রোজায় পণ্য জমানোর প্রবণতায় মা-চাচীদের দুষলেন পরিকল্পনামন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৩, ২০:০০

মঙ্গলবার একনেক সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। ছবি: সংগৃহীত
রোজার কারণে মার্চ মাসে বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি ‘আরেকটু’ বাড়তে পারে জানিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, রোজার আগে আবহমান কাল থেকে আমাদের মা, চাচিরা, স্ত্রীরা পণ্য কিনে রাখেন। এক ধরনের ভীতির সৃষ্টি হয়। কিন্তু এখন সেই সময় নয়। তবু মানুষ বেশি কেনে। এর ফলে চাপ পড়ে বাজারে। মূল্যস্ফীতিতে এর প্রভাব আছে।
আজ মঙ্গলবার (২১ তারিখ) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের মন্ত্রী এ কথা জানান।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, মূল্যস্ফীতির বিষয়ে আপনারা জানেন, আমরা লুকাই না। আমরা আগেই বলেছিলাম ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে মূল্যস্ফীতি বাড়বে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে দেশে মূল্যস্ফীতি সামান্য বেড়েছে। কয়েক মাস আমাদের মূল্যস্ফীতি কম ছিল। মার্চ মাস চলছে, আমার ধারণা মূল্যস্ফীতি আরেকটু বাড়বে।
মন্ত্রী বলেন, মূল্যস্ফীতি বাড়ছে কার্তিক মাস আর রোজার কারণে। কারণ মার্চ মাস আবহমান কাল থেকেই মঙ্গার মাস। আমাদের দেশে দুটো মাস ভয়ংকর। কার্তিক আর চৈত্র। কার্তিক হলো আমনের আগে আগে। আর চৈত্র হলো বোরো ধানের আগে। এসময় টান থাকে। ঘরের খাবার ফুরিয়ে যায়। গুদামে খাবার ফুরিয়ে যায়। এই সময়টায় একটু টান থাকে।
পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, সৃষ্টিকর্তার অপার করুণায় যদি ঘরে বোরো ধান তুলতে পারি, তাহলে বৈশাখ মাস থেকে মূল্যস্ফীতি কমে যাবে। আমি আবার বলছি, ঝুঁকি নিয়ে বলছি, মূল্যস্ফীতি কমে যাবে। বোরোর খবর যতটুকু পেয়েছি, বৃষ্টি কিছু হয়েছে। এটা আশীর্বাদ। আর যদি বেশি হয় তাহলে সমস্যা হতে পারে। আমরা প্রার্থনা করছি বৃষ্টি যেন আর না হয়। সার্বিক অর্থনীতি দুই মাস আগের তুলনায় হাঁটি হাঁটি পা পা করে ভালো করছে। আমাদের রিজার্ভ যে হারে কমছিল, সেই অবস্থা নেই। এখন স্থিতিশীল। এখন বাড়ার প্রশ্ন। রপ্তানি-রেমিট্যান্স আর ফসল- এই দুটো যদি মিলে যায়, তাহলে পরিস্থিতি ভালো হয়ে যাবে। আমাদের রেমিট্যান্স আর রপ্তানি বাড়ছে। আমনের বাম্পার হয়েছিল। বোরো যদি বাম্পার হয়ে যায়, তাহলেই হয়।
সাংবাদিকদের পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, সার্বিক অর্থনীতি ভালো অবস্থানে আছে। যদিও টানাপোড়েন ছিল। এখনো আছে। আমরা পৃথিবীর অর্থ ব্যবস্থার সঙ্গে সম্পৃক্ত। আমরা বিচ্ছিন্ন অর্থনীতি না। তবে আমরা ভালো করছি। উদাহরণ দিয়ে বলা যায়। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমেরিকা-যুক্তরাজ্যের মতো অর্থনীতিতে রেশন দিচ্ছে। সেখানে আমি চাইলেও বেশি কিনতে পারবো না। বিদ্যুতে ক্যাপ বসিয়ে দিচ্ছে। নির্দিষ্ট পরিমাণের বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহার করলে বেশি বিল দিতে হবে। আমরা তার তুলনায় ভালোই আছি আমি বলবো।