লুইস এনরিকের দল আজ কোস্টারিকার বিপক্ষে মাঠে নামবে। ছবি : সংগৃহীত
২০১০ সালের চ্যাম্পিয়ন স্পেন এবারের বিশ্বকাপের অন্যতম ফেবারিট। প্রথম ম্যাচে আজ রাত ১০ টায় আল থুমামা স্টেডিয়ামে কোস্টারিকার বিপক্ষে মাঠে নামছে। র্যাংকিং এ পার্থক্য থাকলেও লড়াইটা জমজমাট হবে বলেই প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
কোস্টারিকার ভৌগোলিক অবস্থান বিষয়ে লুই এনরিকের জ্ঞান নিয়ে অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করেছিলেন। কোস্টারিকাকে তিনি ভেবেছিলেন দক্ষিণ আমেরিকার দেশ! প্রতিপক্ষকে স্পেন কতটা হালকাভাবে নিচ্ছে, সেটাই নাকি প্রকাশ পেয়েছিল তার কথায়। তবে এনরিকে ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে এসে দুদিন আগের সেই মন্তব্য নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
কোস্টারিকানদেরও ভাসিয়ে দিয়েছেন প্রশংসায়। তার কথায়, ‘প্রতিটি দলের প্রতি আমার পূর্ণ সম্মান আছে। বিশেষ করে কোস্টারিকার প্রতি। দুদিন আগে যেটা হয়েছে তাতে ভূগোলসংক্রান্ত একটা ভুল, এর বেশি কিছু না। কোস্টারিকা দারুণ দেশ, আমি তাদের প্রাণোচ্ছলতা খুবই উপভোগ করি। এভাবেই তারা এগিয়ে যাবে বলে বিশ্বাস করি।’
এতে অবশ্য কিছুটা উজ্জীবিত হতে পারে তারা। মধ্য আমেরিকার দেশটির সমুদ্রপারের শহর সান্তা তেরেজায় ছুটি কাটানোর দারুণ স্মৃতির কথাও বলেছেন স্প্যানিশ কোচ। কোস্টারিকানরা অবশ্য স্প্যানিশদের কাছে নিজেদের নতুন করে চেনানোর উপলক্ষ বানিয়ে ফেলতে পারে আজকের ম্যাচটি। তারা যে কত দূর যেতে পারে ২০১৪ বিশ্বকাপে ইতালি, ইংল্যান্ড টের পেয়েছিল। সেবার উরুগুয়ে, ইতালি ও ইংল্যান্ডকে নিয়ে ‘গ্রুপ অব ডেথ’ এ ছিল কোস্টারিকা। সব দলকে পেছনে ফেলে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে তারা যে শেষ ষোলোতে উঠবে, কেউ ভাবতে পারেনি। যদিও কোস্টারিকার সেই দিন এখন দূর অতীত মনে হতে পারে। রাশিয়ায় তারা কোনো ছাপ রাখতে পারেনি। এবার কাতারে খেলছেন ব্রাজিল বিশ্বকাপে খেলা ছয় ফুটবলার, যাদের প্রত্যেকেরই বয়স ৩০ পেরিয়ে গেছে, অধিনায়ক ব্রায়ান রুইজের বয়স এখন ৩৭।
আর কেইলর নাভাস তারকা হয়ে উঠেছিলেন সে আসরে। সেই তিনি প্যারিস সেন্ট জার্মেইতে গত প্রায় পাঁচ মাস প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি। সে বিবেচনায় সুবিধাজনক অবস্থানে স্পেন। এক সের্হিয়ো বুশকেত্জ ছাড়া ২০১০ বিশ্বকাপের শিরোপাজয়ী কেউ নেই লুই এনরিকের এবারের দলে। ২০১৪ ও ২০১৮’র মলিন স্পেনকে অনেকটাই ঢেলে সাজিয়েছেন এনরিকে। পেদ্রি ১৯, গাবি ১৮, ফেরান তরেসের বয়স ২২। তারুণ্যনির্ভর স্পেনের মূল খেলোয়াড় এখন তারাই। এনরিকের স্কোয়াডের ১৪ জনের বয়সই ২৫ এর নিচে। বিশ্বকাপের তৃতীয় সর্বকনিষ্ঠ দল তারা। দলটি যে বড় কোনো অর্জনের পথে আছে, নেশনস লিগের ফাইনাল বা ইউরোর সেমিফাইনাল খেলা সেটিই বলে।
কোস্টারিকার তরুণ ফরোয়ার্ড অ্যান্থনি কোন্ত্রেরাস অবশ্য বলেছেন এই স্পেনকে দেখিয়ে দিতে তারা তৈরি, ‘স্পেন উঁচুমানের দল। তাই বলে আমরা পিছিয়ে যাচ্ছি না। বরং ভালো কিছু করে দেখানোর অনুপ্রেরণা পাচ্ছি।’ আজকে রাতটা স্প্যানিশ ফুটবলের আভায় রাঙ্গিয়ে যাবে কাতার, এমনটাই প্রত্যাশা।