
এক ফ্রেমে নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ী বাংলাদেশ দলের তিন ফুটবলার ও সহকারী কোচ
দেশকে প্রথম বারের মতো নারী
সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের মুকুট উপহার দিয়েছেন বাংলাদেশের মেয়েরা। এবার পালা তাদের পুরস্কার পাওয়ার। ঐতিহাসিক সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ সেই পুরস্কার পাওয়ার দৌড় এরই মধ্যে শুরু
হয়ে গেছে। শিরোপাজীয় দলের তিনজন খেলোয়াড়ের বাড়ি খাগড়াছড়ি জেলায়। নিজ জেলার সেই তিনজনের
জন্য আর্থিক পুরস্কার ঘোষণা করেছেন খাগড়াছড়ির ডিসি প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস।
আনুচিং মগিনী, আনাই মগিনী ও
মনিকা চাকমা-সাফজয়ী দলের এই তিনজনই খাগড়াছড়ির বাসিন্দা। তিনজনেই জেলা প্রশাসকের কাছ
থেকে পাচ্ছেন এক লাখ টাকা করে পুরস্কার। তাদের সঙ্গে কপাল খুলেছে জাতীয় মহিলা দলের সহকারী কোচ তৃষ্ণা
চাকমারও। পুরষ্কার হিসেবে তিনিও পাচ্ছেন এক লাখ টাকা।
মেয়েদের ইতিহাস গড়া সাফল্যের
রেশ পড়েছে দেশের সর্বত্রই। তবে দেশের অন্য জেলার তুলনায় খাগড়াছড়িতে উৎসব-আমেজের রঙটা
যেন একটু বেশিই লেগেছে। বিজয়ী দলের তিন তিনজন ফুটবলার এবং একজন সহকারী কোচ এক জেলার
হলে সেটাই স্বাভাবিক। সেই উৎসবের রেশ হিসেবেই আনুচিং, আনাই, মনিকাদের ভাগ্যে জুটছে জেলা প্রশাসকের
আর্থিক পুরস্কার।
উল্লেখ, সোমবার ফাইনালে নেপালকে
হারিয়ে নারী সাফ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ। নেপালকে তাদেরই ঘরের মাঠ, কাঠমান্ডুর
দশরথ স্টেডিয়ামে ৩-১ গোলে হারিয়ে সাবিনা খাতুন, আনাই মগিনী, আনুচিং মগিনী, মনিকা চাকমাদের
দল।