
ফ্রান্স জাতীয় ফুটবল দল থেকে অবসর নিয়েছেন পল পগবা- এমন খবর প্রকাশ পেলেও ওই খবরকে পুরোপুরি ভুয়া বলে উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, আনএক্সেপ্টেবল, ফেইক নিউজ।
আজ সারাদিনই সারা বিশ্বের মেইনস্ট্রিম মিডিয়া কিংবা সোশ্যাল মিডিয়া সরগরম এটা নিয়ে। মধ্যপ্রাচ্যের কিছু সংবাদ মাধ্যমের বরাত দিয়ে এই সংবাদ গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশ করে ব্রিটিশ মিডিয়া দি সানও। সানের সংবাদ প্রকাশের জের ধরে, অন্য অনেক মেইনস্ট্রিম মিডিয়াও সংবাদ প্রকাশ করে।
সোমবার (২৬ অক্টোবর) সন্ধ্যার পরই সোশ্যাল মিডিয়া ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টের মাধ্যমে সব কিছুর অবসান করে দিয়েছেন পগবা নিজে।
হযরত মুহাম্মদকে (সঃ) নিয়ে ফ্রান্স প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর আপত্তিকর মন্তব্য এবং প্যারিসসহ ফ্রান্সের বিভিন্ন শহরে মুহাম্মদ (সঃ) এর ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শনের প্রতিবাদে ফ্রান্স জাতীয় ফুটবল থেকে পল পগবা পদত্যাগ করেছেন বলে খবর ছড়িয়ে পড়ে।
মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কিছু সংবাদ মাধ্যম এই খবর প্রকাশ করলেও এ নিয়ে পগবা কিংবা ফ্রান্স ফুটবল ফেডারেশনের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। সোশ্যাল মিডিয়ায়ও এ নিয়ে সরগরম ছিলো। কিন্তু সবাই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিল, পগবার পক্ষ থেকে এ সম্পর্কে বক্তব্য আসুক। তাহলে সব কিছু পরিষ্কার হয়ে যাবে।
শেষ পর্যন্ত সেই বক্তব্যটা এলো পগবার পক্ষ থেকে। নিজের ইনস্টাগ্রাম পেজে দেয়া পোস্টে পগবা জানিয়ে দিলেন, ফ্রান্স জাতীয় ফুটবল দল থেকে তার পদত্যাগের সংবাদ সঠিক নয়। এমনকি এ ধরনের সংবাদ যারা প্রকাশ করছে, সেটা গ্রহণযোগ্যও নয়। পুরোপুরি ভুয়া। এমনকি ভুয়া সংবাদ প্রকাশকের বিপক্ষে আইনি পদক্ষেপ নেবেন বলেও হুমকি দিয়ে রাখলেন তিনি।
ইনস্টাগ্রাম পোস্টে পগবা লিখেন, দ্য সান আবারো একই কাজ করলো। আমার সম্পর্কে তারা শতভাগ মিথ্যা একটি সংবাদ প্রকাশ করলো, যেটা এরই মধ্যে চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। অথচ, এ ধরনের কোনো কথা আমি কখনো বলিনি কিংবা চিন্তাও করিনি। আমি হতবাক, ক্রুদ্ধ, বিস্মিত এবং হতাশ হয়েছি এই সংবাদের কারণে। যেখানে তারা আমাকে শিরোনামে এনেছে। ফ্রান্সের বর্তমান পরিস্থিতিতে আমার ফুটবল খেলার সঙ্গে ধর্মবিশ্বাসকে টেনে এনেছে।
পগবা লিখেন, আমি সব সময়ই সব ধরনের সন্ত্রাস এবং সহিংসতার বিপক্ষে রয়েছি। আমার ধর্ম অবশ্যই সব সময় শান্তি ও ভালোবাসার এবং অবশ্যই সম্মান পাওয়ার যোগ্য। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে কিছু মিডিয়া সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিচ্ছে না। তারা তাদের সাংবাদিকতার স্বাধীনতার অপব্যবহার করছে। তারা কি লিখছে, সেগুলোকে কোনোভাবে যাচাই করছে না। তারা গল্প-গুজব তৈরি করছে, যা মানুষের জীবন এবং আমার ব্যক্তিগত জীবনকে মারাত্মকভাবে ব্যাহত করছে। আমি এই ভুয়া সংবাদ প্রকাশক এবং প্রচারকের বিপক্ষে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।