২০২৬ সালের পর ভারতে শুল্কমুক্ত রপ্তানি সুবিধা পাবে না বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭ জুন ২০২৩, ১৯:২৪

সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি
বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উত্তোরণের ফলে ২০২৬ সালের পর থেকে ভারতে পণ্য রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত কোটা সুবিধা পাবে না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ বুধবার (৭ জুন) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে মসিউর রহমান রাঙ্গার এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান তিনি।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এতে ভারতে পণ্য রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। এ বিষয়টি বিবেচনা করে ভারতের সঙ্গে কম্প্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট (সিইপিএ) সম্পাদনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এটি এখনো নেগোসিয়েশন পর্যায়ে রয়েছে। সিইপিএ সই হলে ভারতে বাংলাদেশের রপ্তানি ১৯০ শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে জিডিপি ১.৭২ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সরকারদলীয় সংসদ সদস্য কাজিম উদ্দিন আহম্মেদের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে বর্তমানে ১৬ দশমিক ২৭ লাখ মেট্রিন টন খাদ্যশস্য মজুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বুধবার (৭ জুন) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে এ তথ্য জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর
তথ্য অনুযায়ী মজুত খাদ্যশস্যের মধ্যে চাল ১২ দশমিক ২৫ মেট্রিন টন, গম ৩ দশমিক ৯৬ মেট্রিক
টন এবং ধান ৯ হাজার মেট্রিক টন।
প্রধানমন্ত্রী
জানান, খাদ্য মজুত বাড়াতে বর্তমান বোরো সংগ্রহ মৌসুমে ৪ লাখ মেট্রিক টন ধান ও ১২ দশমিক
৫০ মেট্রিক টন চালসহ চাল আকারে সর্বমোট ১৫ দশমিক ১০ লাখ মেট্রিন টন সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা
নির্ধারণ করা হয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে অভ্যন্তরীণ গম সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা এক লাখ
মেট্রিন টন নির্ধারণ করা হয়েছে।
অতিকতর খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিতে চলতি অর্থবছরে এ পর্যন্ত (২৩ মে ২০২৩) ৬ দশমিক ৩৪ লাখ মেট্রিক টন চাল ও ৬ দশমিক ৮০ মেট্রিক টন গম আমদানি করা হয়েছে বলে সরকার প্রধান জানান।
আওয়ামী লীগ দলীয় এমপি আলী আজমের প্রশ্নের জবাবে সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেন, দেশের নতুন নতুন এলাকায় ভূতাত্ত্বিক জরিপ ও সিসমিক সার্ভে কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৩২ হাজার ৫৮১ লাইন কিমি ২ডি এবং ৬ হাজার ২২২ বর্গ কিমি ৩ডি সিসমিক সার্ভে সম্পন্ন হয়েছে। এ সময়ে ২০টি অনুসন্ধান কূপ, ৫৪টি উন্নয়ন কূপসহ ৭৪টি কূপ খনন এবং ৪১টি কূপে ওয়ার্কওভার কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। ফলে ৬টি গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়েছে। দেশে এ পর্যন্ত খননকৃত মোট অনুসন্ধান কূপের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ বর্তমান সরকারের আমলে হয়েছে।
ভোলার ইলিশায় নতুন আবিষ্কৃত ২৯তম গ্যাসক্ষেত্রের মজুতসহ বর্তমানে গ্যাসের মজুত ২৮ দশমিক ৭৬ ট্রিলিয়িন ঘনফুট বলে জানান শেখ হাসিনা।