
লেভান্ডভস্কি
বিদায় নিতে চলল আরো একটি বছর। চলতি বছর বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনের সাফল্য-ব্যর্থতার প্রতিবেদন তৈরি করেছেন খলিলুর রহমান-
বিশ্ব ফুটবলের ইতিহাসে ২০২০ সালের হিসাবের খাতা একেবারে ফাঁকা নয়। সাফল্যের গল্প যেমন লেখা হয়েছে, লেখা হয়েছে ব্যর্থতার গল্পও। করোনা আক্রান্ত ২০২০ সালে ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখ ও তাদের ফরোয়ার্ড লেভান্ডভস্কিই সাফল্যের আলোয় জ্বলজ্বল করছে বেশি।
করোনার প্রকট কমে যাওয়ার পর বছরের শেষ দিকে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব ও ইউরোপের উয়েফা নেশনস লিগ অনুষ্ঠিত হয়েছে। দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের ২০২২ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ৪ রাউন্ডের খেলা হয়েছে। তাতে শতভাগ সাফল্য পেয়েছে ৫ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল। সেলেসাওরা জিতেছে ৪ ম্যাচের চারটিতেই। আরেক পরাশক্তি আর্জেন্টিনা ৪ ম্যাচের ৩টিতে জিতেছে। বাকি ম্যাচটিতে করেছে ড্র।
উয়েফা নেশনস লিগের সেমিফাইনালে উঠেছে ইতালি, স্পেন, বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স ও বেলজিয়াম। সাফল্য পাতার সবচেয়ে উজ্জ্বল হয়ে আছে ইউরোপের শীর্ষ ৫টি লিগ-ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ, স্প্যানিশ লা লিগা, ইতালিয়ান সিরি আ, ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ান ও জার্মান বুন্দেসলিগা। এর সঙ্গে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। আর এই টুর্নামেন্টগুলোর ভিত্তিতে ক্লাবগুলোর পাওয়া সাফল্যের নিত্তিতে সবচেয়ে উজ্জ্বল বায়ার্ন মিউনিখ। জার্মান ক্লাবটি গত মৌসুমটিতে লিগ ও উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগসহ ঐতিহাসিক ‘ট্রেবল’ জিতেছে।
বায়ার্নের এই অবিশ্বাস্য সাফল্যের সবচেয়ে বড় নায়ক রবার্ট লেভান্ডভস্কি। ২০২০ সালটি পোল্যান্ডের ৩২ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড অবিশ্বাস্য কাটিয়েছেন। দলকে শিরোপার পর শিরোপা জেতানোর পথে গত মৌসুমে তিনি সব মিলে ৪৭ ম্যাচে করেছেন ৫৫ গোল। এ মৌসুমেও এরই মধ্যে সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে করেছেন ২০ গোল। যার ১৭টি গোল তিনি করেছেন লিগে। ইউরোপের শীর্ষ পাঁচটি লিগের খেলোয়াড়দের মধ্যে সবচেয়ে গোল করেছেন তিনিই। স্বাভাবিকভাবেই ইউরোপিয়ান গোল্ডেন বুটের দৌড়ে এই মুহূর্তে সবচেয়ে এগিয়ে তিনি।
মাঠে গোলের বান বইয়ে দিয়ে একদিকে ক্লাব বায়ার্নকে যেমন একের পর এক শিরোপা সাফল্যে হাসিয়েছেন, তেমনি এতে এত ব্যক্তিগত পুরস্কারও জিতে নিয়েছেন লেভান্ডভস্কি।
লেভার স্বপ্নময় বছরটি সময়ের সেরা দুই তারকা মেসি ও রোনালদোর জন্য ছিল হতাশার। রোনালদো ক্লাব জুভেন্টাসের হয়ে একমাত্র লিগ জিতেছেন। মেসির বার্সেলোনা জিততে পারেনি কিছুই।