পল পগবা ও এনগোলা কন্তে, ফ্রান্সের এই দুই মিডফিল্ডারে বিশ্বকাপ স্বপ্নই কেড়ে নিয়েছে চোট। ফাইল ছবি
এনগোলো কন্তে, পল পগবা, ভেরনা, কিম্বেল্বে, সার্জিও রবার্তো, বুকায়ো সাকা, সন হিউং মিন- নামগুলো উঠে গেছে চোট আক্রান্ত হয়ে বিশ্বকাপ খেলতে না পারাদের তালিকায়। কাতার বিশ্বকাপে তাদের খেলার কোনো সম্ভাবনা নেই। বিশ্বকাপের চূড়ান্ত দল ঘোষণার শেষ দিন ১৩ নভেম্বর। সে পর্যন্ত চোটাক্রান্তদের এই তালিকাটা আরও লম্বা হবে, সেটি স্পষ্টই। বড় তারকাদের মধ্যে আর্জেন্টিনার লিওনেল মেসিকে নিয়েও কিছুটা সংশয় রয়েছে।
ক্লাব ফুটবলে খেলতে গিয়ে চোটের কবলে পড়েন তিনি। যদিও পিএসজি সুস্থ মেসিকে পেতে বিশ্রাম দিয়েছিল; কিন্তু যে নামগুলো শুরুতেই লেখা হলো তারা প্রত্যেকেই নিজ নিজ দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়। সে হিসাবে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সই পড়েছে সবচেয়ে বেশি বিপদে। ফুটবল মহাযজ্ঞের আনন্দে শামিল হওয়ার আগে মূল পর্বের টিকিট পাওয়া দলগুলোর বেশির ভাগই অবশ্য স্বস্তিতে নেই। কারণ তাদের খেলোয়াড়দের এখনো ক্লাব ফুটবলটা খেলে যেতে হচ্ছে।
মেসিকে নিয়ে আর্জেন্টিনার শঙ্কাটা বড় না হলেও এএস রোমার পাবলো দিবালা ও জুভেন্টাসের আনহেল দি মারিয়াকে নিয়ে সংশয় রয়েছে। দুজনেই চোট পেয়েছেন উরুতে। আর্জেন্টিনার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিল সমস্যায় রয়েছে রিচার্লিসনকে নিয়ে। টটেনহামের ফরোয়ার্ড চোট পেলেও কোচ জানিয়েছেন সমস্যা নেই। রিচার্লিসনও টুইট করে বিশ্বকাপে খেলার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন। জার্মানি দলে মার্কো রয়েস ও লেরয় সানের চোটও দুশ্চিন্তার নাম। গোড়ালির চোটে পড়ে রয়েস আর সানের নাম এসেছে।
চোটের মিছিলটা সবচেয়ে লম্বা ফ্রান্সের। দিদিয়ের দেশমের দলের কন্তে, পগবা, ভারানেদের পর লুকাস হার্নান্দেজও রয়েছেন। চোটের কারণে পতুর্গালেরও চার গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়কে না পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তার মধ্যে দিয়েগো জোতার বিশ্বকাপ শেষ হয়ে গেছে। ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে ঊরুতে চোট পেয়ে স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়তে হয় লিভারপুল তারকাকে। পেদ্রো নেতো, পেপে ও নুনো মেন্দেসও রয়েছেন চোটপ্রাপ্তদের তালিকায়।
দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের নিয়ে উদ্বিগ্ন ইংল্যান্ডও। রক্ষণভাগ নিয়েই চিন্তাটা বেশি তাদের। রিস জেমস, কাইল ওয়াকার, জন স্টোনস ও হ্যারি ম্যাগুয়ারও ভুগছেন চোটে। মিডফিল্ডার কেলভিন ফিলিপসকে নিয়েও রয়েছে শঙ্কা। বেলজিয়াম দুশ্চিন্তায় রয়েছে রোমেলু লুকাকুকে নিয়ে। মূলত ক্লাব ফুটবলে খেলোয়াড়দের অতিমাত্রায় ব্যস্ততার কারণেই এমনটি হচ্ছে। বিশ্বকাপ মূলত জুন-জুলাইয়ে হয়ে থাকে। তখন বিভিন্ন দেশের লিগ শেষ হওয়ায় চোটের ভয়টাও কম থাকে।
সর্বশেষ খবর- জার্মানির আক্রমণভাগের খেলোয়াড় টিমো ভেরনার গোড়ালির চোটের কারণে চলতি বছর আর মাঠে নামতে পারবেন না। দেশটির মূল স্ট্রাইকার হিসেবে খেলছিলেন তিনি। সবার আগে দল ঘোষণা করেও বিপদে রয়েছে জাপান। হাজিমে মোরিয়াসুর ২৬ জনের চূড়ান্ত দলে ছিলেন ফরোয়ার্ড ইউতা নাকাইয়ামা; কিন্তু দল ঘোষণার দুই দিন পর ক্লাবের হয়ে খেলতে নেমে অ্যাকিলিস টেন্ডনে চোট পান, যা তাকে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে ফেলেছে। যেভাবে চোটে পড়ছেন খেলোয়াড়রা, মিছিলটা আরও অনেক লম্বা হওয়ার ভয়টা থাকছেই।