বদলাতে শুরু করেছে বাংলাদেশের ফুটবলের দৃশ্যপট। ২৫ মার্চ বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেক হয়েছে হামজা চৌধুরীর। শিলংয়ে এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে ভারতের বিপক্ষে খেলেছেন ইংল্যান্ডে জন্ম নেওয়া এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার। 

সাত সমুদ্র তেরো নদী পেরিয়ে বাংলাদেশের হয়ে খেলার জন্য মুখিয়ে আছেন শমিত সোম, কিউবা মিচেল ও ফাহমিদুল ইসলামের মতো প্রবাসী ফুটবলাররা। যশোরের শামস-উল-হুদা ফুটবল একাডেমিতে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্যাম্পে আছেন এলমান মতিন, আব্দুল কাদির ও ফারজাদ আফতাব। ইংল্যান্ড, ইতালি ও যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন একাডেমি দলে খেলা তিন তরুণকে দেখা যেতে পারে ৯ মে থেকে অরুণাচলে অনুষ্ঠেয় সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপে। আগামী জুনে প্রায় ১৩টি দেশের ত্রিশের অধিক প্রবাসী ফুটবলার আসছেন বাফুফে আয়োজিত ট্রায়ালে।  

২০১৩ সালে জামাল ভুঁইয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশ দলে প্রবাসী ফুটবলার অন্তর্ভুক্তি শুরু। বর্তমানে তারিক কাজী ও সৈয়দ শাহ কাজেম কিরমানি জাতীয় দলের অংশ। কানাডা প্রিমিয়ার লিগের ক্যাভারলি এফসির মিডফিল্ডার শমিতের বাংলাদেশি জন্মনিবন্ধন আর পাসপোর্ট তৈরির কাজ চলছে। তার কানাডাপ্রবাসী বাবা মানস সোম ও মা নন্দিতা সোম সিলেটের 

বাসিন্দা। শমিত কানাডার জার্সিতে দুটি আন্তর্জাতিক ম্যাচও খেলেছেন। বাংলাদেশের হয়ে খেলতে তার প্রয়োজন ফিফার ছাড়পত্র। সব ঠিক থাকলে ১০ জুন এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠেয় ম্যাচে হামজার সঙ্গে দেখা যেতে পারে শমিতকে। 

ইংল্যান্ডের সান্ডারল্যান্ডের বয়সভিত্তিক দলের হয়ে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ-২ খেলছেন মিচেল। তার বাবা জ্যামাইকান হলেও মা বাংলাদেশি। ১৯ বছর বয়সী মিচেলকেও বাংলাদেশের হয়ে খেলানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে বাফুফে। এ ছাড়া লাল-সবুজের জার্সিতে খেলার স্বপ্ন দেখছেন ইতালির চতুর্থ টায়ারের ক্লাব ওলবিয়া ক্যালসিওর ফাহমিদুল। তিনি মার্চে সৌদি আরবে বাংলাদেশ দলের ক্যাম্পেও ছিলেন। আর হামজা এরই মধ্যে হয়ে উঠেছেন বাংলাদেশের ফুটবল ‘আইকন’। দেশের ফুটবল থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া সমর্থকদের মধ্যেও ব্যাপক সাড়া ফেলেছে তার আগমন। সবাই স্বপ্ন দেখছে দেশ ও প্রবাসী ফুটবলারদের সমন্বয়ে গড়া বাংলাদেশ একদিন মাথা তুলে দাঁড়াবে।  

এ নিয়ে বাফুফের সিনিয়র সহসভাপতি ইমরুল হাসান বলেছেন, ‘দেশীয় ও প্রবাসীদের সমন্বয়ে অচিরেই বাংলাদেশ ভারসাম্যপূর্ণ দলে পরিণত হবে। আপাতত আমাদের লক্ষ্য এশিয়ান কাপ বাছাই।’