিতীয় বিভাগ ফুটবল লিগ-২০২৩ ও তৃতীয় বিভাগ অনুর্ধ্ব-১৭ ফুটবল লিগে।
গত নভেম্বরে দ্বিতীয় বিভাগ ফুটবল লিগের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল বিকেএসপি ও আরামবাগ ফুটবল একাডেমি। সেই ম্যাচের পর বিকেএসপির ফুটবলারদের নিয়ে বাফুফের কাছে অভিযোগ জানায় আরামবাগ। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তে নামে বাফুফের ডিসিপ্লিনারি কমিটি এবং তারা এক খেলোয়াড় নিবন্ধন করিয়ে অন্য খেলোয়াড়কে মাঠে নামানোর প্রমাণ পায়।
তৃতীয় বিভাগ অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবল লিগে চকবাজার কিংসের হয়ে খেলার কথা ছিল বিকেএসপির নাইমুর রহমান, হাসান মিয়া ও মোহাম্মদ জিফাতের। কিন্তু তাদের পরিচয় নিয়ে যারা আসলে ম্যাচ খেলেন তাদের সত্যিকারের নাম মোহাম্মদ তাসিন, ইহসান হাবিব রিদুয়ান ও রিফাত কাজী।
পরবর্তীতে দ্বিতীয় বিভাগ ফুটবল লিগে বিকেএসপির হয়ে তাসিন, হাবিব ও রিফাতকে নিবন্ধন করানোর সময় তৃতীয় বিভাগে তাদের তথ্য গোপন করার ব্যাপারটি ধরা পড়ে। বাফুফের তদন্ত কমিটির অনুসন্ধানের পর অভিযুক্তরা নিজেদের দায় স্বীকার করেছেন উল্লেখ করে বাফুফের ডিসিপ্লিনারি কমিটি এক বিবৃতি প্রকাশ করে।
অভিযুক্ত খেলোয়াড়, কোচ এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি ও জরিমানা করে বাফুফে। বাফুফের অধীনে আয়োজিত সকল ধরনের ফুটবল খেলা ও কার্যক্রম থেকে বিকেএসপিকে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুই কোচ শাহীনুল হক ও রবিউল ইসলামকেও সব ধরনের ফুটবল থেকে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়। দুজনকেই ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। অপরদিকে নিজেদের নাম বদলে ভিন্ন নামে খেলা চার ফুটবলারকে ছয় ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করে বাফুফের তদন্ত কমিটি।