প্রথম আলোর সাংবাদিককে আটক প্রশ্নে যা বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৯ মার্চ ২০২৩, ১৫:৪৩

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। ফাইল ছবি
মামলা হওয়ার পরই প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘কেউ যদি সংক্ষুব্ধ হয়ে বিচার চায়, সংক্ষুব্ধ হয়ে থানায় মামলা রুজু করে সেই অনুযায়ী পুলিশ কিন্তু ব্যবস্থা নিতেই পারে। আমি যতটুকু জানি, একটা মামলা রুজু হয়েছে।’
আজ বুধবার (২৯ মার্চ) দুপুরে সচিবালয়ে বেসরকারি রিহ্যাবিলেটেশন সেন্টারের মধ্যে অনুদান বিতরণ ও বার্ষিক ড্রাগ রিপোর্টের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।
তবে মামলাটি কে করেছেন, সেটি তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেননি মন্ত্রী। তিনি বলেন, আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে, রাষ্ট্রও আইন অনুযায়ী চলে।
আসাদুজ্জামান খান কামাল জানান, শামসুজ্জামানকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি তিনি এখনও বিস্তারিত জানেন না। প্রথম আলো যে সংবাদটি প্রকাশ করেছে, সেটা যে মিথ্যা ছিল, তা ৭১ টিভির সংবাদে পরিষ্কারভাবে উঠে এসেছে।
উল্লেখ্য, আজ বুধবার (২৯ মার্চ) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকা আমবাগানের ভাড়াবাসা থেকে তাকে তুলে নেওয়া হয়। বাসাটির নিচতলায় তার মাকে নিয়ে গত এক বছর ধরে ভাড়া থাকছেন। শামসুজ্জামান হলিআর্টিজান হামলায় নিহত পুলিশের সহকারী কমিশনার মো. রবিউল করিমের ছোট ভাই।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভোর ৪টার দিকে তিনটি গাড়িতে মোট ১৬ জন ব্যক্তি শামসুজ্জামানের বাসার সামনে যান। তাদের মধ্যে ৭-৮ জন বাসায় ঢোকেন। একজন শামসুজ্জামানের থাকার কক্ষ তল্লাশি করে তার ব্যবহৃত একটি ল্যাপটপ, দুইটি মোবাইলফোন ও একটি পোর্টেবল হার্ডডিস্ক নিয়ে যায়। বাসায় ১০-১৫ মিনিট অবস্থান করার পর তাকে নিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় যান তারা। বটতলার নুরজাহান হোটেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহীন, একজন নিরাপত্তা প্রহরী ও শামসুজ্জামানসহ মোট ১৯ জন ব্যক্তি সেহেরির খাবার খান। ভোর পৌনে পাঁচটার দিকে বটতলা থেকে তারা আবার শামসুজ্জামানের বাসায় যান। সিআইডির ব্যবহৃত দুইটি গাড়ির রেজিস্ট্রেশন নম্বর ছিল (ঢাকা মেট্রো-চ ৫৬-২৭৪৭ এবং ঢাকা মেট্রো-জ ৭৪-০৩৩১) আরেকটিতে কোনো নম্বরপ্লেট দেখা যায়নি।