Logo
×

Follow Us

ফুটবল

হাল্যান্ড যেন ফুটবলের টারমিনেটর

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩:২০

হাল্যান্ড যেন ফুটবলের টারমিনেটর

আর্লিং হাল্যান্ড। ছবি: সংগৃহীত

ফুটবলের ‘ডিএনএ’ নিয়েই জন্ম আর্লিং হাল্যান্ডের। বাবা আলফি হাল্যান্ড নরওয়ের হয়ে খেলেছেন ৩৪ ম্যাচ। ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টার সিটি আর লিডস ইউনাইটেডের প্রতিনিধিত্ব করেছেন আর ২০০০ সালের ২১ জুলাই জন্ম নেওয়া হাল্যান্ড মাত্র পাঁচবছর বয়সে নরওয়েজিয়ান ব্রাইন ক্লাবের একাডেমি দলে যোগ দেন। বাবা আলফির ক্যারিয়ারও শুরু হয়েছিল ব্রাইনের একাডেমিতে।

বাবার মতোই বর্তমানে খেলছেন ইংল্যান্ডের বিখ্যাত ক্লাব ম্যান সিটিতে। তবে বাবা আলফি ছিলেন কৌশলী ডিফেন্ডার আর হাল্যান্ড বর্তমান বিশ্বের অন্যতম দুর্ধর্ষ ফরোয়ার্ড। ২৪ বছর না পেরোতেই পেশাদার ক্লাব ক্যারিয়ারে করেছেন ২১৭ গোল। আন্তর্জাতিক ফুটবলে ৩৫ ম্যাচে গোলের সংখ্যা ৩২টি। মাত্র দুটি গোল করলেই ছাড়িয়ে যাবেন নিজ দেশের সর্বোচ্চ গোলদাতা জুর্গেন জুভকে (৩৩ গোল)। ২০২৪-২৫ মৌসুমের ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ মাত্র শুরু। এরইমধ্যে মাত্র ৫ ম্যাচে দুটি হ্যাটট্রিকসহ ১০ গোল হাঁকিয়েছেন হাল্যান্ড। ২০২২ সালের মে মাসে ম্যানসিটিতে যোগ দেওয়ার পর ১০৫ ম্যাচে করেছেন ১০০ গোল; ভাগ বসিয়েছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর কোনো ক্লাবের হয়ে সবচেয়ে কম ম্যাচ খেলে গোলের সেঞ্চুরির বিশ্বরেকর্ডে। ২০০৯ সালে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেওয়া সিআর-৭ প্রথম ১০৫ ম্যাচে করেছিলেন ১০০ গোল। 

রেকর্ড যেন ছেলেখেলা হাল্যান্ডের জন্য। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের অভিষেক মৌসুমেই গড়েন সর্বোচ্চ ৩৬ গোলের রেকর্ড। বিগত মৌসুমেও ২৭ গোল করে পেয়েছেন ইপিএলের গোল্ডেন বুট। ২০২২-২৩ মৌসুমে পেয়েছেন ইউরোপের সেরা গোলদাতার গোল্ডেন শু আর উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের সেরা গোলদাতার পুরস্কার। বুরুশিয়া ডর্টমুন্ডের জার্সিতে অসামান্য নৈপুণ্য দেখিয়ে ২০২০-২১ মৌসুমে পেয়েছেন বুন্দেসলিগার সেরা খেলোয়াড়ের স্বীকৃতি। অভিষেক মৌসুমে একই খেতাব জয় করেন ইপিএলে। ক্লাব ক্যারিয়ারে রেড বুল সুলজবার্গের হয়ে প্রথম লিগ শিরোপার স্বাদ পান ২০১৮-১৯ মৌসুমে। অস্ট্রিয়ান লিগেও একই মৌসুমে জিতেছেন সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার। এখন পর্যন্ত তিনটি ভিনদেশি লিগে খেলেই বর্ষসেরা খেলোয়াড় হয়েছেন হাল্যান্ড।

প্রায় সব বিখ্যাত ফুটবলারের একটা বিশেষ নাম থাকে। লিওনেল মেসিকে বলা হয় আর্জেন্টাইন খুদে জাদুকর। রোনালদো পরিচিত সিআর-৭ নামে। আর হাল্যান্ড? নিজেই নিজেকে বলেন, ‘দি টারমিনেটর’। প্রতিপক্ষের রক্ষণদুর্গকে দুমড়ে-মুচড়ে শেষ করে দেওয়াই তার কাজ। তাই বলেন, ‘হ্যাঁ, আমার সঙ্গে ‘দি টারমিনেটর’ নামটা খুব মানানসই।’

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫