
কিলিয়ান এমবাপ্পে। ছবি: ফিফা
এমনিতেই মদ আর বিয়ার নিয়ে কাতারে চলছে নানা রকম বিধিনিষেধ। খোদ ফিফা সভাপতি তো বলেই দিয়েছেন, ‘এক সপ্তাহ কেউ মদ না খেলে মারা যাবে না।’ এবারের বিশ্বকাপ আয়োজক দেশ কাতার সরকারের পক্ষ থেকে অ্যালকোহল জাতীয় পানীয় পান করা বারণ। এবার বিয়ারের প্রচারে নিজের অনাগ্রহের কথা জানিয়েছেন কিলিয়েন এমবাপ্পে।
আগের বিশ্বকাপে শিরোপা জেতা ইউরোপিয়ান দল পরেরবার গ্রুপপর্ব থেকে বাদ পড়ে বিগত কয়েক বিশ্বকাপের এমন পরিসংখ্যানকে তুড়ি মেরে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেছে ফ্রান্স। সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব দলটির ফরোয়ার্ড কিলিয়ান এমবাপ্পের। গ্রুপপর্বে ৩ গোলের পাশাপাশি শেষ ষোলোতে পোল্যান্ডের বিপক্ষে পেয়েছেন ২ গোল। যে তিন ম্যাচে ফ্রান্স জিতেছে, সব ম্যাচেই হয়েছেন ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়।
বর্তমান পরিস্থিতিতে গোল্ডেন বুট জেতার দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে আছেন। এর মধ্যে একটি হচ্ছে, ম্যাচের পর সাংবাদিকদের সাক্ষাৎকার না দেয়া। অবশ্য ফ্রেঞ্চ ক্লাব পিএসজিতে নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে যেন কথা বলা না লাগে সেজন্যই এ পন্থা অবলম্বন করেছেন ফরাসি সুপারস্টার। তাছাড়া বিশ্বকাপে সম্পূর্ণ মনোযোগ দিতে চান তিনি। এক্ষেত্রে অবশ্য ফ্রান্স ফুটবল ফেডারেশনও এমবাপ্পেকে পুরো সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন। যেকোনো আর্থিক জরিমানা দিতেও প্রস্তুত রয়েছেন তারা। এমবাপ্পের কাল আলোচনায় আসার আরেকটি কারণ হচ্ছে বিশ্বকাপের অন্যতম প্রধান স্পন্সর ‘বাডভাইজার’র প্রচার ইচ্ছাকৃতভাবে না করা। এই বিয়ার কোম্পানিটিই কাতার বিশ্বকাপের ম্যান অব দ্য ম্যাচ পুরস্কারের ব্র্যান্ডিং করছে।
এ নিয়ে ফরাসি গণমাধ্যম লে’কিপের মতে, বিশ্বকাপে অ্যালকোহলের প্রচার এড়াতে এমবাপ্পে ইচ্ছাকৃতভাবে তার ম্যান অব দ্য ম্যাচের ছবিতে ‘বাডভাইজার’র নাম লুকিয়ে রেখেছেন। নিজের ‘ইমেজ’ ধরে রাখতেই অ্যালকোহল, জাঙ্ক ফুড ও স্পোর্টস বেটিং কোম্পানির বিজ্ঞাপন থেকে বিরত রাখছেন তিনি। পোল্যান্ড ম্যাচের পরে গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেয়ার ক্ষেত্রে এমবাপ্পের অবস্থানে কিছুটা পরিবর্তন এসেছে। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে তিনি নন বলে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন। ২৩ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড বলেন, ‘যদি আমি কথা বলতে না আসি তার কারণ আমাকে প্রতিযোগিতায় পুরোপুরি মনোনিবেশ করতে হবে এবং অন্য কোনো কিছুতে শক্তি নষ্ট করবো না। এই টুর্নামেন্ট জেতার জন্য আমি শারীরিক ও মানসিকভাবে নিজেকে পুরোপুরি প্রস্তুত করেছি।’