প্রথম বারের মতো সাফের শিরোপা জেতা নারী দলকে বিভিন্ন ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান আর্থিক পুরস্কার দিলেন বাফুফে পক্ষ থেকে কিছুই দেওয়া হয়নি। অর্থ পুরস্কার না দিতে পারার অপারগতা জানিয়ে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন আশ্বাস দিয়েছেন নারী ফুটবলারদের ভবিষ্যতে ফেডারেশনের পক্ষ থেকে বিয়ে দেওয়ার! তবে সবাইকে অর্থ পুরস্কার না দিলেও একটা ভালো কাজ ঠিকই করলেন সালাউদ্দিন। বিমানবন্দরে সাফ জয়ী দুই ফুটবলারের লাগেজ থেকে যে টাকা চুরি হয়েছিল, ভুক্তভোগি ফুটবলারদের তার ‘ক্ষতিপূরণ’ দেওয়া হয়েছে।

সালাউদ্দিনের ব্যক্তিগত উদ্যোগে টাকা চুরি যাওয়া তিন নারী ফুটবলারকে ‘ক্ষতিপূরণ’ তুলে দেন বাফুফের মহিলা উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ।  চুরি যাওয়া টাকার ‘ক্ষতিপূরণ’ নিজে দিতে গিয়ে ভালোই উদারতা দেখিয়েছেন বাফুফে সভাপতি। যত টাকা চুরি গিয়েছিল, কৃষ্ণা, শামসুন্নাহার, সানজিদারা পেয়েছেন  তার চেয়েও ৫০ হাজার টাকা করে বেশি পেয়েছেন।

সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ের ইতিহাস গড়ে নারী ফুটবলাররা দেশে আসার পথে বিমানবন্দরে টাকা খোয়া যায় কৃষ্ণা রানী সরকার, শামসুন্নাহার সিনিয়র ও সানজিদার। মূলত ফাইনালে দুই গোল করা কৃষ্ণা এবং শামসুন্নাহারের লাগেজ থেকে ডলার, টাকা ও অন্যান্য উপহারসামগ্রি খোয়া যায়।  মূলত কৃষ্ণা ও শামসুন্নাহারের লাগেজ থেকেই টাকা চুরি হয়। তবে কৃষ্ণার লাগেজে সানজিদারও টাকাও ছিল। যে টাকা দিয়ে একটা আইফোন কিনতে চেয়েছিলেন সানজিদা। জানা গেছে, কৃষ্ণার লাগেজ থেকে খোয়া যায় ৯০০ ডলার ও নগদ ৫০ হাজার টাকা। যার মধ্যে সানজিদার ছিল ৪০০ ডলার। বাকি ৫০০ ডলার ও ৫০ হাজার টাকা ছিল কৃষ্ণার। আর শামসুন্নাহারের লাগেজ থেকে চুরি হয় ৪০০ ডলার।

তিন খেলোয়াড়কে চুরি যাওয়ার টাকার চেয়েও ৫০ হাজার করে বেশি দেওয়া হয়েছে।

মাহফুজা আক্তার কিরণ বলেছেন, ‘ওদের যে পরিমাণ অর্থ চুরি হয়েছে, সেই অর্থের পাশাপাশি তাদের ৫০ হাজার টাকা করে বেশি দেওয়া হয়েছে। কারণ ওরা ছোট মানুষ। খুব মন খারাপ হয়েছিল ওদের। তাই তিনজনকে অতিরিক্ত দেড় লাখ টাকা দিয়েছি।’ আজ বাফুফে ভবনে এই তিন ফুটবলারের হাতে টাকাটা তুলে দেওয়া হয়।

কৃষ্ণা-সানজিদা-শামসুন্নাহার বাফুফে ভবনে রয়েছেন। সাফ শিরোপা জিতে আসার পর এখনো তারা নিজেদের বাড়িতে যেতে পারেননি। ২৭ সেপ্টেম্বর সাফ জয়ী দলকে সংবর্ধনা ও আর্থিক পুরস্কার দেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। ওই অনুষ্ঠানের পরদিন মানে ২৮ সেপ্টেম্বর ছুটিতে যাবেন সাবিনা, কৃষ্ণা, স্বপ্নারা।