শিশুখাদ্যের প্যাকেটে ‘প্রধানমন্ত্রীর উপহার’ লেখার নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২ এপ্রিল ২০২০, ১৬:০৬

করোনাভাইরাসের মহামারীর মধ্যে বিনামূল্যে বিতরণের শিশুদের খাদ্যের প্যাকেটে ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার’ লেখার নির্দেশ দিয়েছে সরকার।
গতকাল শনিবার (১১ এপ্রিল) জেলা প্রশাসকদের কাছে পাঠানো দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে এক নির্দেশনায় শিশুখাদ্যের মোড়ক, প্যাকেট বা বস্তায় ত্রাণসামগ্রী বিতরণ নিশ্চিতকরণ সংক্রান্ত এক আদেশে এ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় মানবিক সহায়তা হিসেবে ত্রাণসামগ্রী ও শিশুখাদ্য বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে। বরাদ্দ করা ত্রাণসামগ্ৰী ও শিশু খাদ্য প্রয়োজন অনুযায়ী জেলা প্রশাসকরা সব সিটি কর্পোরেশনের সংশ্লিষ্ট প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে উপ-বরাদ্দ দেয়া হয়। পরবর্তীতে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলর বা ইউপি চেয়ারম্যানের অনুকূলে সরকারি আদেশ জারি করা হয়।
এসব ত্রাণ সামগ্রী ও শিশু খাদ্য বিতরণে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে এর আগে মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা সব বিধিবিধান অনুসরণ করতে ডিসিদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ত্রাণসামগ্রী ও শিশু খাদ্য মোড়ক বা প্যাকেট বা বস্তায় বিতরণ করতে হবে। মোড়ক বা প্যাকেট বা বস্তার গায়ে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি ছবিসহ ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার’ লিখতে হবে। মোড়ক বা প্যাকেট বা বস্তার গায়ে ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার’ সম্বলিত গোল সিল ব্যবহার করতে হবে। ত্রাণসামগ্রী ও শিশু খাদ্য উত্তোলন ও বিতরণে সংশ্লিষ্ট ট্যাগ অফিসাররা সার্বক্ষণিকভাবে উপস্থিত থাকবেন। এক্ষেত্রে কোনো ধরনের ব্যত্যয় ঘটানো যাবে না।
নির্দেশনায় আরো বলা হয়, এসব ত্রাণসামগ্রী ও শিশুখাদ্য বিতরণে স্বচ্ছতা ও জবাবহিদিতা নিশ্চিতকরণে ইতোপূর্বে এই মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা সব বিধি-বিধানের সাথে এসব নির্দেশনা বাধ্যতামূলকভাবে প্রতিপালন করতে হবে।
করোনা মোকাবিলায় তাৎক্ষণিকভাবে মানবিক সহায়তার অংশ হিসেবে সম্প্রতি শিশুখাদ্যের প্যাকেটে খেজুর, বিস্কুট, ফর্টিফাইড তেল, ব্রাউন চিনি, সুজি, মশুরের ডাল, সাগু, ফর্টিফাইড চাল, ওয়াটার পিউরিফাইড ট্যাবলেট, বাদাম, মানসম্মত রেডিমেড ফুড ইত্যাদি স্থানীয়ভাবে কিনে বিতরণের নির্দেশ দিয়েছে সরকার।
নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পাশাপাশি কর্মহীনদের তাৎক্ষণিক মানবিক সহায়তা দিতে নগদ টাকার পাশাপাশি চাল বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। এছাড়া বিনামূল্যে বিতরণের জন্য শিশু খাদ্য কিনতে দুই দফায় তিন কোটি ১৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।
শিশু খাদ্য কেনার শর্তে বলা হয়েছে, এক্ষেত্রে সরকারি ক্রয়বিধিসহ সংশ্লিষ্ট সব বিধি-বিধান ও আর্থিক নিয়ম যথাযথভাবে প্রতিপালন করতে হবে। জি টু জি পদ্ধতিতে কিনে মিল্কভিটার উৎপাদিত গুঁড়ো দুধ ত্রাণ সামগ্রী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।