বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা নিয়ে মাঠ প্রদক্ষিণ করেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের খেলোয়াড়রা
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল অবিচ্ছেদ্য এক অংশ। দেশের ক্রান্তিকালে বল পায়ে স্বাধীনতার পক্ষে জনমত তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন ফুটবলাররা।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার কথা উঠলে তাই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের নাম উচ্চারিত হবেই। বছরের পর বছর নির্যাতিত-নিষ্পেষিত বাঙালি জাতির ওপর বর্বর পাকিস্তানি বাহিনীর শোষণ চলছিল। তারই ধারাবাহিকতায় ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের পর ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের বিজয় আসে। নয় মাস স্থায়ী এ যুদ্ধে নারী পুরুষ নির্বিশেষে সকল বয়সের সব পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করে।
ফুটবল খেলে দর্শকদের বিনোদন দেয়া যাদের কাজ ছিল তারা সে উত্তাল সময়ে বসে থাকেনি। পাক হানাদার বাহিনীর হাত থেকে দেশকে মুক্ত করতে খেলার মাঠে সৃষ্টি করেছিল মুক্তিযুদ্ধের আরো একটি ফ্রন্ট।
দেশকে শত্রু মুক্ত করতে তাদের কণ্ঠে ধ্বনিত হয়েছিল স্বাধীনতার শ্লোগান। বিশ্বের মানচিত্রে জায়গা করে নিতে দৃঢ় কঠিন প্রতিজ্ঞা নিয়েই দেশের একঝাঁক তরুণ ফুটবলার গঠন করেছিলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল।
জাকারিয়া পিন্টুর নেতৃত্বাধীন দলটি ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রদর্শনী ম্যাচ খেলার পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অর্থও সংগ্রহ করেছিল। এসব ম্যাচ খেলে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল তৎকালীন বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের হাতে তিন লাখ ভারতীয় মুদ্রা তুলে দিয়েছিল।
ক্রীড়া সমিতি থেকে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল ভারতের বিভিন্ন স্থানে ১৬টি প্রদর্শনী ম্যাচে অংশগ্রহণ করে। এই ১৬টি ম্যাচের মধ্যে ১২টি জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ার পাশাপাশি তিনটি খেলার পরাজিত ও একটিতে ড্র নিয়ে করেছিল ইস্পাত কঠিন এ দলটি।
তৎকালীন অস্থায়ী সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্যার্থে অর্থ সংগ্রহের লক্ষ্যে যে কয়েকজন তরুণ ফুটবলার স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করেছিলেন তারা সবসময়ই জাতির কাছে অত্যন্ত গৌরবের পাত্র হিসেবে বিবেচিত হবেন। কেবল ঢাকার খেলোয়াড়ই নয়, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অনেক তরুণ খেলোয়াড়ই তখন সীমান্ত থেকে এসে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলে যোগ দিয়েছিলেন।
মুক্তিযুদ্ধে ফুটবলারদের এই অবদানের কথা চিরদিন অম্লান হয়ে থাকবে। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পাশাপাশি জাতি শ্রদ্ধাভরে স্বরণ করবে ফুটবল মুক্তিযোদ্ধাদের।
ক্রীড়া সমিতি থেকে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল
মুক্তিযুদ্ধের উত্তাল সময়ে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রদর্শনী ম্যাচ খেলে মুক্তিযুদ্ধের কল্যাণ তহবিলে অর্থ দান করেছিল সেই দলটির নাম কিভাবে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল হলো?
দলটির সঙ্গে থাকা খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রথমে এই দলটির নাম ছিল ক্রীড়া সমিতি, যার প্রধান পৃষ্ঠপোষক ছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। পরবর্তীতে তিনি জেলে থাকার কারণে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমেদ এই দায়িত্ব পালন করেন। সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন তিনজন। প্রথম শামসুল হক (তৎকালীন মন্ত্রী), দ্বিতীয় মরহুম আশরাফ চৌধুরী এন.এ ও তৃতীয় এনআই চৌধুরী কালু ভাই।
সাধারণ সম্পাদক- লুৎফর রহমান, কোষাধ্যক্ষ মহসিন, সদস্য- এমএ হাকিম (জামালপুর), এমএ মতিন (ভালুকা এনএ), মজিবর রহমান ভূঁইয়া, গাজী গোলাম মোস্তফা ও শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন।
সে সময়ে চলমান এ কমিটি নিয়ে প্রথম ক্রীড়া সমিতি থেকে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করা হয়। পরবর্তীতে ভারতে থাকাকালীন সময় আরো কিছু সদস্য যোগ হয়। তারা হলেন, হিসাবরক্ষক- নাজির আহমেদ, ক্যাম্প সুপারভাইজার- খসরু ও দলের ম্যানেজার তানভীর মাজহার তান্না। অথচ এই কমিটি গঠন নিয়ে অনেকের মধ্যে পরিষ্কার কোনো ধারণা ছিল না।
ঐতিহাসিক ২৪ জুলাই
১৯৭১ সালের ২৪ জুলাই দিনটি স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের জন্য বিশেষভাবে স্বরণীয় হয়ে আছে। এদিন ভারতের নদীয়া জেলা একাদশের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামে স্বাধীনতার জন্য ভুভুক্ষ থাকা বাঙালির প্রতিনিধিত্ব করা দলটি। এই খেলাটি একদিকে যেমন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের প্রতিটি খেলোয়াড়ের জীবনে অনন্য স্মৃতি পাশাপাশি এই খেলাটির মাধ্যমে যাত্রা শুরু হয় গৌরবময় এক অধ্যায়ের। যে অধ্যায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের একটি স্বর্ণোজ্জ্বল অংশ। এই ম্যাচের বিশেষত্ব ছিল, মাঠে নামার আগেই খেলোয়াড়রা সিদ্বান্ত গ্রহণ করেছিল প্রথম মাঠে নেমেই তারা ’প্রিয়’ বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা নিয়ে মাঠ প্রদক্ষিণ করবেন।
পাশাপাশি তাদের দাবি ছিল, মাঠ প্রদক্ষিণ শেষে আনুষ্ঠানিকতার মধ্যদিয়ে জাতীয় সংগীতের মূর্ছনায় বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার সঙ্গে ভারতীয় জাতীয় পতাকাও উত্তোলন করতে হবে।
২৪ জুলাই নদীয়ার কৃষ্ণনগরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের খেলাটিকে কেন্দ্র করে সেখানকার জনগণের মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। জনগণ স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের খেলোয়াড়দের পোস্টারে সুশোভিত করে তোলে শহরের বেশিরভাগ স্থান। নানা মাধ্যমে খেলাটির ব্যাপক প্রচার চলতে থাকে। ওদিকে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের মাধ্যমে খেলার খবরটি জানতে পেরে কুষ্টিয়া জেলা থেকে কৃষ্ণনগরে ছুটে যান অনেক ক্রীড়ামোদি।
অন্যরকম এক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল সেদিন। দর্শকপূর্ণ গ্যালারিতে উৎসবমুখর পরিবেশ। মাঠে নামার জন্য দু’দলই প্রস্তুত। দর্শকদের অপেক্ষার প্রহর যেন শেষই হচ্ছে না।
বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত বাজানো ও জাতীয় পতাকা উত্তোলনকে কেন্দ্র করে এ বাঁধলো এক ঝামেলা। যেহেতু ভারত সরকার তখনো পর্যন্ত অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দান করেনি, সে কারণে নদীয়া জেলা প্রসাশক জোর আপত্তি জানালো বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত বাজানো ও জাতীয় পতাকা উত্তোলনের ব্যপারে। সে সময় নদীয়া জেলা একাদশ দল মাঠে নামলেও বেকে বসলো স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল।
প্রদীপ্ত ফুটবলারদের একটাই দাবি ছিল, প্রিয় বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত বাজানো না হলে, জাতীয় পতাকা উত্তোলন না করা হলে তারা মাঠে নামবেন না। পরে ব্যক্তিগত উদ্যোগে বিষয়টির ফয়সালা করেন নদীয়া জেলা প্রসাশক।
তিনি অনেকটা স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ভারত ও বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত বাজানো এবং দুটি দেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলনে নেতৃত্ব দেন। তুমুল করতালির মধ্যে মাঠে নামে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল। চোখে মুখে বিজয়ের হাসি নিয়ে জাকারিয়া পিন্টু ও প্রতাশ শংকর হাজরার হাত ধরে মানচিত্র খচিত সবুজ জমিনে লাল সূর্য ধরে রাখা বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা ’জয় বাংলা’ ধ্বনিতে আকাশ বাতাস কাপিয়ে পুরো মাঠ প্রদক্ষিণ করে। গ্যালারিতে উপস্থিত হাজার হাজার দর্শকের করতালি আর উলাস ধ্বনির মধ্যদিয়ে খেলোয়াড়দের অভিবাদন জানান। এ সময় প্রগাঢ় আবেগসিক্ত হৃদয়ে প্রতিটি খেলোয়াড় জাতীয় পতাকায় চুম্বন করেন।
এরপর ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি’ মধুময় জাতীয় সংগীতের সুর মুর্ছনার মধ্যদিয়ে ভারতীয় জাতীয় পতাকার সাথে উত্তোলিত হয় বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা।
আর এ পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমেই বাঙালি জাতির সমৃদ্ধ গর্বিত ইতিহাসে সংযোজিত হয়েছিল এক যুগান্তকারী অধ্যায়ের। এই খেলাটি ২-২ গোলে ড্র হয়। যদিও খেলাটিতে জয় কিংবা পরাজয়ের চেয়ে মাঠে নামাটাই ছিল বড় ব্যপার। এ খেলার মধ্যদিয়ে বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনে একটি স্বাধীন দেশের যাত্রা শুরু হয়েছিল, যা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব বহন করে।
এখানে বিশেষভাবে উলেখ করা প্রয়োজন যে, এ খেলাটির পর নদীয়া জেলা প্রসাশককে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয় এবং সেই সঙ্গে নদীয় জেলার ক্রীড়া অ্যাফিলিয়েশন বাতিল করা হয়। যদিও পরে পরিস্থিতি বুঝতে পেরে ভারত সরকার জেলার প্রসাশককে চাকরিতে পুর্নবহাল করে।
১৬টি ম্যাচ খেলেছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল
স্বাধীনতার যুদ্ধের উত্তাল সে সময়ে ভারতের বিভিন্ন স্থানে ১৬টি প্রদর্শনী ম্যাচ খেলেছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল। প্রথম ম্যাচটি ২৪ জুলাই নদীয়ার কৃষ্ণনগরে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। খেলাটি ২-২ গোলে ড্র হয়। দ্বিতীয় খেলাটি অনুষ্ঠিত হয় কলকাতার মোহনবাগান মাঠে ৮ আগস্ট। এ খেলায় মোহনবাগান একাদশ গোটপাল একাদশ নাম ধারণ করে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের মোকাবেলা করে। গোটপাল মোহনবাগানের বিখ্যাত খেলোয়াড় ছিলেন। এ ম্যাচে তিনি প্রধান অতিথি ছিলেন। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল ৪-২ গোলে খেলাটিতে পরাজিত হয়। ১৪ আগস্ট দক্ষিণ কলকাতার বিরুদ্ধে মাঠে নামে জাকারিয়া পিন্টুরা। হাজার হাজার দর্শকদের উঞ্চ অভিনন্দন খেলোয়াড়দের মধ্যে প্রাণ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। ২০ আগস্ট স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল নরেন্দ্রপুর একাদশের বিরুদ্ধে রামকৃষ্ণ মিশনে খেলতে যায়। সেখানে নরেন্দ্রপুর একাদশের মোকাবেলা করে তারা।
এর ক’দিন পর দলটি বর্ধমান একাদশের বিরুদ্ধে মাঠে নামে। এরপর ফকরপুর, বেনারস, বিহার প্রদেশের সিওয়ান প্রভৃতি স্থানে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল প্রদর্শনী ম্যাচে অংশগ্রহণ করে।
দলের অধিনায়ক জাকারিয়া পিন্টুর মতে, যতগুলো খেলায় তারা অংশগ্রহণ করেছিলেন তার মধ্যে বোম্বের খেলাটি ছিল সবচেয়ে আকর্ষনীয়। এখানে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল মহারাষ্ট্র একাদশের বিরুদ্ধে খেলতে নামে। এ খেলার মহারাষ্ট্রের অধিনায়ক ছিলেন ভারতের ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক নবাব মনসুর আলী খান পতৌদি। মুক্তিযোদ্ধা ফুটবলারদের উৎসাহ প্রদাণ করতে সে সময় গ্যালারিতে উপস্থিত ছিলেন দিলীপ কুমার, শর্মিলা ঠাকুর, রাজেশ খান্না ও মমতাজ। খেলা দেখার পাশাপাশি তারা সবাই আর্থিকভাবেও সহযোগিতা করেন। তীব্র প্রতিদ্বন্ধিতাপূর্ণ এ খেলায় স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল ৩-২ গোলে জয়ী হয়।
বোম্বের পর আবারো কলকাতায় ম্যাচ খেলে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল। এখানে মালদহ জেলা ক্রীড়া সংস্থা একাদশের বিরুদ্ধে ৬-০ গোলের বড় ব্যবধানে জয়ী হয় তারা। এরপর বালুরঘাট মাঠে পশ্চিম দিনাজপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার বিরুদ্ধে মাঠে নামে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল।
ভারতের বিভিন্ন স্থানে অনুষ্ঠিত খেলাগুলোর সময় যে উন্মাদনা তৈরি হয়েছিল সে সম্পর্কে দলটির ম্যানেজার তানভীর মাজহার তান্না বলেন, ’১৯৭১ সালের উত্তাল সে সময়ে আমরা যে স্টেডিয়ামেই উপস্থিত হয়েছি সেখানকার প্রায় প্রতিটিতেই হাজার হাজার ফুটবলপ্রেমী আমাদের উৎসাহ দিতে উপস্থিত হয়েছে। যা ভাষায় প্রকাশ করার মতো না’।
অপূর্ণতা ঘোচালেন কাজি সালাউদ্দিন
২০০৮ সালের ২৮ এপ্রিল কঠিন এক পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন-বাফুফের সভাপতি নির্বাচিত হন বাংলাদেশের ফুটবলের সবচেয়ে বড় তারকা কাজি সালাউদ্দিন। দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের জন্য কিছু করার। কারণ তিনি নিজেও বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও ক্রীড়াঙ্গনের ঐতিহাসিক সে দলটির গর্বিত সদস্য ছিলেন।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে বাফুফে ভবনের প্রবেশপথে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সব খেলোয়াড়ের নামাংকিত একটি ফলক তৈরি করেন। যা ২০০৯ সালের ৪ জানুয়ারি উদ্বোধন করেন তৎকালীন সেনাবাহিনী প্রধান মঈন ইউ আহমেদ। এমনিতে নানা কারণে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলটিকে একসঙ্গে খুব একটা দেখা যায়নি। এছাড়া দলের সদস্যদের মধ্যে নানা কারণে মতের অমিল ছিল।
কাজি সালাউদ্দিন ঐতিহাসিক দলটিকে একটি ফলকের মাধ্যমে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। যাতে সম্মানিত হয়েছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল। যদিও তার আগে মওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়ামে একটি কক্ষ বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল দলটির নামে।