বিজয়োৎসব করতে গিয়ে আঘাত পাওয়া, আহত হওয়া নতুন কোনো বিষয় নয়। আনন্দের আতিশয্যে নাচানাচি, হইহুল্লোড় করতে গিয়ে অনেক সময়ই খেলোয়াড়রা আহত হন। তবে সাফজয়ী বাংলাদেশের নারী দলের সদস্য ঋতুপর্ণার আহত হওয়াটা একটু বিচিত্রই। কারণ, খোলা ময়দানে নয়, তিনি বিজয়োল্লাস করছিলেন ছাদখোলা বাসে।

ছাদখোলা বাসে তিনি হয়তো বড়জোর হাত নেড়ে নেড়ে রাস্তার দুই পাশে ভিড় জমানো দর্শকদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করছিলেন। উদ্যাম নাচানাচি বলতে যা বোঝায়, তেমনটা যে ছাদখোলা বাসে করছিলেন না, সেটি স্পষ্টই; কিন্তু তারপরও ঋতুপর্ণা আহত হয়েছেন।

কপাল কেটে গেছে তার। আহত ঋতুপর্ণাকে শোভাযাত্রা বাদ দিয়ে ভর্তি হতে হয়েছে হাসপাতালে। ঢাকার সিএমএইচে ভর্তি করা হয়েছে। তিনটা সেলাই দিতে হয়েছে। ছাদখোলা বাস ফ্লাইওভারে উঠার পর ঋতুপর্ণা রাস্তার পাশের বিলবোর্ডের সঙ্গে আঘাত পেয়েছেন। সঙ্গে সঙ্গে তাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকার সিএমএইচে নেওয়া হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাফুফের এক্সিকিউটিভ ও কোচিং এডুকেটর সাঈদ। তিনি বলেছেন, ‘ফ্লাইওভারের পাশে টাঙ্গানো ব্যানারের কাঠের কোনা অথবা ধাতবজাতীয় কিছু একটা ঋতুপর্ণার কপালে লাগে। ঝরঝর করে রক্ত ঝরতে থাকে। পরে গাড়ি থামিয়ে শোভাযাত্রার বহরে থাকা অ্যাম্বুলেন্সে করে দ্রুতই হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে। তার কপালে তিনটা সেলাই লেগেছে।’

আশার কথা হলো, আঘাতটা খুব বেশি গুরুতর নয়। চিকিৎসা শেষে শিগগিরই তারা আবার অ্যাম্বুলেন্সে করে বাফুফে ভবনের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন বলে জানিয়েছেন সাঈদ। আঘাত গুরুতর না হলেও বিজয়োদযাপনের এই মহেন্দ্রক্ষণে ঋতুপর্ণার আহত হওয়াটা ঢাকার রাস্তার দুই পাশে পরিবেশটাকে প্রশ্নবিদ্ধই করছে।

রাজধানী ঢাকার প্রতিটা রাস্তার দুই পাশে অপরিকল্পিতভাবে টাঙানো হয়েছে বিলবোর্ড-ব্যানার এবং বিভিন্ন রকমের তার। সূঁই ফেলার মতো জায়গাও ফাঁকা নেই। অপরিকল্পিতভাবে টাঙানো এসব বিলবোর্ড, ব্যানার, তার যে যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনার জন্ম দিতে পারে, ঋতুপর্ণার আহত হওয়ার ঘটনাটা তারই ইঙ্গিত।

উল্লেখ্য, সাফজয়ী বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল আজ দেশে ফিরেছে। বিমানবন্দরে বরণ করার পর তাদেরকে ছাদখোলা বাসে নিয়ে যাওয়া হয় বাফুফে ভবনে।