শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর বাংলাদেশের সঙ্গে কিছুটা শীতল হয়ে পড়া সম্পর্ক উষ্ণ করতে জোর দিচ্ছে ভারত। এমন ইঙ্গিতই দিলেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। আজ রবিবার (২০ অক্টোবর) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র সচিব মো. জসিম উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। পরে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে দুই দেশের সম্পর্ক নিয়ে কথা বলেন।

আরেক প্রশ্নের জবাবে ভারতে আশ্রয় নেওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইস্যুতে কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানান প্রণয় ভার্মা। তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো আলোচনা হয়নি।’

প্রণয় বলেন, ‘কীভাবে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক আরও এগিয়ে নেওয়া যায়-আমরা মূলত আলোচনা করেছি কীভাবে দুই দেশের কাজগুলো এগিয়ে নিতে পারি। পারস্পরিক নির্ভরশীলতার সম্পর্ক জোরদার ও স্বাভাবিক করতে কাজ করছে দুই দেশ।’

ছাত্র-জনতার প্রবল আন্দোলনের মধ্যে গত ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সম্প্রতি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে ১৮ নভেম্বরের মধ্যে তাকে হাজির করতে নির্দেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

এর মধ্যে গত ১৭ অক্টোবর পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে অন্তর্বর্তী সরকার। আর শেখ হাসিনা দিল্লিতে অবস্থান করছেন বলে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র দপ্তর।

পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করেছেন জানিয়ে ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, ‘আমাদের সম্পর্ক নিয়ে নিয়মিত বৈঠকের অংশ। আমরা দুই দেশের নিরাপত্তা ও উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করেছি। আমাদের ইতিবাচক সম্পর্ক রয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক দুদেশের মানুষের কল্যাণে ভূমিকা রাখবে। ভারত বাংলাদেশের ওপর নির্ভরশীল, বাংলাদেশ ভারতের ওপর নির্ভরশীল। পারস্পরিক নির্ভরশীলতার সম্পর্ক আরও এগিয়ে নেওয়া দরকার।’

এ অবস্থায় পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়নের অংশ হিসেবে দ্রুত ঢাকা-দিল্লি ফরেন অফিস কনসালটেশন বা এফওসি করার বিষয়ে তার দেশের আগ্রহের কথা জানিয়েছেন হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা।