হামিদ যাওয়ার তৃতীয় দিনে বিদেশ ভ্রমণের ‘পদ্ধতি জানলেন’ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০ মে ২০২৫, ১৫:৫২

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে টানা ১০ বছর রাষ্ট্রপতির দায়িত্বে থাকা আবদুল হামিদ দেশ ছাড়ার তৃতীয় দিনে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পরিদর্শন করলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, কীভাবে মানুষ বিদেশে যায়, সেটিই তার এই পরিদর্শনের কারণ।
শনিবার সকালে উপদেষ্টা বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন পরিদর্শন করেন। পরে সাংবাদিকদের জানান , ২০১১ সালের পর তিনি বিদেশ যাননি, তাই অনেক কিছুই জানতেন না।
“কীভাবে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম চলছে, যেহেতু অনেক উন্নতি হয়েছে আগের থেকে, সেগুলো দেখতে এসেছি,” বলেন উপদেষ্টা: “আমার দেখা মতে, আগের থেকে অনেক উন্নতি হয়েছে।”
সাবেক রাষ্ট্রপতির দেশত্যাগের পেছনে কারা দায়ী এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার দাবির বিষয়েও সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “দায়ীদের চিহ্নিত করতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।”
“কয়েকজনকে ট্রান্সফার করা হয়েছে, কয়েকজনকে অ্যাটাচ করা হয়েছে। যারা দোষী, তাদের শাস্তি পেতেই হবে,” বলেন তিনি।
পুলিশের গোয়েন্দা শাখা থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা ছিল কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, তিনি এ বিষয়ে কিছু জানেন না। তবে তদন্তে বিষয়টি উঠে আসবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
গত বুধবার রাতে আবদুল হামিদ থাইল্যান্ডে যান, যার বিরুদ্ধে সরকার পতন আন্দোলনের সময়কার ঘটনায় মামলা আছে। তার এই বিদেশ যাত্রার ঘটনায় আওয়ামী লীগ পতনের আন্দোলনে থাকা অংশীজনরা ক্ষুব্ধ হয়েছে, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে নতুন করে কর্মসূচিও দেওয়া হচ্ছে।
বিক্ষোভের অংশ হিসেবে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন রাষ্ট্রীয় অতিথিভবন যমুনার সামনে অবস্থান করে বিক্ষোভ করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি- এনসিপি। পরে সেখান থেকে সরে নেতাকর্মীরা যায় শাহবাগে, এখনও সেখানে অবস্থান করছে তারা।
ঢাকা মহানগর পুলিশ এর আগে যেসব এলাকায় জমায়েত ও অবস্থান নিষিদ্ধ করেছিল, তার মধ্যে এই দুটি এলাকাও আছে। এক সংবাদকর্মী স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে জানতে চান, সেই নিষেধাজ্ঞা এখনও বলবৎ আছে কি না আর সড়ক অবরোধ করে জনভোগান্তির বিষয়ে সরকার ব্যবস্থা নেবে কি না।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সরাসরি জবাব না দিয়ে বলেন, “তাদের দাবি অযৌক্তিক বলব না, যদি যৌক্তিক দাবি থাকে, সঠিক জায়গায় সেটা জানানো উচিত।”
“এখন তারা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় শিফট করেছে, সেখানে কিছুটা জনভোগান্তি হচ্ছে। তবে অ্যাম্বুলেন্স এবং গাড়ির জন্য সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।”
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সামনে জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা আছে কি না, সেটিও ‘জানেন না’ উপদেষ্টা। তিনি বলেন, “১৪৪ ধারা (মহানগরের ক্ষেত্রে সভা-সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা) ওসিও জারি করতে পারে, ডিসিও জারি করতে পারে। কোথায় কোথায় ১৪৪ ধারা জারি হয়েছে, এই মুহূর্তে আমি বলতে পারব না।”