রিয়াল মাদ্রিদ বনাম মায়োর্কা ম্যাচ। ছবি : লা-লিগা
অভিজ্ঞতা, আত্মবিশ্বাস আর অদম্য মানসিকতা—এই তিন অস্ত্র নিয়েই যেন ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প লিখল রিয়াল মাদ্রিদ। বেশ কয়েকজন মূল খেলোয়াড় বাইরে, প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক হয়ে উঠেছিলেন অপ্রতিরোধ্য দেয়াল। একসময় হার চোখ রাঙালেও, সেখান থেকেই জ্বলে উঠল লস ব্লাঙ্কোসরা।
২-১ গোলের এই নাটকীয় সাফল্য যেন বার্সেলোনার শিরোপা উৎসব পিছিয়ে দিয়ে আরও একবার মনে করিয়ে দিল—রিয়াল মাদ্রিদ কখনোই সহজে হারে না।
রিয়াল মাদ্রিদ মানেই শেষ পর্যন্ত লড়ে যাওয়ার দল। বুধবার রাতে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে গ্যালারিতে বসে হাজারো সমর্থক যেমনটা আশা করছিলেন, ঠিক তেমনই এক নাটকীয় ম্যাচ উপহার দিল তাদের দল।
গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়রা না থাকলেও শুরু থেকেই বলের দখল নিয়ে একের পর এক আক্রমণ চালায় স্বাগতিকরা। কিন্তু গোল হচ্ছিল না কিছুতেই। মায়োর্কার গোলরক্ষক লিও রোমান যেন একাই দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। এমবাপে, বেলিংহাম, মদ্রিচ—কারও শটই তার সামনে দিয়ে যেতে পারেনি।
উল্টো, ম্যাচের প্রথম গোলটা হয় রিয়ালের ভুলে। ডান দিক থেকে শট ঠেকাতে গিয়ে বল গিয়ে পড়ে অরক্ষিত মার্তিন ভালিয়েন্তের পায়ে। তিনি নিখুঁত শটে এগিয়ে দেন মায়োর্কাকে।
এই গোলের পর রিয়াল যেন আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে। কিন্তু গোলরক্ষক রোমান ছিলেন দুর্দান্ত। একের পর এক সেভ করে ধরে রাখেন দলের লিড।
তবে দ্বিতীয়ার্ধে বদলে যায় দৃশ্যপট। ৬৮তম মিনিটে লুকা মদ্রিচের পাস পেয়ে প্রতিপক্ষের চার ডিফেন্ডারের মাঝে ঢুকে যান কিলিয়ান এমবাপ্পে। ঠাণ্ডা মাথায় শট নিয়ে বল জালে জড়ান। রিয়াল পায় সমতা, আর গর্জে ওঠে গোটা গ্যালারি। এটা ছিল এমবাপ্পের লা লিগায় ২৮তম ও সব মিলিয়ে ৪০তম গোল।
শেষ পর্যন্ত যখন মনে হচ্ছিল ম্যাচ ড্রই হচ্ছে, তখনই আসে সেই বিশেষ মুহূর্ত। ৯৫তম মিনিটে কর্নার থেকে ফিরতি বল হেডে বাড়ান হেসুস ভালেহো। বলটা পেয়ে পেছন থেকে দুর্দান্ত এক ভলিতে জালে পাঠান ইয়াকোবো রামন। ২০ বছর বয়সী এই ডিফেন্ডারের রিয়ালের হয়ে এটাই ছিল প্রথম গোল।
ম্যাচ শেষ হয় ২-১ ব্যবধানে রিয়ালের জয় দিয়ে। এই জয়ে ৩৬ ম্যাচে রিয়ালের পয়েন্ট দাঁড়াল ৭৮। বার্সেলোনা এখনো শীর্ষে, তাদের পয়েন্ট ৮২, তবে এক ম্যাচ কম খেলেছে। রাতে এস্পানিওল এর বিপক্ষে মাঠে নামবে বার্সা। জয়ের ধারা ধরে রাখতে মরিয়া হ্যান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা।