
রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র। ফাইল ছবি
চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসেই রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধন করা হবে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াসেফ ওসমান। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দিতে পারেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
আজ শনিবার (২৪ জুন) বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের (বিসিএসআইআর) আবিষ্কৃত দেশের প্রথম স্মার্টফোনভিত্তিক ‘সূর্য বিদ্যুৎ’ অ্যাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, দেশ এখন শতভাগ বিদ্যুৎ সরবরাহের আওতায়। তবে মাঝেমধ্যে চাহিদা বাড়ায়, বিদ্যুৎ সংকট দেখা দিলে মানুষ কষ্ট পায়। এতে আমরাও কষ্ট পাই। তবুও বৈশ্বিক যুদ্ধ বাস্তবতায় সমস্যায় পড়েছিলাম। তবে আমরা সেই সমস্যা অনেকটা কাটিয়ে উঠেছি। এই ধরনের সমস্যা ভবিষ্যতে আর হবে না বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
এসময় মন্ত্রী আরও বলেন, দেশের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তার নেতৃত্বে বিদ্যুৎ সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করেছে। বর্তমানে বিদ্যুৎ সুবিধাপ্রাপ্ত জনগোষ্ঠী ৪৭ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে শতভাগে উন্নীত হয়েছে এবং দেশের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৭.৫ গিগাওয়াট। এ বছরেই রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু হলে জাতীয় গ্রিডে আরো ২.৪ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ সংযোজিত হবে।
সোলার হোম সিস্টেম দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, দেশের যে সকল এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ সম্ভব হচ্ছে না, সেসকল এলাকায় বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে সোলার হোম সিস্টেম কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে। ফলে, গ্রামীণ এলাকায় সোলার হোম সিস্টেমের মাধ্যমে বিদ্যুতের ব্যবহার সময়ের সাথে জনপ্রিয় হচ্ছে। অফ-গ্রিড গ্রামীণ এলাকায় বিভিন্ন কর্মসূচীর আওতায় ইতোমধ্যে প্রায় ৭ মিলিয়ন সোলার হোম সিস্টেম স্থাপন করা হয়েছে এবং প্রায় ১৫ মিলিয়ন সুবিধাভোগী সৌরবিদ্যুৎ পাচ্ছে। প্রতি মাসে ৬৫ হাজারের বেশি সোলার হোম সিস্টেম স্থাপন করা হচ্ছে, যা বছরে গড়ে ৫৮% হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বর্তমান সরকারের জ্বালানি বিষয়ক সেবাসমূহ সহজীকরণের নিমিত্তে BCSIR দেশে প্রথমবারের মতো স্মার্টফোনভিত্তিক একটি অ্যাপ তৈরি করেছে। সূর্য বিদ্যুৎ (Solectricity) নামের এই অ্যাপের মাধ্যমে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারে সোলার হোম সিস্টেমের দুর্বোধ্যতা দূরীকরণসহ ব্যবহারকারীর অর্থ সাশ্রয় ও হয়রানি কমবে, সর্বোপরি দেশের জনসাধারণের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।