Logo
×

Follow Us

ফুটবল

সেই তিন নারীর দ্বিতীয়জনকে খুঁজে পেলেন রোনালদো

Icon

খলিলুর রহমান

প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০১৯, ১১:৩৬

সেই তিন নারীর দ্বিতীয়জনকে খুঁজে পেলেন রোনালদো

ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। ছবি: ইন্টারনেট

ফুটবল কী দেয়নি ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোকে। বিশ্বজুড়ে খ্যাতির সঙ্গে বানের জোয়ারের মতো হাতে এসেছে টাকা-পয়সা। অর্থের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রোনালদোর জীবনে মিলেছে নারী সঙ্গও। কত নারীর সঙ্গেই মনের প্রণয় ঘটেছে তার! অনেকটা পোশাক বদলের মতোই বান্ধবী বদলের অভ্যাস তার! আজ একজনের বাহুডরে বাঁধা তো কালই তাকে ছেড়ে ধরেছেন অন্য আরেকজনকে।

ছেড়ে আসা সেসব বান্ধবীদের কথা এখনো রোনালদোর মনে পড়ে কিনা বা তাদের জন্য তার মন কাঁদে কিনা,বলা যায় না। তবে বিশেষ ৩ জন নারীর জন্য এখনো মন কাঁদে রোনালদোর। যাদের সঙ্গে রোনালদোর সম্পর্কটা বিশেষ। যে সম্পর্কটা গড়ে উঠেছিল সেই ছোট্টবেলায়, বিশেষ কারণে। শুধু প্রণয়ঘটিত ব্যাপার নয়, এ ছাড়াও জীবনে কত মানুষের সঙ্গে কত রকম সম্পর্কই তো গড়ে উঠেছে। কিন্তু ছোট্টবেলার বিশেষ পরিচয়ের সেই ৩ নারীকে এখনো ভুলতে পারেননি রোনালদো। সময়ের স্রোতে হারিয়ে ফেলা সেই ৩ নারীকে এখনো খুঁজে ফিরে তার মন। সব সময় ছটফট করে, আরেকবার যদি দেখা মিলত তাদের। মনের ডাকে সারা দিয়ে কদিন ‘সেই ৩ নারীর সন্ধান চাই’ বিজ্ঞাপনও দিয়েছেন পর্তুগিজ সুপারস্টার। বিজ্ঞাপন বলতে, এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে ‘সেই ৩ নারীর সন্ধান চাই’ আকুতি জানান আর কি! রোনালদো সেই ৩ নারীর সন্ধান চান, যারা ছোটবেলায় তার ও তার বন্ধুদের বিনা পয়সায় বার্গার খেতে দিত! মায়াবতী বোন হয়ে মেটাত ছোট্ট রোনালদোদের পেটের ক্ষুধা! 

সম্প্রতি আইটিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ৩৪ বছর বয়সী রোনালদো নিজেই বলেছেন, ছোটবেলায় খাবারের আশায় রাতের বেলা ম্যাকডোনাল্ডসের পাশে বার্গারের দোকানের সামনের রাস্তায় বসে থাকতেন তারা। বুভুক্ষ পেটে বসে থাকতেন আসলে বিক্রি না হওয়া বার্গার পাওয়ার আশায়। 

দোকানের ৩ নারী কর্মীও দয়াবতী বোন হয়ে তাদের বার্গার খেতে দিতেন। কিন্তু সময়ের  স্রোতে সেই ৩ নারীকে হারিয়ে ফেলেন রোনালাদা। তারা কোথায় থাকেন, কি করেন, কিছুই জানতেন না। 

তো ‘সন্ধান চাই’ আকুতি জানানোর কদিনের মধ্যেই দ্বিতীয়জনের দেখা মিলল। প্রথম সন্ধান পান ‘পলা লেকা’ নামের একজনের। তার খোঁজ মিলে পর্তুগিজ পত্রিকা ‘রেনাঁসেসাঁ’র কল্যাণে। এবার পর্তুগালেরই আরেক ক্রীড়া দৈনিক ‘রেকর্ড’-এর মাধ্যমে সন্ধ্যান মিলল দ্বিতীয়জনের। তার নাম এডনা কারিনা ইমানুয়েল কালদাস। টেলিভিশনে রোনালদোর বার্তা পেয়ে এডনা নিজেই এসে ‘রেকর্ড’কে নিজের পরিচয় দিয়েছেন। রোনালদো তাকে খুঁজছেন, এটা জেনে খুবই খুশি এডনা। শিহরিত মনে নিজেই তাই পত্রিকাটি অফিসে ছুটে যান রোনালদোর সঙ্গে যোগাযোগ করে দেওয়ার জন্য। এত বড় হয়েও রোনালদো সেই তুচ্ছ ঘটনা এবং তাদের কথা এখনো মনে রেখেছেন জেনে শিহরিত ৩৬ বছর বয়সী এডনা। বলেছেন, ‘খুব খুব খুশি লাগছে। এতেই বোঝা যায়, সে কতটা বিনয়ী। আমি তার মনে রাখার মতো কেউ না। এত বছর পরেও সে আমার কথা মনে রাখবে, এটা কখনো ভাবিনি আমি। এটা প্রমাণ করে সে কতটা ভালো মানুষ এবং জীবনের কত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিষয় মনে রাখে সে। সত্যিই আমি খুব খুশি।’ 

এর আগে পলা লেকাও তাদেরকে এখনো মনে রাখার জন্য রোনালদোকে বিশেষ ধন্যবাদ জানিয়েছেন। ছোটবেলার ঘটনার বর্ণনা দিয়ে পলা লেকা বলেছেন, ‘ওরা দোকানের কাউন্টারের সামনে ভিড় করত। অতিরিক্ত বার্গার আছে কিনা জানতে চাইত। আমরা ম্যানেজারের অনুমতি নিয়ে অবিক্রীত বার্গারগুলো ওদের দিতাম। ছেলেদের মধ্যে একজন ছিল রোনালদো। সবার মধ্যে ওই ছিল সবচেয়ে রোগাপটকা। প্রায় প্রতি রাতেই এমনটা ঘটত। বার্গার পেয়ে ওরা খুব খুশি হতো। তৃপ্তিভরে খেত। ওদের খেতে দেখে কী যে ভালো লাগত!’

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫