সাবিনাদের বেতন বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিলেন সালাউদ্দিন

ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৮:৫৭

সাফের ট্রফি হাতে নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। পাশে বাফুফে সভাপতিসহ অন্যরা
প্রথম বারের মতো নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ
জয়ের পর প্রশংসায় ভাসছেন বাংলাদেশ নারী ফুটবলাররা। ঐতিহাসিক সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ
পাচ্ছেন আর্থিক পুরস্কারও। এরই মধ্যে বাংলাদেশের ফেডারেশন (বাফুফে) দুইজন সহসভাপতি
ব্যক্তিগতভাবে আর্থিক পুরস্কার ঘোষণা করেছেন। বিজয়ী নারী দলকে আর্থিক পুরস্কার দিচ্ছে
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডসহ অন্য আরও অনেক প্রতিষ্ঠান। কিন্তু বাফুফের পক্ষ থেকে কোনো
পুরস্কার ঘোষণা করা হয়নি।
বুধবার সংবর্ধনার সময় আর্থিক
পুরস্কার দেওয়ার অপরাগতা জানিয়ে বাফুফে সভাপতি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, ফুটবলাররা বড় হলে
বিয়ে দেওয়ার! তবে বাফুফে থেকে নগদ পুরস্কার না পেলেও অন্য একটা স্বীকৃতি ঠিকই আদায়
করে নিলেন সাফ জয় নারী ফুটবলাররা। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে বেতন বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি
দিয়েছেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন।
বুধবার সংবর্ধনা এবং বিজয় শোভাযাত্রা
নিয়েই ব্যস্ততা ছিল। তবে সাবিনা খাতুনরা আজ বৃহস্পতিবারই নিজেদের দাবি-দাওয়া নিয়ে হাজির
হয়েছিলেন বাফুফে সভাপতির দরবারে। খেলোয়াড়দের দাবি-দাওয়া মেনে নিয়েছেন সালাউদ্দিন।
বাফুফে সভাপতির সঙ্গে কথা বলে
আসার পর গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন নারী দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। গণমাধ্যমকে তিনি বলেছেন,
‘আমরা আজ সভাপতির সঙ্গে দেখা করে কথা বলেছি। তিনি আমাদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। আমরা
আমাদের দাবি-দাওয়াগুলো জানানোর পর তিনি তা পূরণ করার কথা দিয়েছেন।’
বেতন বৃদ্ধির বিষয়ে সাবিনা
বলেছেন, ‘আমরা বেতন বাড়ানোর দাবি বলেছি। তিনি আমাদের দাবি মেনে নিয়েছেন। শিগগিরই বেতন
বৃদ্ধির আশ্বাস দিয়েছেন।’
বৃদ্ধি করার পর বেতনের অঙ্কটা
কেমন হবে, এমন প্রশ্নের উত্তরে সাবিনা বলেছেন, ‘বেতনের অঙ্কটা কেমন হবে সেটা এখনই বলা
যাচ্ছে না। তবে বলা হয়েছে অঙ্কটা সম্মানজনক হবে।’ বাংলাদেশে শুধু নারী ক্রিকেটার এবং
ফুটবলাররাই ফেডারেশন থেকে বেতন পাননি। অন্য খেলার খেলোয়াড়রা এখনো পর্যন্ত বেতনের আওতায়
আসতে পারেননি।
তাই নিজেদের সৌভাগ্যবান দাবি
করে সাবিনা বলেছেন, ‘আপনারা সবাই জানেন, ক্রিকেট এবং ফুটবল ছাড়া অন্য কোনো নারী দলের
খেলোয়াড়েরা বেতন পান না। সেদিক থেকে আমরা সৌভাগ্যবান।’
ফেডারেশন সভাপতির কাছ থেকে
বেতন বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি পেয়ে সাবিনা, সানজিদা, কৃষ্ণা, স্বপ্নারা নিশ্চয় খুব খুশি।