
ইউরোর প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি ইতালি-স্পেন। ছবি: সংগৃহীত
ইউরোর মঞ্চে স্পেনের সঙ্গে সবশেষ দেখায় হেসেছিল ইতালি। এবারের আসরে দারুণ ধারাবাহিক তারাই, অনেকের চোখে এখন পর্যন্ত আসরের সেরা দল।
মঙ্গলবার (৬ জুলাই) রাত ১টায় শুরু হচ্ছে ইতালি-স্পেনের সেমিফাইনাল। বিশ্বকাপ ও ইউরো মিলিয়ে নয়বার দেখা হয়েছে ইতালি ও স্পেনের। এর মধ্যে চারবার জিতেছে ইতালি। স্পেন জিতেছে একবার। বাকি চার ম্যাচ ড্র হয়েছে।
এর মধ্যে ১৯৯৪ সালের বিশ্বকাপ নকআউট ম্যাচ বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য। কারণ ইতালিয়ানদের বিপক্ষে ২-১ গোলে হেরে যাওয়ার ওই ম্যাচে খেলেছিলেন লুইস এনরিকে। ইতালিয়ান ডিফেন্ডার মাউরো তাসোত্তির আঘাতে নাক ফেটে যায় তার।

২৭ বছর আগের সেই স্মৃতি কি মনে রেখেছেন এনরিকে? ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে এড়িয়ে গেলেন সেই প্রশ্ন।তিনি বলেন, ‘এটা বোকার মতো কথা হবে যদি এখন বলি সেমিফাইনাল ছাড়া অন্য কিছু ভাবছি, বা আরেক ধাপ এগিয়ে যাওয়ার চিন্তা ছাড়া আমাদের মাথায় অন্য কিছু ঘুরছে। আমাদের সামনে লক্ষ্য একটাই।’
গত বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করতে ব্যর্থ হওয়ার পর বিশেষজ্ঞদের ধারণা ছিল ইতালিয়ান ফুটবলের ঘুরে দাঁড়াতে অন্তত দশ বছর লাগবে। আড়াই বছরে সেটা করে দেখিয়েছেন রবার্তো মানচিনি।
বিশ্ব ফুটবলে ইতালি নিজেদের হারানো সম্মান শুধু ফিরেই পায়নি, রীতিমতো ঈর্ষণীয় রেকর্ডের জন্ম দিয়ে উঠে এসেছে ইউরোর সেমিফাইনালে। টানা ৩২ ম্যাচ অপরাজিত আৎসুরিরা।
এবারের ইউরোতে ইতালি একমাত্র দল যারা সবগুলো ম্যাচে জিতেছে। টুর্নামেন্টে খেলা ৫ ম্যাচে ১১ গোল করেছে তারা। আর হজম করেছে মাত্র দুটি। সবমিলিয়ে বর্তমানে ইউরোপের সেরা দল মানচিনির ইতালি।

নিজেদের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে আত্মবিশ্বাসী দলটি। স্পেনের বিপক্ষে ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার লিওনার্দো বনুচ্চি জানালেন, সেমিতেও নিজেদের খেলার স্টাইল বদলাবে না ইতালি।
তিনি বলেন, ‘আমরা আগের ৩২টি ম্যাচ যেভাবে খেলে এসেছি তেমনটা খেললেই একটা ভালো ফল আসবে। ওয়েম্বলির মতো ঐতিহ্যের একটা জায়গায় শক্তিশালী একটা দলের বিপক্ষে খেলতে যাচ্ছি, এ বিষয়টিই আমাদের উজ্জীবিত করছে। কয়েকদিনের ব্যবধানেই আমাদের পক্ষে ফাইনাল খেলা সম্ভব।’