
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। ছবি: সংগৃহীত
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত নিরাপদ। এখানে কোনো সমস্যা নেই।
ভবিষ্যতে এটি কার হবে, মিয়ানমার নাকি আরাকান আর্মির, তা বলা তো মুশকিল। সে জন্য বিজিবি উভয়পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলছে।
শনিবার দুপুরে বিজিবির কক্সবাজার ব্যাটালিয়ন (৩৪ বিজিবি)-এর প্রশিক্ষণ মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে উখিয়া ব্যাটালিয়নের (৬৪ বিজিবি) উদ্বোধন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ৬৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সঙ্গে আরও চারটি ব্যাটালিয়ন যুক্ত হলো। এতে বিজিবির সক্ষমতা কিছুটা বৃদ্ধি পেল। আমরা চেষ্টা করছি আরও বাড়ানোর জন্য। কারণ পার্শ্ববর্তী দেশের তুলনায় আমাদের বিজিবির সক্ষমতা আরও বাড়ানো দরকার।
রোহিঙ্গা ও মাদককে সমস্যা উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বাধার পরও ৬০ হাজারের মতো রোহিঙ্গা নতুন করে ঢুকেছে। অনেক সময় মানবিক কারণে বাধা দিলেও পারা যায় না। সঙ্গে বিদেশিদের একটি চাপ আছে, তাদের ফেরত না পাঠাই সে জন্য। এ জন্য আমরাও তাদের সাহায্য-সহযোগিতা বাড়াতে বলেছি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহতের বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সীমান্ত হত্যা বন্ধের ব্যাপারে বিজিবি ও বিএসএফের মহাপরিচালক পর্যায়ের সীমান্ত সম্মেলনে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তারপরও সীমান্ত হত্যার মতো ঘটনা ঘটছে। এটি কমানোর জন্য আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। যেহেতু এটা পুরোপুরি আমাদের হাতে নেই, কারণ অস্ত্রটা তো তারা ব্যবহার করছে।
এর আগে নবগঠিত উখিয়া ব্যাটালিয়ন (৬৪ বিজিবি), স্টেশন সদর দপ্তর, ঢাকা, গার্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ন, ঢাকা এবং কে-নাইন ইউনিট অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টারের পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ২২৯ বছরের ঐতিহ্যবাহী সীমান্তরক্ষী বাহিনী। এই বাহিনীর রয়েছে অত্যন্ত গৌরবময় ও সমৃদ্ধ ইতিহাস। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে এই বাহিনীর সাহসী ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। মুক্তিযুদ্ধকালীন সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সাহসী ভূমিকা মুক্তিকামী বাঙালিদের সাহস ও প্রেরণা জুগিয়েছে।