
মো. নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুল। ফাইল ছবি
প্রতিদ্বন্দ্বী ছয়জন প্রার্থীর মধ্যে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক মো. নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুল। তিনি কাউন্সিলরদের দেওয়া ১২৮ ভোটের মধ্যে পেয়েছেন ১১৫ ভোট।
এ ছাড়া নির্বাচিত অপর তিন সহ-সভাপতি হলেন ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী (প্রাপ্ত ভোট ১০৮), সাব্বির আহমেদ আরেফ (প্রাপ্ত ভোট ৯০), ফাহাদ মোহাম্মদ আহমেদ করিম (প্রাপ্ত ভোট ৮৭)। অপর দুই প্রার্থী সৈয়দ রুম্মন বিন ওয়ালি সাব্বির ও শফিকুল ইসলাম মানিক নির্বাচিত হতে পারেননি।
নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুল ঝিনাইদহের রাজনীতিবিদ। তিনি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আ.লীগ মনোনীত প্রার্থীকে হারিয়ে ঈগল প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ঝিনাইদহ-২ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
বাফুফের নব-নির্বাচিত এই সহ-সভাপতি ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান রেডিয়েন্ট ফার্মাসিউটিক্যালসের চেয়ারম্যান এবং জাহেদী ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক। তিনি যশোরে অবস্থিত দেশের প্রথম বেসরকারি উদ্যোগে গঠিত ফুটবল অ্যাকাডেমি ‘শামস-উল-হুদা ফুটবল একাডেমি’র প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি।
এ ছাড়া নাসের শাহরিয়ার জাহেদী যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবির) সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম রিজেন্ট বোর্ডের একজন সদস্য এবং ক্যাডেট কলেজ ক্লাব লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের একাধিকবারের নির্বাচিত সভাপতি। সামাজিক-সাংস্কৃতিক বিভিন্ন সেবামূলক কর্মকাণ্ডের জন্যও খ্যাতি রয়েছে তার।
এবার বাফুফে নির্বাচনে সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন তাবিথ আউয়াল। নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার মেজবাহ উদ্দিন এই ফল ঘোষণা করেন।
নির্বাচনে ১২৮ কাউন্সিলরের ভোটের মধ্যে ১২৩ ভোট পেয়ে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন তাবিথ আউয়াল। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী দিনাজপুরের তৃণমূল সংগঠক এফ এম মিজানুর রহমান পেয়েছেন ৫ ভোট।
এবারের নির্বাচনে ভোটদানে যোগ্য কাউন্সিলর ছিলেন ১৩৩ জন। তবে ভোট দিতে আসেননি ৫ কাউন্সিলর।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) হোটেল ইন্টারকন্টিনালে দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে।
বাফুফের ইতিহাসে গোলাম মোস্তফা, এস এ সুলতান ও কাজী সালাউদ্দিনের পর তাবিথ হলেন নির্বাচিত সভাপতি। এছাড়া স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে আরও ১৩ জন মনোনীত প্রার্থী হয়ে সভাপতির পদে আসীন ছিলেন।
তাবিথ আউয়াল সভাপতি হওয়ার পরই হলো বাফুফেতে কাজী মো. সালাউদ্দিন যুগের অবসান। ২০০৮ সালে প্রথমবারের মতো বাফুফে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন সাবেক এই তারকা ফুটবলার। এরপর ২০১২, ২০১৬ ও ২০২০ সালে তিনি বাফুফে সভাপতি নির্বাচিত হন। নানা বিতর্ক ওঠায় এবার সালাউদ্দিন নির্বাচনে দাঁড়াতে পারেননি।
সালাউদ্দিনের আমলে এর আগে স্বতন্ত্র থেকে ২০১২ এবং ২০১৬ সালের নির্বাচনে দুইবার সহ-সভাপতি পদে নির্বাচিত হন তাবিথ। ২০২০ সালে সর্বশেষ নির্বাচনে সহ-সভাপতি পদে দাঁড়ালেও সেবার মহিউদ্দিন আহমেদ মহির কাছে চার ভোটে হেরে যান তিনি।
এবার বাফুফে নির্বাচনে সিনিয়র সহ-সভাপতি ছাড়া সভাপতি, সহ-সভাপতি, সদস্য পদে ভোট হয়েছে। এই ২০ পদের বিপরীতে প্রার্থী সংখ্যা ৪৫। ১৫ নির্বাহী সদস্যের বিপরীতে প্রার্থী ৩৭ জন, ৪ সহ-সভাপতি পদে প্রার্থী ৬ জন ছিলেন।
এর আগে অবশ্য সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে ইমরুল হাসান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। ফলে এই ভোটে কোনো ভোট হয়নি। তবে সভাপতি, সহ-সভাপতি ও সদস্য পদে তিনটি পৃথক ব্যালটে ভোট দেন কাউন্সিলররা।
বাফুফের ভোটে নির্বাচিত নির্বাহী কমিটির মেয়াদ হবে ৪ বছর।