
জুভেন্তাসের ইতালিয়ান কাপ জয়ের উল্লাস / ছবি : ফেসবুক
হতাশায় ঘেরা মৌসুমে অন্তত একটা লক্ষ্য পূরণ হলো জুভেন্তাসের। আটলান্টাকে হারিয়ে দুই মৌসুম পর ইতালিয়ান কাপ জিতল তুরিনের ক্লাবটি।
লিগ আর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে মোটেও আশানুরূপ পারফর্ম্যান্স দিতে পারেননি রোনালদোরা। ইউরোপসেরার মঞ্চ থেকে বিদায় নিয়েছেন দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে। এরপর লিগে তো রীতিমতো শীর্ষ চার নিয়েই টানাটানি। প্রতিপক্ষ আটলান্টা বলে শঙ্কাটা বেড়ে গিয়েছিল আরও। সিরি-আ তে প্রথম দেখায় ১-১ ড্রয়ের পর ফিরতি লেগে আটালান্টায় ১-০ গোলে হেরেছিল দলটা।
এরপর শুরুতেই পড়েছিল বিপদে। পালেমিনোর শটটা গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি বুফন ঠেকান কোনোক্রমে। এর মিনিট দুয়েক পর দুভান জাপাতা জুভেন্তাস বিপদসীমায় জর্জিও কিয়েলিনিকে দারুণভাবে ছিটকে শট নেন, তবে তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
বাজে শুরুর পর জুভেন্তাস এরপরই নিজেদের গুছিয়ে নেয়। বলের দখল রাখার সুফলটা আসে ৩১ মিনিটে। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো প্রতিপক্ষ বিপদসীমায় এসে বল হারালেও জুভেন্তাস এগিয়ে যায় দেয়ান কুলুসেভস্কির গোলে। এরপর আটালান্টাও সমতা ফেরাতে সময় নেয়নি খুব একটা। বক্সের মুখ থেকে দারুণ এক শটে স্কোরলাইন ১-১ করেন ইউক্রেনের মিডফিল্ডার মালিনভস্কি।
বিরতির পর ধার বাড়লেও গোলের দেখা পাচ্ছিল না জুভেন্তাস। ৬০ মিনিটে ফেদেরিকো চিয়েসার শট ফেরে পোস্টে লেগে। তবে ম্যাচের বয়স যখন ৭০ মিনিট, তখনই জয়সূচক গোল পায় জুভেন্তাস, এই চিয়েসার চেষ্টাতেই।
প্রথম গোলের নায়ক কুলুসেভস্কির সঙ্গে বল দেওয়া-নেওয়া করে চিয়েসা ঢুকে পড়েন আটলান্টার বক্সে। গোলরক্ষককে একা পেয়ে গোলটি করেন তিনি। এর ফলেই নিশ্চিত হয় দলটির ১৪তম ইতালিয়ান কাপ শিরোপা।