ছয়বারের চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখকে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠেছে ভিয়ারিয়াল। ঘরের মাঠে দ্বিতীয় পর্বের ম্যাচে ৮৮ মিনিটে গোল হজম করে ভিয়ারিয়ালের সাথে ১-১ গোলে ড্র করাই কাল হয়েছে ছয়বারের চ্যাম্পিয়নদের।

গতকাল মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) রাতে বার্য়ান মিউনিখের নিজেদের মাঠ আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় দ্বিতীয় পর্বের এ খেলা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রথম পর্বে ভিয়ারিয়ালের মাঠে ১-০ গোলের ব্যবধানে হেরেছিল বাভারিয়ানরা। দুই পর্ব মিলিয়ে ভিয়ারিয়ালের কাছে ২-১ গোলের ব্যবধানে হেরেছে বায়ার্ন।

ম্যাচের ৫২তম মিনিটে রবার্ট লেভান্ডোফস্কি গোল করে বায়ার্নকে লিড এনে দেন। এতেই দুই পর্ব মিলিয়ে ১-১ গোলে সমতায় ফেরে বায়ার্ন। তবে ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে স্যামুয়েল চাকোয়েজার গোলে ম্যাচে সমতায় ফেরে ভিয়ারিয়াল।

কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে তাদের মাঠেই ১-০ গোলের ব্যবধানে হেরেছিল বায়ার্ন মিউনিখ। তবে ভরসা ছিল অ্যালিয়েঞ্জ অ্যারেনায় ফিরতি লেগ হওয়ায়। কিন্তু ঘরের মাঠে এগিয়ে থেকেও শেষ পর্যন্ত লিড ধরে রাখতে পারেনি বাভারিয়ানরা। আর তাতেই কপাল পুড়েছে ছয়বারের চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ীদের।

ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে আক্রমণাত্মক একাদশই সাজিয়েছিল বায়ার্ন। গোটা ম্যাচের ৬৮ শতাংশ বল দখলে রেখে ভিয়ারিয়ালের গোলে ২৩টি শট নিয়েছে বায়ার্ন, যার মধ্যে চারটি ছিল লক্ষ্যে। অন্যদিকে মাত্র ৩২ শতাংশ বল দখলে রাখা ভিয়ারিয়াল মাত্র চারটি শট নিতে পেরেছে যার মধ্যে কেবল একটিই ছিল লক্ষ্যে। আর ওই একটি শটেই গোলের দেখা পায় ইয়োলো সাবমেরিনরা।

অ্যালিয়েঞ্জ অ্যারেনায় ম্যাচের শুরুর দিকেই গোল পেতে পারত বায়ার্ন। তবে লেরয় সানের ক্রসে ডি-বক্সের ভেতর মাথা ছোঁয়াতে পারেননি কিমিচ। এরপর প্রথমার্ধের শেষ পর্যন্ত একের পর এক আক্রমণ করে যেতে থাকে বায়ার্ন। তবে প্রথমার্ধে স্বাগতিকরা ভাঙতে পারেনি ভিয়ারিয়ালের রক্ষণ দুর্গ।

তবে দ্বিতীয়ার্ধে ফিরেই গোল করে বায়ার্নকে লিড এনে দেন রবার্ট লেভান্ডোফস্কি। ম্যাচের ৫২তম মিনিটে থমাস মুলারের দুর্দান্ত এক পাস থেকে জোরালো শটে বল জালে জড়ান মুলার। এতেই বায়ার্ন এগিয়ে যায় ১-০ গোলের ব্যবধানে আর দুই লেগ মিলিয়ে ১-১ গোলে সমতায় ফেরে বাভারিয়ানরা।

এরপর আক্রমণের ধার আরও বাড়িয়ে দেয় বায়ার্ন কিন্তু কিছুতেই মিলছিল না গোলের দেখা। ম্যাচের ৭৫তম মিনিটে এসে ভাগ্যের ফেরে বাধা পায় বায়ার্ন। বাঁ দিক থেকে কোম্যান আক্রমণে উঠে দুর্দান্ত এক শট নেন কিন্তু তার শট ক্রসবারে লেগে ফিরে আসলে হতাশা বাড়তে থাকে বায়ার্ন শিবিরে। খেলা তখন নির্ধারিত ৯০ মিনিটের শেষ দিকে গড়াচ্ছিল। নিশ্চিতভাবে অতিরিক্ত সময়ের কথাই ভাবছিল দুই দলই। কিন্তু বদলি হিসেবে নামা স্যামুয়েল চাকোয়েজা ভাবছিলেন অন্যকিছু।

খেলার নির্ধারিত সময়ের তখন বাকি আর মাত্র দুই মিনিট। দুর্দান্ত দলগত এক মুহূর্তের জন্য দূরের পোস্টে বল পেয়ে যান চাকোয়েজা। আর সেখানে বল পেয়ে একচুল ভুল করেননি তিনি। সোজা নয়্যারকে পরাস্ত করে বল পাঠিয়ে দেন জালে। ১-১ গোলে সমতায় ফেরে ভিয়ারিয়াল। আর দুই লেগ মিলিয়ে এগিয়ে যায় ২-১ গোলের ব্যবধানে। এতেই বায়ার্নকে বিদায় করে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালের টিকিট কাটে ভিয়ারিয়াল।