
তাবিথ আউয়াল। ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) এবারের নির্বাচনে সভাপতি পদে ফলাফল জানা গেছে। নির্বাচনে ১২৮ কাউন্সিলরের ভোটের মধ্যে ১২৩ ভোট পেয়ে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন তাবিথ আউয়াল। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী দিনাজপুরের তৃণমূল সংগঠক এফ এম মিজানুর রহমান পেয়েছেন ৫ ভোট।
সভাপতি পদের ফল জানা গেলেও সহ-সভাপতি, নির্বাহী সদস্য পদের ভোট গণনা চলছে বলে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সূত্র জানিয়েছে।
এবারের নির্বাচনে ভোটদানে যোগ্য কাউন্সিলর ছিলেন ১৩৩ জন। তবে ভোট দিতে আসেননি ৫ কাউন্সিলর।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) হোটেল ইন্টারকন্টিনালে দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার মেজবাহ উদ্দিন আনুষ্ঠানিকভাবে সভাপতি পদে তাবিথ আউয়ালকে নির্বাচিত ঘোষণা করেন।
বাফুফের ইতিহাসে গোলাম মোস্তফা, এস এ সুলতান ও কাজী সালাউদ্দিনের পর তাবিথ হলেন নির্বাচিত সভাপতি। এছাড়া স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে আরও ১৩ জন মনোনীত প্রার্থী হয়ে সভাপতির পদে আসীন ছিলেন।
তাবিথ আউয়াল সভাপতি হওয়ার পরই হলো বাফুফেতে কাজী মো. সালাউদ্দিন যুগের অবসান। ২০০৮ সালে প্রথমবারের মতো বাফুফে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন সাবেক এই তারকা ফুটবলার। এরপর ২০১২, ২০১৬ ও ২০২০ সালে তিনি বাফুফে সভাপতি নির্বাচিত হন। নানা বিতর্ক ওঠায় এবার সালাউদ্দিন নির্বাচনে দাঁড়াতে পারেননি।
সালাউদ্দিনের আমলে এর আগে স্বতন্ত্র থেকে ২০১২ এবং ২০১৬ সালের নির্বাচনে দুইবার সহসভাপতি পদে নির্বাচিত হন তাবিথ। ২০২০ সালে সর্বশেষ নির্বাচনে সহসভাপতি পদে দাঁড়ালেও সেবার মহিউদ্দিন আহমেদ মহির কাছে চার ভোটে হেরে যান তিনি।
নির্বাচনে সিনিয়র সহ-সভাপতি ছাড়া সভাপতি, সহ-সভাপতি, সদস্য পদে ভোট হয়েছে। এই ২০ পদের বিপরীতে প্রার্থী সংখ্যা ৪৫। ১৫ নির্বাহী সদস্যের বিপরীতে প্রার্থী ৩৭ জন, ৪ সহ-সভাপতি পদে প্রার্থী ৬ জন রয়েছেন।
এর আগে অবশ্য সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে ইমরুল হাসান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। ফলে এই ভোটে কোনো ভোট হয়নি। তবে সভাপতি, সহ-সভাপতি ও সদস্য পদে তিনটি পৃথক ব্যালটে ভোট দেন কাউন্সিলররা।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে - সভাপতি, সহ-সভাপতি ও সদস্য এই ক্রমান্বয়ে ভোট গণনা হবে। কাউন্সিলরদের ভোটে বাফুফের নির্বাহী কমিটির কর্মকর্তারা নির্বাচিত হবেন।
বাফুফের ভোটে নির্বাচিত নির্বাহী কমিটির মেয়াদ হবে ৪ বছর।