
গোল উদযাপন করছেন রর্বাট লেভানদোভস্কি। ছবি: সংগৃহীত
চ্যাম্পিয়নস লিগের নতুন মৌসুমের শুরুটা ভালো ছিলো না বার্সেলোনার। নিজেদের প্রথম ম্যাচে মোনাকোর কাছে হার দিয়ে শুরু করেছিল তারা। তবে দ্বিতীয় ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে কাতালান ক্লাবটি। আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়ার ম্যাচে ইয়াং বয়েজকে উড়িয়ে দিয়েছে লেভানদোভস্কি-ইয়ামালরা।
গতকাল মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) রাতে এস্তাদিও অলিম্পিক স্টেডিয়ামে তুলনামূলক দুর্বল প্রতিপক্ষকে ৫-০ গোলে বিধ্বস্ত করে বার্সেলোনা। দলের হয়ে জোড়া গোল করেন রর্বাট লেভানদোভস্কি। একটি করে গোল করেছেন রাফিনহা ও ইনিগো মার্টিনেজ। একটি গোল এসেছে আত্মঘাতী থেকে।
এদিক বার্সা শুরু থেকেই ফেভারিটের মতো খেলতে থাকে। বলের ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রেখে প্রতিপক্ষকে রীতিমতো ছেলে খেলায় মেতে ওঠে। এদিন বার্সা ম্যাচের ৮ম মিনিটেই এগিয়ে যায়। ব্রাজিলিয়ান তারকা রাফিনহার বানিয়ে দেয়া বলে দুর্দান্ত গোল করে দলকে লিড এনে দেন পোলিশ অধিনায়ক রবার্ট লেভানদোভস্কি।
ম্যাচে লিড নিয়ে আক্রমণের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেয় বার্সেলোনা। দারুণ সব আক্রমণে প্রতিপক্ষকে কাঁপিয়ে দেয় তারা। বিশেষ করে বলতে হবে তরুণ তুর্কি লামিন ইয়ামালের কথা। প্রতি মুহূর্তেই প্রতিপক্ষের বক্সের ভেতর ড্রিবলিংয়ের জাদুতে মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন এই স্প্যানিশ তারকা।
বার্সার আক্রমণে একরম কোণঠাসা হয়ে পড়া ইয়াং বয়েজের বিপক্ষে ম্যাচের ৩৪তম মিনিটে লিড দ্বিগুণ করেন ব্রাজিলিয়ান তারকা রাফিনহা। ডি-বক্সের ভেতর পেদ্রির শট প্রতিহত হলেও ফিরতি শট বল জালে জড়াতে ভুল করেননি ব্রাজিলিয়ান তারকা। ৩ মিনিটের ব্যবধানে লিড ৩–০ করে কাতালানরা। এবার ফ্রি-কিক থেকে হেডে গোল করেন ইনিগো মার্টিনেজ।
তিন গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় বার্সেলোনা। বিরতি থেকে ফিরেই নিজের দ্বিতীয় ও দলের চতুর্থ গোল করেন লেভানদোভস্কি। ইনিগো মার্টিনেজের কাছ থেকে পাওয়া বল অসাধারণ ফিনিশিংয়ে লক্ষ্যভেদ করেন এই পোলিশ স্ট্রাইকার। এরপর ৮০তম মিনিটে বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজেদের জালে বল জড়ান ইয়াং বয়েজের কামারা। শেষ দিকে ইয়াং বয়েজ একটি গোল করলেও অফসাইডের কারণে তা বাতিল হয়ে যায়।